লোকমুখে শুনেছি প্রেমটা স্বর্গীয়।স্বর্গের প্রতি দূর্বলতাটা আমার কোনো অংশে কম নয়।তাই আমিও অকুন্ঠ চিত্তে মেনে নিই প্রেমটা স্বর্গীয়।মানব সৃষ্টির সূচনা লগ্ন থেকেই প্রেমটার প্রারম্ভ।বাবা আদম মা হাওয়াকে পেতে আকুল ছিলেন সেটাই তো প্রেম।বিধাতাও বুঝে ছিলেন সঙ্গীনী দরকার তাই তিনি প্রেমের পরিপূর্নতা দিলেন স্বর্গেই।
ধর্ম আমি খুব বেশি জানিনা।বিধাতা বানিয়েছেন,পৃথিবীর পুতুল নাচ শেষ করে আবার চলে যাবো।এই মর্তে কতটুকু ভাল করেছি সেটা জানতে পারবো পরকালে গেলে।
আমি বরং এখানেই ইতি টানি সেই বিষয়ে।
বলছিলাম প্রেমটা স্বর্গীয়।
আসলেই স্বর্গীয়।যেখানে পাপের ছায়া থাকে না সেটাই তো প্রেম।দুটি আত্মা যখন একে অন্যকে বুঝতে শুরু করে সেটাই তো প্রেম।নাকি?
ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন।
প্রেমের উদাহরন দিতে গেলে শিরিন-ফরহাদ,রজকীনি-চন্ডিদাস,লাইলি-মজনু,শাহজাহান-মমতাজ যুগলগুলোর কথা আসে।
ওদের প্রেমের কথা লোকমুখে শুনা,কিংবা নাটক-সিনেমার বদৌলতেই জানা।ওদের প্রেম কতটুকু শ্বাশত আমি জানিনা।তবে কাহিনী শুনলে বুঝা যায় নিতান্ত কম ছিলনা তাদের প্রেম।
প্রেমটা স্বর্গীয়,আমি আবারও বলছি প্রেমটা স্বর্গীয়।
ইসলামে প্রেমের সবচেয়ে বিরল ঘটনা পাই আইয়ুব নবী-রহিমা বিবির ভালবাসায়।
সবাই কম বেশি সেটা জানেন।
আমি ওইদিকে আর না গেলাম।
প্রেমটা যুগ যুগ বেঁচে পৃথিবী মাতিয়ে বর্তমান সময়ে এসেছে।তাহলে এ যুগের প্রেমটা কোথায়?দামী মার্সেডীজ,মোটা মানিব্যাগ,পার্কের ঝোপে গিয়ে নাকি হয়।অবশ্য এই বিষয়ে অভিজ্ঞতার কাছে আমি দূর্বল।
তবে প্রাত্যহিক জীবনে দেখেছি প্রেমটা এমনি।
বাহঃ দিনবদলের সাথে সাথে প্রেমও বদলে গেলো।
চোখ মেলে থাকিয়ে দেখি বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে বিশেষ বিশেষ সাজে কপোত কপোতীর সমারোহ।
অনুষ্টানের রেশ কাটতে না কাটতেই উঠে হাহাকার।
আর্তচিত্কার।ধর্ষণ,শ্লীলতাহানী,লাঞ্চনার খবরে ভরে উঠে খবরের কাগজ,ব্লগ,নিউজফিড।তদন্ত,আন্দোলন,বিচারের আশ্বাস অতঃপর সবকিছু ভুলে যাওয়া।
বিশেষ দিনগুলি থেমে থাকেনা কোনো সময়।
এইগুলাও আমার বলার বিষয় না।কেননা এইসব পড়তে পড়তে আপনাদের উপন্যাস লিখার জ্ঞান অর্জিত হয়ে গেছে ইতোমধ্যে।
আমার একটা দূর্বলতা কোনো কথা স্বল্প পরিসরে বুঝিয়ে দিতে পারিনা।এমনিতেই কেউ আমার লিখা পড়ে না,গুটিকয়েক কয়েকজন পড়লেও তাদের বিরক্ত করে ছাড়ি।সেই জায়গাটায় আমাকে ক্ষমা করবেন।
বলছিলাম প্রেমটা স্বর্গীয়।যেখানে পাপের সংস্পর্শ থাকতে পারবে না।প্রেমটা হবে আত্মিক,বাহ্যিক নয়।কিন্তু সবদিক মিলিয়ে এযুগের যুগলগুলো প্রেমকে স্বর্গের ধারে কাছে যাওয়ার অত সময় নিতে চান না।সমুদ্র সৈকত,পার্কের ঝুপড়ি,দামী হোটেলগুলোতে স্বেচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায় কয়েকটা বিভত্স মুহুর্তের ব্যবধানে উষ্ণ তরল উগরে দিয়েই স্বর্গীয় সুখ খুজতে মরিয়া।অহরহ যেমনটা ঘটছে।
আধুনিক সমাজ এইসবের নাম দিচ্ছে প্রেম কিংবা ভালবাসা।
তখন আমি মিনমিন করেই বলবো..
ছিঃআধুনিক সমাজ সভ্য হয়েও এইসব অসভ্য কর্মকান্ডকে কেমন করে প্রেম কিংবা ভালবাসায় আখ্যায়িত করে?
ওইসবকে আমি বলব জৈবিক চাহিদা বৈ কিছু নয়।
ওইসব অসভ্যদের জন্য আজ প্রেম শব্দটাই অভিশপ্ত হয়ে দাড়িয়েছে।জৈবিক চাহিদা মেটানোর জন্য কেন এতো নাটক করতে হবে?যদি তোমার/আপনার প্রেমটা জৈবিক চাহিদার জন্যই হয় তাহলে প্রেম করো না।
জৈবিক চাহিদা পূরনে প্রেম করতে হয়না।প্রেমে নোংরামির জায়গা নেই।কটা টাকা খরচ করে নিষিদ্ধ পল্লীতে রাতের অন্ধকারে জৈবিক তরল উগরে দিয়ে প্রভাতের আলোর সাথে সাথে ভদ্রলোকের মুখোশটা পরে নাও,তবুও ভদ্রলোকের মুখোশ পরে কৌশলে প্রেমনামক অস্থায়ী নাটকে যেয়ো না।
কেননা প্রেম নামক পবিত্র শব্দটাকে তোমার অভিশপ্ত কর্মকান্ডে জড়িয়ে কলুষিত করার অধিকার তোমার নেই।
পবিত্র প্রেমগুলো বেঁচে থাক অনন্তকাল।