আরব বিশ্বের দেশ ব্রুনাইতে শরিয়া আইন চালুর ঘোষণা করেছেন ব্রুনাইয়ের সুলতান হলিউডভক্ত, বেভারলি হিল হোটেলের মালিক হাজি হাসান আল বলকিয়া।
ব্রুনাইয়ের সুলতানের ঘোষণা অনুসারে শরীয়া আইন অনুযায়ী এ দন্ডবিধিতে যেসব শাস্তি অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে সেগুলো হল, ব্যভিচারের করলে পাথর ছুঁড়ে ছুড়েঁ মেরে ফেলা, চুরির অপরাধে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা; গর্ভপাত, মদ্যপান ও সমকামিতার জন্য প্রহার করা।
(সূত্র- http://www.notun-din.com)
শরিয়া আইন চালুর ঘোষণা দিলেও সুলতান নিজেই শরিয়া আইন ভঙ্গ করে চলেছেন প্রতিয়িনত। শত শত উপপত্নি ও রক্ষিতা রাখা, ধর্ষণ, সমকামিতা ও অবাধ যৌনাচারের ইউরোপীয়দেরও হার মানিয়েছেন তিনি। সুলতানের এমন যৌনাচারের কথা গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন সুলতানের লালসার শিকার নিউইয়র্ক টাইমসের বেস্ট সেলার বই ‘সাম গালর্স: মাই লাইফ ইন এ হারেম’ এর লেখক জিলিয়ান লরেন।
লরেনের বক্তব্যের সত্যতা থাকুক আর নাই বা থাকুক, এটা সত্য, আরবের শেখ বা সুলতানদের ক্ষেত্রে শরিয়া আইন প্রযোজ্য নয়। সুলতানরা নিজেদের ক্ষমতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাখে। নিজেরা ইউরোপ-আমেরিকায় হোটেল ব্যবসা খোলেন, নারীদের বিবস্ত্র করে ভোগ করে অবাধে। আবার ইচ্ছা হলেই এরা পর-নারীর কোলে বসে জারি করে ইসলামী শরিয়া আইন।
এদেরকে আর যাই বলা যাক, ইসলাম ভক্ত বলা উচিত হবে না। সেটা বললে, বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের আপামর মুসলমানকে অপমান করা হবে।