এই দেশটার একটা সম্পদ একটা শক্তি হচ্ছে Diversity। সেটা হাসিনা অনেক চেষ্টা করেও কন্ট্রোল করতে পারে নাই। নতুন এই চিল্লাচিল্লিও সেটা দাবায় রাখতে পারবে না। এটাই ফ্যাক্ট।
কি এই ডাইভার্সিটি? ধরেন আপনি ইসলামকে মনেপ্রাণে প্র্যাকটিস করতে চান আর আপনার সন্তানদের শরিয়তের বেষ্টনীতে রাখতে চান। আপনি মোটামুটি পারবেন। আবার আপনি ট্রেডিশনাল লাইফস্টাইল মেনে চলেন সেটাও পারবেন। আপনি প্রোগ্রেসিভ লাইফস্টাইল মেনে চলতে চান সেটাও পারবেন। সবগুলোর বিশাল কমিউনিটি আর অবকাঠামো আছে। আপনি প্রফেশনাল লাইফেও আপনার রিলিজিয়ন প্র্যাক্টিস করতে পারবেন আবার একটু রেস্পেক্টফুল ম্যানার রেখে চাইলে নাও করতে পারবেন।
এটার বিউটি হচ্ছে আপনি দেখবেন বড় বড় প্রতিষ্ঠানে যখন গ্রুপ ছবি তোলা হয় তখন সেখানে শার্টপ্যান্ট পড়া ভদ্রলোক, শাড়ি পড়া/ ওয়েস্টার্ন পড়া ভদ্রমহিলার পাশাপাশি টুপিদাড়ি হওয়া ভদ্রলোক হিজাব বা বোরখা পড়া ভদ্রমহিলাও আছে। বাংলাদেশের কালচারাল মিক্সটাই এইরকম। আবার আমরা এটার ব্যাপারেও ওয়াকিব যে বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা তাদের স্ত্রীকে ঘরে রাখতে চায়। ঘরের পুরুষরা তাদের সামর্থ্য দিয়ে ঘরের মহিলাদের নিরাপত্তা ও চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করে। আনলেস আপনি খুব বেশি ধর্মবিদ্বেষী হন; আপনি জানেন এটাও একটা বড় কমিউনিটি আর এখানে ডিসরেস্পেক্ট এর কিছুই নাই। তাদের "চয়েজ"।
"চয়েজ" খুবই সিম্পল শব্দ; খুবই নাজুক বটে। এটা ঝড়ো বাতাসে নীলাভ প্রদীপের মত । এই ঝড়ো বাতাস নানান নামে আসে। কোন ওয়ার্কস্পেসে নামাজ পড়া নিয়ে ব্যঙ্গ বা তাচ্ছিল্ল্য করা হয়; এটাও একটা ঝড়ো বাতাস। আবার থানা ঘেরাও করে চুরির মামলা ঠুকবে নাকি মানহানীর মামলা ঠুকবে সেটা নিয়ে কথা হয়; এগুলো সবই ঝড়ো বাতাস।
বাতাস কখনো ডান থেকে আসে কখনো বাম থেকে। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না বাতাস আসলে সবার প্রতীপই এক এক করে নিভবে। আজকে অন্যের প্রদীপ নিভছে দেখে আমরা আড়ালে হাসি; কালকে নিজের প্রদীপ নিভতে গেলে হাত পাবা না। প্রদীপ নিভবে আর বাতাসের বেগও বাড়বে; যতক্ষণ না নিশ্ছিদ্র অন্ধকার আসে।
পতাকার গৌরব হবে বলে আমরা যারা বাতাসে জয়ধ্বনি দেই; সেই পতাকার সম্মান স্বতঃস্ফূর্ত "চয়েজ" থেকে আসে, লোকভয় থেকে না। এটাই হবে সার্থকতা, বিপরীতটা বরং পরাজয়। যদিও পার্থক্য বুঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি আমরা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪০