তরঙ্গিনীও তার তরঙ্গ হারিয়ে ফেলেছে
কল্লোলিনীও তার কল্লোল হারিয়ে ফেলেছে!
বড় নদী করতোয়া বহু আগে
নাব্যতা হারিয়ে
পুন্ডবর্ধনপুরের মতন মৃত্যুগন্ধ নিয়ে
পরিত্যক্ত খাতে পরিণত হয়ে আছে!
বেগবতী নদীরও মৃত্যু হয় -
কত নদী-তো এ-ভূখণ্ডে প্রমত্তা ছিল!
তিমিরাচ্ছন্ন সময়ে
ধূলিধূসরিত সময়ে
বেলেপাথরের সমযে
এই চারণভূমিতে - এই মৃত্তিকায়
নবাঙ্কুরের জন্য
চারাগাছের জন্য
মূলরোমের জন্য
পুষ্পরেণুর জন্য
বীজাধারের জন্য
শস্যদানের জন্য
স্বতন্ত্র নদীর উন্থান জরুরি হয়ে কি পড়ে নি?
সেই নদী আপনাআপনি সৃষ্টি হবেনা কখনো -
জোরালো ভূমিকম্পের সাহচর্যে তলদেশ উত্তোলিত হলে
সেই নদী সৃষ্টি হবে,
পাহাড়ের জলের সাথে বন্যাজলের মৈত্রীবন্ধন হলে
সেই নদী সৃষ্টি হবে,
বৃষ্টিমুখরতায় প্লাবনের চঞ্চলতায় জলস্রোত তৈরি হলে
সেই নদী সৃষ্টি হবে,
হিমবাহ থেকে - সরোবর থেকে নবজলধারা স্রোতমুখী হলে
সেই নদী সৃষ্টি হবে।
সে নদীর অপেক্ষায় - বালুকাবেলায় পড়ে আছি
গর্ভমোচনের রূপ নিয়ে গতি-প্রকৃতি বদলে যাবে না?
মৃতপ্রায় গোঙানি অবস্থা কি সবসময়ে থাকবে?
মানুষ ঊর্মিমুখর হলে নদী হয়ে যায় -
জরাজীর্ণ নদীও নাব্যতা ফিরে পায়।