কিশোর বয়েসে, স্তানিশ্লাভ লেভচেংকোর "আমি ছিলাম কেজিবিতে" পড়ে, যুগপৎ মুগ্ধ এবং রোমাঞ্চিত হয়েছিলাম। দূর্ধর্ষ। জবাব নেই। তখন থেকেই কেজিবি, সিআইএ,..মোটাদাগে, রহস্য ঘেরা এসপিওনেজ জগত সম্পর্কে আগ্রহ জন্ম নেয় মনে। হাতের কাছে সেবার যেসব বইপত্র পাওয়া যেতো, মাসুদ রানা থেকে শুরু করে অন্যান্য, সব পড়তে লাগলাম। একসময় গল্প-উপন্যাস বাদ দিয়ে এসব বিষয়ের একাডেমিক পড়ারম্ভ। চরের জীবনধারা আর কর্মপদ্ধতি পড়ে চর হবার সাধও জাগে মনে


ধীরে ধীরে ঐসব পড়াশোনার পাঠও চুকলো। একই সময় ধারনা হলো, বাইরের দুনিয়াতেও আসলে এতোকিছু নেই। সবই উপন্যাসিকের ফিকশন। বাস্তবে এজেন্ট যদি কোথাও থেকেও থাকে, তারা উপন্যাসের মতো এতো ভয়ংকর তো নয়ই, জীবন বিপন্ন করে এতো নায়কগিরিও ফলায়না। একটা নিয়মশৃংখল, সাংকেতিক মেথডে কাজ হয়তো করে।
প্রমান না হৈলে দেখেন নিচে কয়ডা উদাহরন দিলাম

সাবেক রুশ প্রেসিডেন্ট (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ভ্লাদিমীর পুতিন যে যৌবনে একজন সমীহ জাগানো চর ছিলেন এটা কার না জানা। তবে চর হিসেবে তিনি কি কি করেছেন, তা অনেকেরই জানা নেই। সমীহ জাগানো চর নৈলে আবার প্রেসিডেন্ট থেকে প্রধানমন্ত্রী হন! প্রতিপক্ষের অন্তরে ভিতি জাগানোর পাশাপাশি কতো ললনাদের যে লালায়িত করেছেন তারও নাকি ইয়ত্তা নেই! এই বয়েসেও কম যাননা সাবেক এই কেজিবি এজেন্ট! এই যেমন: বিশ্বের সবচে গভীর হ্রদ বৈকালে ঝাপ দিয়েছেন কয়েক ঘন্টা আগে। মিনি-সাবমারসিবলে চড়ে বৈকাল হ্রদের তলদেশে ঝাপ দিয়ে তিনি দেখে এসেছেন ক্লাথরেইট হাইড্রেট বা এক ধরনের ক্রিস্টাল যার মধ্যে লুকিয়ে আছে রাশিয়ার মহামূল্যবান সম্পদ- প্রাকৃতিক গ্যাস। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দেড়হাজার মিটার নিচে ঝেপেছেন তিনি!
http://www.youtube.com/watch?v=wjZkwYOD1xs
এই বয়েসেও,জীবনের পড়ন্তু বিকেলে নিজের বীরত্ত্ব আর পুরুষত্ত্ব তুলে ধরতে এটিই অবশ্য একমাত্র নয়। নজীর আরো আছে! প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সাইবেরিয়ার বনে খুব কাছ থেকে একবার বাঘও শিকার করেছেন। অবশ্য আগে থেকেই নাকি ঘুমের সিরাম দেয়া হয়েছিলো বাঘটিকে

Click This Link
কারাতে ব্ল্যাকবেল্টধারী পুতিন জঙ্গি বিমানও চালিয়েছেন জীবনে।
Click This Link
জনমত জরীপে তার এসব কান্ডকারখানা বরাবরে মতোই জনপ্রিয়তা, (বিশেষ করে মেয়েদের মাঝে) বাড়িয়েছে।


সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:১৬