ইসলাম ধর্মানুসারীদের কাছে কোরআন শরীফ পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। কোরআনকে অবমাননার অভিযোগে ধর্মীয় সহিংসতার ইতিহাসও কম নয়। বাংলাদেশেও এমন ধর্মীয় সংঘাতের ইতিহাস আছে। সারা বিশ্বের মুসলমানরা যখন কোরআনের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষায় জীবনকে উৎসর্গ করছে, তখন ইসলামের নামে পাকিস্তানের এক দল কোরআন বোমা তৈরি হামলা করছে মুসলমানদের উপর। সূত্র: http://www.notun-din.com/?p=15891
এমনিতে, পাকিস্তানের সালাফীরা অন্য মুসলিম সম্প্রদায়গুলোকে মুসলমান বলে গণ্য করে না। প্রায়ই সম্প্রদায়গুলো নিজেদের মুসলিমত্ব দেখানর কাজে একে অন্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। হামলা করে মসজিদে। তবে এবার মসজিদের পরে কোরআনকে হামলার হাতিয়ারে তৈরি করেছে সালাফীরা।
সম্প্রতি পাকিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে দেশটির সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়। সেনা সদস্যটি রাস্তায় পড়ে থাকা একটি কোরআন শরীফ তুলে আনতে গেলেই তা বিস্ফোরিত হয়। ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
পরে জানা যায়, কোরআন শরীফের আদলে বস্তুটি একটি বোমা ছিল। পাকিস্তানের ইসলামের নামের জঙ্গিবাদ ছড়ান গোষ্ঠীগুলো এমন অনেক বোমাই তৈরি করে। যখনই শত্রুপক্ষ সামনে আসে, ছুড়ে মারা হয় কোরআন। সশব্দে বিস্ফোরিত হয়ে প্রকম্পিত করে পুরো এলাকা। রক্তে ঝরে অনেকের।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ইসলামের সেবা ও রক্ষার নামে কোরআন বোমা কেন মারতে হবে? যে ব্যক্তিরা কোরআনের মর্যাদা রক্ষার নামে কোরআনের প্রতি মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে এমন বোমা বানায়, তিনি কি আদতে কোন মুসলমান? তাদেরকে কী মুসলমান বলা চলে?
,