ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় সুইতলা মল্লিকপুর গ্রামে এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় বটগাছটির কিছু অংশ এখনো বেঁচে আছে। বটগাছটি বিশ্ববট নামে পরিচিত। গাছটির বয়স কমপক্ষে ৩০০ বছর। অনেক বছর আগে বয়সের ভারে আর ঝড়ে একটি শাখা থেকে আরেকটি শাখা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনেক ঝুরি চুরি করে কেটে নেয়া হয়েছে এবং বেশকিছু ঝুরির মৃত্যুও হয়েছে। ফলে গাছটি এখন আর একক কোন গাছ নয়। বিচ্ছিন্নভাবে অনেক জায়গা জুড়ে গাছটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। একসময় গাছটির দুই হাজার ঝুরি ছিল, এখন সেই ঝুরির সংখ্যা কমে কয়েক শ হয়েছে।
বটগাছের জায়গাটির মালিক ছিলেন রায় গ্রামের জোতদার নগেন সেনের স্ত্রী শৈলবালা সেন; পরবর্তীতে জায়গাটি খাস হয়ে যায়। এই গাছের নিচে একসময় কুমোরপল্লী ছিল। সেখানে একটি কুয়ার মধ্যে গাছটি জন্ম নেয়। পরবর্তী সময়ে ডালপালা মেলে পুরো মাঠ বটের দখলে চলে যায়। একসময় তিথি অনুযায়ী ওখানে পাঠা বলি হতো। বর্তমানে সেখানে একটি স্থায়ী কালীপূজার আসন স্থাপিত হয়েছে। গ্রামবাসীর মতে কেউ এর ডালপালা কাটলে তার ক্ষতি হয়ে যায়।
অন্যদিকে ভারতের দাবি, কলকাতার বোটানিক্যাল গার্ডেনের বটগাছটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বটগাছ। যদিও মল্লিকপুরের বটগাছটি কলকাতার বটগাছের চেয়ে সবদিক থেকেই বড়। উইকিপিডিয়ায় পাওয়া কলকাতার বটগাছের ছবি -
***আপলোডের সময় ছবিগুলো ঘোলা হয়ে গেছে। পরিস্কার ছবি আমার ফেসবুক থেকে দেখতে পারেন - এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ বটগাছ
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৫