somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্টো পথে যাত্রা

১১ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ফিরোজ জামান চৌধুরী
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার লঙ্কাকাণ্ড শুরু হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেঙে ফেলে অধিভুক্ত প্রায় এক হাজার ৮০০ কলেজকে বিভাগীয় পর্যায়ের ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ ১১ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের বলি হতে যাচ্ছেন সারা দেশের কলেজপর্যায়ের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী।
প্রথম আলোর ২৩ মের `জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভেঙে দেওয়ার সরকারি উদ্যোগ সমর্থন করেন কি?' শীর্ষক অনলাইন জরিপে ৭১ দশমিক ৮৯ শতাংশ পাঠক সরকারের উদ্যোগের বিপে মত নিয়েছে। একই বিষয়ে পরের দুই দিনের প্রথম আলোর টেলিফোনে নাগরিক মন্তব্যগুলো তন্ন তন্ন করে পড়লাম। ওখানে পাঠকের ক্ষোভ আরও বেশি। মোট ৫৩টি টেলিফোন মন্তব্যের মধ্যে ৪৬ জনই সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তাঁরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় টিকিয়ে রেখেই এ সমাস্যার সমাধান চান। কিন্তু সরকারের শিক্ষাবিষয়ক নীতিনির্ধারকেরা চলছেন ভিন্ন পথে। জনমতের তোয়াক্কা না করে তাঁরা এটিকে `উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠান' হিসেবে প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোর।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আলোচনায় একটি বিষয় অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত লাভজনক প্রতিষ্ঠান, এটি শ্বেতহস্তী নয়। দেশের অন্য ৩০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেট থেকে কোটি কোটি টাকা দিতে হয়, কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে একটি টাকাও খরচ হয় না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ১০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ জড়িত। এটা নিয়ে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
সরকারের বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল, পিএইচডিসহ উচ্চতর গবেষণার জন্য এটিকে আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সরকারের চিন্তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের অবশ্যই উপযোগিতা রয়েছে। কিন্তু সে জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের `দখল' নিতে হবে কেন? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড ব্যবহারের প্রয়োজনটা কী? সরকার চাইলে আগামীকালই গবেষণামূলক একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে পারে। রাঙামাটি ও গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এর সঙ্গে নতুন একটি গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয় হতেই পারে। সে জন্য খুব বড় ক্যাম্পাসেরও প্রয়োজন নেই। সেটি হতে পারে ঢাকার আগারগাঁওয়ের ইউজিসি কার্যালয়ের আশপাশেই। তা ছাড়া পুরোনো সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি লাভের সুযোগ রয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে তাড়াহুড়ারও কিছু নেই।
সরকারের দ্বিতীয় যুক্তি হচ্ছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকেন্দ্রীকরণ। ১০ মে ২০০৯ প্রথম আলোর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেছেন, `জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সরকার আমাদের একটা নির্দেশনা দিয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, এটাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।' সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচক হিসেবেই গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু তাই বলে এটিকে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের দিকে চোখ ফেরানো যাক। সারা দেশের কলেজগুলো নিয়ে ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদালয়ের যখন গলদঘর্ম অবস্থা, তখনই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন পড়ে। কলেজের শিক্ষার্থীদের সেশনজটমুক্তভাবে শিক্ষাজীবন সমাপ্তির লক্ষ্যে ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মূল দর্শন পুরোপুরি সফল হয়নি। উল্টো এখানে সেশনজট বৃদ্ধি পেয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতি এখানে এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই। তবে যে প্রক্রিয়ায় তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্যর্থতার কারণেই যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভব, সেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ফিরে যাওয়া `এক ধাপ এগিয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে' যাওয়ার শামিল। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সন্ত্রাস, সেশনজটসহ বিভিন্ন সমস্যায় নিজেরাই হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে তাদের ওপর বাড়তি বোঝা চাপিয়ে দিয়ে কোনো সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। উদাহরণ হাতের কাছেই আছে। ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দুই মাস বন্ধ ছিল। সরকারের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অধিভুক্ত কলেজগুলো যুক্ত থাকলে কী হতো? সেসব কলেজের শিক্ষার্থীদের জীবনেও এই দুই মাসের বাড়তি সেশনজট যুক্ত হতো।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো যাত্রা শুরু করেনি। তাই বরিশাল বিভাগ থেকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ দায়িত্ব দেওয়ার জন্য বাছাই করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীসংখ্যা দেড় হাজারের মতো; সেখানে তারা কীভাবে লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর চাপ সহ্য করবে? এখানে বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয়ই নেই। কিন্তু কলেজগুলোতে এসব বিষয়ে ছড়াছড়ি। এসব বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য ওখানে কী ব্যবস্থা থাকবে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, `সাধারণ কলেজগুলোকে নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পে সম্ভব নয়। তবে বিশেষায়িত ও প্রযুক্তিনির্ভর কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিতে পারে।' (প্রথম আলো, ২২ মে ২০০৯)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও উচিত হবে নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা দ্রুতই প্রকাশ করা।
