মুফতি ইজহারের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার পেছনে তার বংশ পরিচয়কে অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়। মুফতি ইজহার দাবি করেন, তিনি ইসলামের প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর সিদ্দিকী (রা এঁর ৩৪তম বংশধর। উল্লেখ্য, কুরাইশ বংশের ওপর দিকে ষষ্ঠ পুরুষ ‘মুররাতাএ’ গিয়ে রাসুলাল্লাহ (সা) এঁর বংশের সাথে আবু বকর সিদ্দিকী (রা এঁর বংশ মিলিত হয়েছে। আবার রাসুলাল্লাহ (সা) এঁর বিবি আয়শা সিদ্দিকার বাবা হন আবু বকর সিদ্দিক। এই কারণে মুফতি ইজহারের অনুসারীরা তাকে বিশেষ সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখে দেখে।
এছাড়া মুফতি ইজহার তার অনুসারীদের বলে থাকেন, নবাব শায়েস্তা খানের সময় তার প্রপিতামহ একাধারে ইয়েমেন ও আরকানের (চট্টগ্রাম যে আরকানের অধিভুক্ত ছিল) প্রশাসক ছিলেন।
মুফতি ইজহার নিজেকে চট্টগ্রামের সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিচয় দেন। কাজী পরিবারের সন্তান মুফতি ইজহারের বাবার নাম কাজী আজীজ আহমেদ। মুফতি ইজহার দাবী করেন অবিভক্ত বাংলার কলকাতা এ্যাসেম্বিলর এম এল এ খান বাহাদুর বদি আহমেদ চৌধুরী ছিলেন তার চাচা। মুফতি ইজহার নিজের সম্পর্কে বলেতে গেলে “চট্টগ্রাম মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের প্রথাম মেয়র” মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর নামটিও নিজের চাচাত ভাই হিসেবে অত্যন্ত যত্নসহকারে উল্লেখ করেন।
মুফতি ইজহারের তুতো বোন কামরুন নাহার জাফর যে জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন সেটিও মুফতি ইজহার তার অনুসারীদের জানাতে ভোলেন না।
১৯৪৫ সালে জন্ম নেওয়া মুফতি ইজহার বর্তমানে আল্লামা আহমদ শফীর নিয়ন্ত্রণাধীন হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা থেকে দাওরা-এ-হাদিস বিভাগে প্রথাম শ্রেণীতে প্রথাম হয়েছিলেন। এছাড়া পাকিস্তানের লাহোরের জামিয়া আশরাফিয়া থেকে ১৯৬৭ সালে তিনি হাদিস (সিয়া সিত্তা) নিয়ে বিশেষ গবেষণা করে প্রথম বিভাগ পান বলেও দাবী করে থাকেন।
পূর্ব পাকিস্তানের আলিম পরীক্ষায় ১৯৬৫ সালে মুফতি ইজহার প্রথম বিভাগ পেয়েছিলেন। তিনি পাকিস্তানের গ্র্যান্ড মুফতি মুহাম্মদ শাফি (রাঃ) এবং পূর্ব পাকিস্তানের গ্র্যান্ড মুফতি মুহাম্মদ ফাইজুল্লাহ (রাঃ) অধীনে ইসলমী আইন বিষয়ে গবেষণা করেছেন।
একাধিক ইসলামী ব্যাংকের অংশীদার মালিক-উদ্যোক্তা মুফতি ইজহার মুহসিনা এন্ড সন্স লিমিটেড নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। এই প্রতিষ্ঠানটিও চট্টগ্রামের লালাখান বাজারের চাঁনমারি রোডে অবস্থিত।
ইসলামী ঘারনার পণ্ডিতদের মধ্যে মুফতি ইজহার দেশভ্রমণের জন্যও বিশেষভাবে সমাদৃত। তিনি সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, আরব আমিরাত, পাকিস্তান, ব্রুনাই ইত্যাদি ছাড়াও জাপান, সিংগাপুর, এমনকি থাইল্যান্ডেও বেড়াতে গেছেন।
তথ্যসূত্র: http://www.notun-din.com/?p=8968
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৭