সন্ধ্যা শুরু হলেই
তাকিয়ে থাকি,
একনজরে তাকিয়ে থাকি,
মোবাইল স্ক্রীনের উজ্জ্বল আলোর দিকে,
কতক্ষণ একনজরে তাকিয়ে থাকা যায়, বলুনতো?
আপনিকি কখনো এভাবে অপেক্ষায় থাকেন?
জানেন,
একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে থাকতে না
আমার চোখে একসময় জল চলে আসে।
চোখের জল কখন যে ঠোঁট ছুঁয়ে
বুক বরাবর নেমে যেতে যেতে
আবার শুকিয়েও যায়,
আমি নিজেই টের পাই না,
তবুও আপনার ম্যাসেন্জারে সবুজ ফোঁটা জ্বলে ওঠে না।
আমার বুক বরাবর নেমে আসা জলে
যদি আপনাকে ভিজাতে পারতাম,
তখন হয়তো আপনার ম্যাসেন্জারের সবুজ আলোটা আমার জন্য সব সময় জ্বলে থাকতো,
আপনি তখন আমাকে হয়তো ঠিকই ভালোবাসতেন,
যখন খুশি আমাকে ব্লক করে রাখতেন না।
আচ্ছা বলুনতো
পুরুষ মানুষ বয়সে বেশি ছোট হলে কি তাকে ভালোবাসা যায়না?
আপনার অপেক্ষায় মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
প্রতি মুহূর্তেই আমার বয়স বেড়ে যায়,
তবুও আপনি আমাকে আপনার চেয়ে বড় হতে দেন না কখনো,
আমি শুধু শুধু বয়স বাড়িয়ে আপনাকে ছুঁতে চেষ্টা করি।
হঠাৎ হঠাৎ আপনি দয়া করে যখন একটা ভালোবাসার লাল ছবি
অথবা একটা হাসির গোল মুখের ছবি দেন,
তখন মোবাইলটা আমার বুকে ধরে রাখি কিছুক্ষণ,
শুধু তখনই একটু গরম তাপ টের পাই বুকে।
আপনি কখনো কি গভীর রাতে রাস্তার লাল বাতির সিগন্যালে আটকে ছিলেন?
রাস্তা একেবারে খালি ;
তবু যাওয়া যাবেনা,
আমার অবস্হাও হয়েছে তাই।
চারদিকে এতো সবুজ ফোঁটা,
তবুও শুধু আপনার
ম্যাসেন্জারের সবুজ ফোঁটার অপেক্ষায় থাকতে থাকতে চোখে জল চলে আসে।
মাঝে মাঝে খুব সকালবেলায় যেদিন প্রচণ্ড ঝড়সহ বৃষ্টি নামে,
প্রতিবারই বাসার ছাদে গিয়ে চোখের জল মিশিয়ে দেই বৃষ্টির জলে সাথে।
আমি আশায় থাকি এই চোখের জল মেশানো বৃষ্টির জলে যেদিন ভুল করে আপনিও ভিজবেন-
সেদিন থেকেই ম্যাসেন্জারের সবুজ ফোঁটাটা সব সময় আমার জন্য জ্বলে থাকবে।
———————————————
০৪/১০/২০১৯
রশিদ হারুন
কবিতাটি ৬১ বার পঠিত হয়েছে।