মাথায় সমস্যা হলে মাথা কেটে ফেলা কোনো সমাধান নয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ভেঙ্গে ফেললেই এর সমস্যা মিটবে না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার চরিত্র বজায় রেখেই এর সমাধান খুঁজেতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে একে জুড়ে দেওয়া হবে অবিবেচকের কাজ; এতে দুই পরেই সর্বনাশ ত্বরান্বিত হবে।
২.
এটা ঠিক যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ১০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর ভার সইতে পারছে না। সেশনজটই শুধু নয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দুর্নীতির চরম আখড়াও হয়ে পড়েছে। একে বেকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বিভিন্ন আঞ্চলিক শাখায় বিকেন্দ্রীকরণ করাই হবে উৎকৃষ্ট সমাধান। ঢাকা সবচেয়ে বড় বিভাগ হওয়ায় এবং এ বিভাগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও সর্বাধিক- প্রায় তিন লাখ। সুতরাং ঢাকা বিভাগের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুরের মূল ক্যাম্পাস ব্যবহার করাই হবে যুক্তিযুক্ত। অন্য ছয়টি কেন্দ্র হতে পারে ১. জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-চট্টগ্রাম কেন্দ্র (চট্টগ্রাম কলেজ), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-রাজশাহী কেন্দ্র (রাজশাহী কলেজ), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-রংপুর কেন্দ্র (কারমাইকেল কলেজ), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-খুলনা কেন্দ্র (বিএল কলেজ), জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-বরিশাল কেন্দ্র (বিএম কলেজ) ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-সিলেট কেন্দ্র (এমসি কলেজ)।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে এভাবে বিকেন্দ্রীকরণ করলে নতুন অবকাঠামো নির্মাণেরও প্রয়োজন পড়বে না। উপরিউক্ত ছয়টি কলেজেরই বিশাল ক্যাম্পাস ও অবকাঠামো রয়েছে; প্রাথমিকভাবে খুবই কম সময়ের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো কাজ শুরু করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় সদর কেন্দ্রের পরিচালক বা উপ-উপাচার্য হিসেবে কাজ করতে পারেন সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সংখ্যানুপাতে ছয়টি কলেজের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় প্রয়োজন অনুযায়ী স্থানান্তর করা যেতে পারে।
একটা কথা সবারই মনে রাখা উচিত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম `বিশ্ববিদ্যালয়' হলেও এটা অনেকটা `শিক্ষা বোর্ডে'র মতো প্রতিষ্ঠান। এটি কাজ করে শিক্ষা বোর্ডের আদলে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়রে উপাচার্যের কাজ বহুলাংশেই শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের মতো। সব সময় দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন শিক্ষক অতিথি হয়ে এখানে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ফলে প্রায় ক্ষেত্রেই তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের `কলেজ-সংস্কৃতি' পুরোটা বুঝে উঠতে পারেন না। হয়তো এবারও তাই হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি কলেজের গ্রহণযোগ্য কোনো শিক্ষককে উপাচার্য পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টিও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ভাবতে হবে।
সরকারের শিক্ষাবিষয়ক নীতিনির্ধারকেরা বারবার ভুলে যাচ্ছেন যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সমস্যা ব্যবস্থাপনার সংকট। ব্যবস্থাপনার মান উন্নত করে এ প্রতিষ্ঠানকে গতিশীল করা সম্ভব। তখন আপনাআপনিই এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পাবে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিগত জোট সরকারের আমলে দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া প্রায় এক হাজার বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষক-কর্মচারীকে সায়েস্তা করতেই জাতীয় বিশ্ববিদালয়কে ভেঙে ফেলার এ উদ্যোগ। দুর্নীতির কারণে যেসব নিয়োগ হয়েছে, অবশ্যই তা নিন্দাযোগ্য। মাত্রাতিরিক্ত ও অবৈধভাবে যেসব নিয়োগ হয়েছে, সেসব নিয়োগ অবশ্যই পুনর্মূল্যায়নের দাবি রাখে। তাই বলে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কেই ভেঙ্গে ফেলা কোনো শুভবুদ্ধির পরিচয় নয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে চলমান প্রক্রিয়াটি শুধু একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার, স্থানান্তরের বিষয় নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ১০ লাধিক শিক্ষার্থীর জীবন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্তে যাওয়া ঠিক হবে না। সরকারের উচিত এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পরামর্শ নেওয়া। চাপিয়ে দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে চাইলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হতে পারে, সেটিও সরকারকে আগাম ভাবতে বলি। আশা করা যায়, সরকার সেদিকে পা না বাড়িয়ে বিভিন্ন পরে মতামতের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণকর সিদ্ধান্তটিই নেবে।

