পর্যটন প্লেস হিসাবে লেপসিয়ায় যদি কেউ চকচকে কোন হোটেল আশা করেন তাহলে তাকে বলবো অাপনি টিকিট ক্যান্সেল করে চিটাগাং যান। লেপসিয়া হলো হাওর বেস্টিত ও নির্জন এক স্থান। এখানে এমন কি থাকার জায়গাও নেই। অবশ্য ম্যানেজ করা কোন ব্যাপার না। যারা একটু অন্যরকম ঘোরাফেরা অর্থাৎ মাটির সাথে মিশে...জলে ভিজে...রোদে পুরে পর্যটন উপভোগ করতে চান লেপসিয়া তাদের জন্য আদর্শ হতে পারে। এখন অবশ্য পানি কমে যাচ্ছে। তবে ভরা বর্ষায় এখানে আসার মজাই আলাদা।
লেপসিয়া ভাটি বাংলার বিশাল বাণিজ্যকেন্দ্র। প্রতি শনিবার এখানে হাট বসে। সেদিন এলাকার মেয়েদের বাজারের আশেপাশে যাওয়া মানা। হাজার হাজার মানুষে বাজার গমগম করে। কোটি কোটি টাকার দেশী শুটকি মাছ ও কাঁচা মাছ বিক্রি হয়। বিক্রি হয় বাঁশ ও কাঠ। সে এক অদ্ভুত দৃশ্য। এখানে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর একটি শাখা ও একটি পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। রয়েছে খুব সুন্দর একটি স্কুল। এই জায়গায় এত সুন্দর মাঠের একটি স্কুল আছে; দেখেও বিশ্বাস হয়নি। মাঠের কোনায় একটি বসার ব্যবস্থা আছে। বর্ষাকালে এখান থেকে হাওরের একটি বিশাল অংশ দেখা যায়। অদ্ভুত সুন্দর সে ভিউ!
লেপসিয়ায় একটি লঞ্চঘাট আছে। এর সাথে লাগোয়া একটি ছোট বাজার। এটা হলো রাতের বাজার। নাইট কুইন। সাররাত খোলা থাকে। বিশাল বিশাল লঞ্চ বাঁধা থাকে ঘাটে। সারেং সহ অন্যরা পাড়ে উঠে আসে। খাওয়া দাওয়া আনন্দ অনুষ্ঠান চলে।
যারা নির্জনতা পছন্দ করেন তারা ঘুরে যেতে পারেন ভাটি বাংলার রাজধানী; লেপসিয়া তে....
আসার ব্যবস্থা:
*ঢাকা থেকে- হাওর এক্সপ্রেসে মোহনগঞ্জ আসতে হবে। মোহনগঞ্জ থেকে আদর্শনগর(পূর্বে নাম ছিল ছেঁছড়াখালী)হয়ে বোয়ালী অথবা করাচাপুর আসতে হবে। তারপর এখান থেকে ট্রলারে লেপসিয়া। পাবলিকলি ও আসতে পারেন অাবার রিজার্ভ করেও আসতে পারেন।সব মিলিয়ে ৫০০-৬০০ টাকা লাগতে পারে।
*ময়মনসিংহ হতে-হাওর এক্সপ্রেসে/কমিউটার/লোকাল ট্রেনে মোহনগঞ্জ আসতে হবে। মোহনগঞ্জ থেকে আদর্শনগর(পূর্বে নাম ছিল ছেঁছড়াখালী)হয়ে বোয়ালী অথবা করাচাপুর আসতে হবে। তারপর এখান থেকে ট্রলারে লেপসিয়া। পাবলিকলি ও আসতে পারেন অাবার রিজার্ভ করেও আসতে পারেন।সবমিলিয়ে ২০০-৩০০ টাকা লাগতে পারে।
তো ঘুরে আসুন লেপসিয়া.....
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