somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চয়েজ নামের নীলাভ প্রদীপ

০৬ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এই দেশটার একটা সম্পদ একটা শক্তি হচ্ছে Diversity। সেটা হাসিনা অনেক চেষ্টা করেও কন্ট্রোল করতে পারে নাই। নতুন এই চিল্লাচিল্লিও সেটা দাবায় রাখতে পারবে না। এটাই ফ্যাক্ট।

কি এই ডাইভার্সিটি? ধরেন আপনি ইসলামকে মনেপ্রাণে প্র্যাকটিস করতে চান আর আপনার সন্তানদের শরিয়তের বেষ্টনীতে রাখতে চান। আপনি মোটামুটি পারবেন। আবার আপনি ট্রেডিশনাল লাইফস্টাইল মেনে চলেন সেটাও পারবেন। আপনি প্রোগ্রেসিভ লাইফস্টাইল মেনে চলতে চান সেটাও পারবেন। সবগুলোর বিশাল কমিউনিটি আর অবকাঠামো আছে। আপনি প্রফেশনাল লাইফেও আপনার রিলিজিয়ন প্র্যাক্টিস করতে পারবেন আবার একটু রেস্পেক্টফুল ম্যানার রেখে চাইলে নাও করতে পারবেন।

এটার বিউটি হচ্ছে আপনি দেখবেন বড় বড় প্রতিষ্ঠানে যখন গ্রুপ ছবি তোলা হয় তখন সেখানে শার্টপ্যান্ট পড়া ভদ্রলোক, শাড়ি পড়া/ ওয়েস্টার্ন পড়া ভদ্রমহিলার পাশাপাশি টুপিদাড়ি হওয়া ভদ্রলোক হিজাব বা বোরখা পড়া ভদ্রমহিলাও আছে। বাংলাদেশের কালচারাল মিক্সটাই এইরকম। আবার আমরা এটার ব্যাপারেও ওয়াকিব যে বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা তাদের স্ত্রীকে ঘরে রাখতে চায়। ঘরের পুরুষরা তাদের সামর্থ্য দিয়ে ঘরের মহিলাদের নিরাপত্তা ও চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা করে। আনলেস আপনি খুব বেশি ধর্মবিদ্বেষী হন; আপনি জানেন এটাও একটা বড় কমিউনিটি আর এখানে ডিসরেস্পেক্ট এর কিছুই নাই। তাদের "চয়েজ"।

"চয়েজ" খুবই সিম্পল শব্দ; খুবই নাজুক বটে। এটা ঝড়ো বাতাসে নীলাভ প্রদীপের মত । এই ঝড়ো বাতাস নানান নামে আসে। কোন ওয়ার্কস্পেসে নামাজ পড়া নিয়ে ব্যঙ্গ বা তাচ্ছিল্ল্য করা হয়; এটাও একটা ঝড়ো বাতাস। আবার থানা ঘেরাও করে চুরির মামলা ঠুকবে নাকি মানহানীর মামলা ঠুকবে সেটা নিয়ে কথা হয়; এগুলো সবই ঝড়ো বাতাস।

বাতাস কখনো ডান থেকে আসে কখনো বাম থেকে। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না বাতাস আসলে সবার প্রতীপই এক এক করে নিভবে। আজকে অন্যের প্রদীপ নিভছে দেখে আমরা আড়ালে হাসি; কালকে নিজের প্রদীপ নিভতে গেলে হাত পাবা না। প্রদীপ নিভবে আর বাতাসের বেগও বাড়বে; যতক্ষণ না নিশ্ছিদ্র অন্ধকার আসে।

পতাকার গৌরব হবে বলে আমরা যারা বাতাসে জয়ধ্বনি দেই; সেই পতাকার সম্মান স্বতঃস্ফূর্ত "চয়েজ" থেকে আসে, লোকভয় থেকে না। এটাই হবে সার্থকতা, বিপরীতটা বরং পরাজয়। যদিও পার্থক্য বুঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছি আমরা।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪০
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সামনে বিপুল, বিশাল চ্যালেঞ্জঃ মোকাবেলায় কতটুকু সক্ষম বিএনপি?

লিখেছেন শেহজাদ আমান, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



১. ভুল রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, দূরদর্শিতার অভাব

বিএনপি বাংলাদেরশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। লোকবল ও জনপ্রিয়তায় তাঁর ধারেকাছেও নেই অন্যকোনো রাজনৈতিক দল। মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক ধারায় আছে বলেই বাংলাদেশের মধপন্থী ও উদারপন্থী... ...বাকিটুকু পড়ুন

চিঠি।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৩০



চিঠি: এক হারিয়ে যাওয়া অনুভূতির নাম

চিঠি—শুধু একটুকরো কাগজ নয়, এটি আবেগের স্পর্শ, অপেক্ষার মধুরতা, ভালোবাসার নিঃশব্দ উচ্চারণ। এক সময় মানুষের ভাব বিনিময়ের প্রধান মাধ্যম ছিল এই চিঠি। স্বামী লিখতেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ডিফেন্স গ্যালারী Defence gallery

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০১

মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটির মরদেহ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে হেলিকপ্টার যোগে নিয়ে যাওয়া হলো নিজ বাড়িতে
ঢাকা ১৩ মার্চ ২০২৫ (বৃহস্পতিবার): মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি আজ ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখ দুপুর ০১:০০ টায় সম্মিলিত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমা করবেন আরেফিন সিদ্দিক স্যার..

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:৩৭


আরেফিন সিদ্দিক স্যারের লাশটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দিচ্ছে না। ক্যাম্পাসের সাথেই সংযুক্ত হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে লাশ রাখা। শহীদ মিনারেও শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দেবে না, ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে হবে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাথর চোখের কান্না- ৩

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৪১

অন্ধকারের ভাবনা.....

চোখের সমস্যার জন্য নানাবিধ টেস্ট করিয়েছি। যার মধ্যে অন্যতম Ophthalmoscopy, Funduscopy, Optic fundus, OCT (Optical Coherence Tomography এছাড়াও যেহেতু মাথায় যন্ত্রণা থাকে সেজন্য CT Scan এবং MRI করতে হয়েছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×