সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তার টেবিলে বসতে বসতে ব্লগার নাস্তার সুঘ্রান নিতে নিতে বলে, প্রথমেই প্লাস! এইবার খাওয়া শুরু করি। মা বললো প্রতিদিন ডিম ভাজি খাস! আজকে একটু সব্জি খা! ব্লগার কিছুক্ষন চিন্তা করে বললো, সহমত! দাও সব্জি দাও!
নাস্তা শেষ করেই বাবার দিকে তাকিয়ে বলে, বাবা তোমার দৃষ্টি আকর্ষন করছি, আমার পকেট খরচের জন্য এই সপ্তাহ থিকা ১০০ টাকা বেশী দিতে হবে। বাবা বললো, কেন? ব্লগার পত্রিকাটা হাতে নিয়ে বলে , রিক্সা-বাসের ভাড়া বাড়ছে এই যে রেফারেন্সের লিংক সহ!!
বাবা বুঝতে না পেরে পকেট থেকে ৫০ টাকা বের করে দিয়ে বললো, বাকিটা কালকে নিও। ব্লগার দ্রুত পকেট থেকে মোবাইল বের করে ছবি তুলতে তুলতে বলে, স্ক্রীনশট নিয়ে রাখলাম। পরে পিছলানোর কোন সুযোগ থাকবে না। ছেলের এমন আচরন দেখে বাবা পুরো টাকাটাই দিয়ে দিল। ছেলে টাকা হাতে নিয়ে বলে উত্তম ঝাঝা! টাকা প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম!
নিচে নামতেই দাড়োয়ান বললো, ভাইয়া মিলি আপা তো আপনার কথা জিজ্ঞেস করলো! ব্লগার বলে, কস্কি মোমিন! তাহলে তো এখন থেকে ওরে অনুসরন করা লাগে! দাড়োয়ান বলে, কি বলেন ভাইয়া? দাড়োয়ানের উত্তর না দিয়েই ভার্সিটির পথে এগুয় ব্লগার।
ক্লাসে যেয়ে দেখে গাউস স্যারের ক্লাস নিতে আসছে শমশের স্যার। ব্লগার মনে মনে বলে, শালার এইসব মাল্টি নিকের ক্লাস করা মানে টাইম নষ্ট! স্যার আসল নিকে না আসা পর্যন্ত নো ক্লাস! সুতরাং সে বের হয়ে যায় ক্লাস থেকে। বারান্দায় বসে আড্ডা মারতেছে। এমন সময় আবীর কয়েকটা ঢঙ্গী মেয়ে দেখে একটু আদি রসাত্মক কৌতুক করতে গেলে ব্লগার ধমকে উঠে, চুপ শালা লুল! মাইয়াও চিনস না ছাইয়াও চিনস না!
বিকেলে ভার্সিটি থেকে ফিরে বাসার গেটে দ্যাখে কয়েকটা তাবলীগে লোক দাড়োয়ান মোমিনকে তাবলীগের দাওয়াত দিতেছে। ব্লগার সামনে এগিয়ে গেল, গিয়ে বলে, দাড়ান, আপনাদের কেপি টেস্ট করা হপে! ৫ জন রাজাকারের নাম বলেন?
তাবলিগের লোকজন তো ভড়কে গেল! একি ঘটনা! ব্লগার তাগাদা দিয়ে বলে, তাড়াতাড়ি বলেন, পিছলাবেন না কিন্তু! অবস্থা এমন বুঝে তাবলীগের লোকজন নামায পড়লে অনেক ফায়দা হবে বলে এলাকা ত্যাগ করলো।
দাড়োয়ান বলে ভাইয়া ঘটনা কি? ব্লগার হাসতে হাসতে বলে, আর কি ইসলামের শেল্টারে এগুলা আসলে ছাগু! দেখলা না? রাজাকারের নাম বলতে না পাইরা খালি ত্যানা প্যাচায়! আরেকটু ত্যানা পেচাইলে ঠিকই গদাম দিতাম!
সন্ধ্যাটা বাসার সবার সাথে বসে টিভি দেখে ব্লগার। রাতের খাবার খেতে বসলো, ব্লগার বলে, মাংসটা ভালমত সিদ্ধ হয় নাই। মা বললো, আমি বাইরে যাওয়াতে বুয়া রান্না করছে আজকে। ব্লগার উত্তেজিত হয়ে বলে, মা, তুমি মডারেশনে এমন খামখেয়ালী করলে তো কিচেন-ডায়নিং এর কোয়ালিটি ঠিক থাকবে না!
টেবিলে বসা অন্য সবার চেহারা দেখে মনে হলো একটু মন খারাপ করেছে। ব্লগার তখন, উঠে মা'কে একটা চুমু দিয়ে বলে, আরে আমি তো স্যাটায়ার করলাম। আমি তো মনে করছি , তোমার এ্যন্টেনা উঁচা আছে। মাথার উপর দিয়া যাবে বুঝি নাই!
পরে সবাইকে শুভ রাত্রি- আমি অফ লাইনে গেলাম বলে, রুমে এসে ব্লগ খুলে বসে পড়লো ব্লগার!!!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৩