[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০০৯ সকাল ১১:২৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা নিয়োগ কারা দেয় ?

লিখেছেন মেঠোপথ২৩, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের সফল পরিসমাপ্তির পর আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা ডক্টর ইউনুসকে দেশের ক্ষমতা গ্রহন করার আহবান সেই শহীদ মিনার থেকেই জানিয়েছিল। ডক্টর ইউনুস প্রথমে অরাজি হলেও পরে ছাত্রদের হাজারো অনুরোধের মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণমুখী একটি চাওয়া

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২০


মানুষের মুখে হাসি ফুটুক,
আঁধার মুছে আলোর ছোঁয়া,
ক্লান্তিহীন পথ চলুক,
নতুন স্বপ্ন আনবে জোড়া।

দিনবদলের শপথ নিয়ে,
কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করে যাই,
নদীর স্রোতে ভেসে ভেসে
একটি স্রোতে মিলিয়ে যাই।

সবার তরে সমান বিচার,
ধনীর দুঃখীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলার একমাত্র অভিশপ্ত রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ

লিখেছেন জ্যাকেল , ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

২৩শে জুন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব জনাব সিরাজ উদ দৌলা ব্রিটিশদের কাছ হেরে যান কেবলমাত্র মীরজাফর, জগৎশেট, রাজভল্লভ, ঘষেটিদের কারণে। বাংলার ইতিহাসে এই দিনটি একটি অভিশপ্ত দিন। এর পর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের গ্রামের বিয়ের বর দেখা

লিখেছেন প্রামানিক, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৩


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

একদিন পরেই শুক্রবার। সকালেই বাবাকে ঐ বাড়ির ঘরবর (অর্থাৎ বর দেখা অনুষ্ঠানকে আঞ্চলিক ভাষায় ঘরবর বলে) উপলক্ষে ডাকা হয়েছে। বাবা সকালে গিয়ে বর দেখা উপলক্ষ্যে কি কি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওবায়েদুল কাদের কি মির্জা ফখরুলের বাসায় আছেন?

লিখেছেন রাজীব, ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

"পালাবো না, পালিয়ে কোথায় যাবো? দরকার হলে মির্জা ফখরুলের বাসায় আশ্রয় নেবো। কি ফখরুল সাহেব, আশ্রয় দেবেন না?" ওবায়েদুল কাদের একটি জনসভায় এই কথাগুলো বলেছিলেন। ৫ই আগষ্টের পরে উনি মির্জা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×