ভাইগনা আমারে জিগায় মামা মানে কি??
২০ মিনিট মনে হয় যাত্রাবিরতী আর বাকিটা কি বুঝতে পারছি না...জোরে এক ডাক দিলাম "সুপারভাইজার"
সামনে আসা মাত্র প্রশ্ন করলাম ভাই ১৬২৪, ২০ মিনিট কি?
উত্তরে যা জানা গেলো তা হলো ১৬২৪ গাড়ি নাম্বার

মনে মনে কইলাম শর্টকার্ট করতে করতে যা অবস্থা ভাবার্থ বুঝার জন্য তারেই আবার ডাকতে হয়


যাক আড়মোড় ভেঙ্গে বাস থেকে নামতেই শীত জেকে বসলো...সাইনবোর্ড এর লেখা দেখে বুঝতে পারলাম বর্তমান অবস্থান কুমিল্লার কোটবাড়ি।
সময়ের কথা মনে পড়তেই ঘড়ির দিকে তাকালাম....সময় যা দেখলাম তাতে চোখ কপালের তোলার মতই অবস্থা....তখন রাত ৩.০০।




ভাইগনা জিগায় মামা কি হইছে? আমি বললাম মামারা দেড় ঘন্টায় যদি কুমিল্লা কোটবাড়ি পৌছতে পারি ইনশআল্রাহ ৬ টার মধ্যে বান্দরবন পৌছে যাব, চিন্তা কইরনা...৮টা বা ১০টা কোনটাই বাজবে না।


একটু সামনে এগুতেই টয়লেটে ভালো একটা ভিড় লক্ষ্য করা গেলো....আরেকটু এগিয়ে হোটেলের দিকে যেতেই সাইনবোর্ড চোখে পড়ল.. "ভিতরেও টয়লেট আছে"


যাত্রা শুরুর পরই বুঝতে পারলাম কিভাবে দেড় ঘন্টায় কৃমিল্লায় চলে আসলাম...গতি, ওভারট্যাকিং...মুভিং সবকিছু মিলে দক্ষতার ছাপ বেশ স্পষ্ট......ড্রাইভারের কলা কৈাশল দেখতে দেখতে আমরা আবারও ঘুমের রাজ্যে।
ঘুম ভাঙ্গতেই চোখ খুলে দেখি চট্রগাম অতিক্রম করছি...কিছুক্ষন পরেই কর্ণফুলি ২য় সেতুর কাছে চলে আসলাম...অনেকটা ভালো লাগা মনের অজান্তেই মনের মাঝে স্থান করে নিলো....
ভোরের স্নিগতা....প্রবাহমান নদী...কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাওয়া চারপাশ.... তারমাঝে আবছা জাহাজের পাটাতন ও সবুজের উকি দেওয়া...এক কথায় চমৎকার....
সেতু পার হয়ে আধা ঘন্টা পথ পাড়ি দিতেই চোখে পড়ল গ্রীন লাইন স্কেনিয়ার একটি গাড়ি রাস্তার মাঝেই দাড়িয়ে গেছে....ড্রাইভার দারুন উৎসাহের সহিত ঘোষনা করিলো " ইসসস....দেড় কোটি টাকা একেবারে রাস্তার মাঝেই খাড়াইয়া গেছে" ভাব দেখে মনে হচ্ছে সে বেঝায় খুশি....



(বাসের দাম কত জানা নাই)
যাক প্রকৃতির দৃশ্য অবলোকন করতে করতে আমরা অগ্রসর হচ্ছি.....ভালোই লাগছিলো..সবুজের মাঝে হু হু করে বেয়ে যেতে....আবারও ছোটঘাট প্রতবিন্ধকতা....গতি কমে এসেছে বাসের....সামনে মানুষের জটলা...পাশে আরেকটা স্কেনিয়া পড়ে আছে ...সম্মুখটা দুমড়ে মুছড়ে।
ড্রাইভারের আবারো উৎসাহিত কন্ঠে বক্তব্য প্রকাশ....."বেচারা গাছটা কি ব্যাথাই না পাইলো


ভাইগনা বললো মামা গ্রীন লাইনের সাথে ব্যাটার মনে হয় আগের ক্ষোভ আছে...মনে হয় ওখানে চাকরির জন্য আবেদন করছিলো কিন্তু পাই নাই...তাই এখন ঝাড়তাছে......

আমি বললাম হইতে পারে, নাহলে ব্যাটা এত খুশি হবে কেন???


(চলবে)
প্রথম পর্ব