আবিদ : দোস্ত , আজকে কোনো পাখি-টাখি তো দেখতে পাচ্ছি না , ঘটনাটা কি ?
সাকিব : আরে বেটা ধৈর্য ধর ,পাখি না এসে যাবে কই...পাখি ও আসবে , আমরাও ধরে একটা একটা পালক ছিড়ব,....হা হা হা হা হা
হাসি শেষ হতে না হতেই দেখা গেল পাঁচ টি মেয়ে একসাথে হেটে যাচ্ছে। তাদের দেখেই আবিদ,সাকিব সহ তাদের বন্ধুরা একসাথে গেয়ে উঠলো :
"; দুই এক এ দুই , দুই দুগনে চার , তিন দুগনে ছ:- আরে আরে আরেকটা মুরগি গেল কই?...একটা চোর আমাগো একটা মুরগি লইয়া গেসে"
; এইটা বলেই সবাই আবার একসাথে হেসে উঠলো।
কিছুক্ষণ পর দেখা গেল - মাথায় ঘোমটা দেয়া একা একটি মেয়ে তাদের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে। মেয়েটিকে দেখেই শিশ দিয়ে উঠলো আবিদ।
আবিদ :দেখ দোস্ত আরেকটা মুরগি , হেব্বি মাল একটা। এইবার একটু পালক না ছিড়লেই নয়।
বলতেই মেয়েটির পেছন পেছন বন্ধুরা সবাই হাটতে থাকলো।
সাকিব : ওই পাখি কই যাও ? একটু পেছন ফিরে চাও।
আবিদ : পাখির কোমর দোলে, আমার মন ও দোলে। এটা বলতে না বলতেই আবিদ হাত দিল মেয়েটির কাঁধে,আর বলল " আমাদের দিকে একবার ফিরে তাকাও পাখি"
মেয়েটাও ও এক ঝটকায় হাত টা সরিয়ে ফিরে তাকালো। ফিরে তাকাতেই সাকিব এর চোখ বড় বড় হয়ে যায়। নিজেই নিজের মাথার চুলগুলো দুই হাত এ এলোমেলো করতে লাগলো। মেয়েটা ও এক অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সাকিবের দিকে। সেদিকে খেয়াল না করে আবিদ আবার মেয়েটার দিকে এগোতে থাকে "কি হয়েছে পাখি ? এভাবে তাকাও কেন ?"
ঠাস করে চর বসিয়ে দেয় সাকিব , আবিদের গালে। সড়ে যা , এটা আমার বড় বোন্।সাথে সাথেই সবাই মাথা নিচু করে দাড়িয়ে পড়ল।
"আদিম যুগে - মানুষ যখন গুহায় বাস করত , তখন ও একটি নির্দিষ্ট দলের কেউ অন্য দলের নারীদের উপর লোলুপ দৃষ্টি দিতে পারত না। নিজেদের আধিপত্য , সম্ভ্রম , রক্ষার্থে সবাই ছিল একাত্ব। একবিংশ শতাব্দী তে এসে আমরা কি বন্য সেই মানুষদের থেকেও বন্য নই ?
রঙিন সাজ সজ্জা আর ইট পাথরে আবদ্ধ হয়ে আমরাই কি সভ্য হওয়ার মিথ্যে অভিনয় করছি না ?”