কিছুদিন আগে ঘুরে এলাম রবীন্দ্র কুঠিবাড়ী, কুষ্টিয়া; সে ভ্রমণের ছবিগুলো নিয়ে এই পোস্ট।
চত্বরে প্রবেশ মুখে বামপাশে আছে ডাক বাংলো -
ভেতরে ঢুকার পর দেখা মিলবে দুইটি পাহারাদার ঘরের -
ফুলবাগানের মাঝ দিয়ে সোজা কুঠিবাড়ীর দরজা -
সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেলে বারান্দায় মিলবে একটা নৌকা -
"বেলায় উঠে দেখলুম রোদ্দুর উঠেছে এবং শরতের পরিপূর্ণ নদীর জল তল তল থৈ থৈ করছে। নদীর জল ও তীর প্রায় সমতল, ধানের ক্ষেত সুন্দর সবুজ এবং গ্রামের গাছপালাগুলি বর্ষারসানে সতেজ ও নিবিড় হয়ে উঠেছে। এমন সুন্দর লাগল সে আর কি বলব।....... পৃথিবী যে কি আশ্চর্য সুন্দরী এবং কি প্রশস্ত প্রাণে এবং গভীরভাবে পরিপূর্ণ তা এইখানে না এলে মনে পড়ে না।"
সেখানে থেকে প্রবেশ পথটা এমন দেখায় -
দেয়ালে'র ফ্রেমে কবি গুরুর জীবন ও কর্ম -
কুঠিবাড়ীতে পালঙ্কে বসে থাকা কবি -
ব্যবহৃত পালঙ্ক -
ব্যবহৃত পালকি -
অনেক পুরাতন একটি ছবি -
ব্যবহৃত সামগ্রী -
বালক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -
খাজনা আদায়ের টেবিল -
জমিদার বাবু -
বিভিন্ন সময়ে তোলা ছবি -
"আমার যৌবনের ও পৌঢ় বয়সের সাহিত্য-রস-সাধনার তীর্থস্থান ছিল পদ্মাপ্রবাহ চুম্বিত শিলাইদহ পল্লীতে। সেখানে আমার যাত্রাপথ আজ আর সহজগম্য নয়। কিন্তু সেই পল্লীর স্নিগ্ধ আমন্ত্রণ সরস হয়ে আছে আজও আমার নিভৃত স্মৃতিলোকে, সেই আমন্ত্রণের প্রত্যুত্তর অশ্রুতিগম্য করুণ ধ্বনিতে আজও আমার মনে গুঞ্জরিত হয়ে উঠেছে।" (১০ই চৈত্র, ১৩৪৬-এ লেখা) -
কবির নদী পথে চলার সঙ্গী পদ্মা বোটের ছবি -
বকুল তলার পাশে পুকুরে রাখা পদ্মা বোটের রেপ্লিকা -
কুঠিবাড়ীর কারুকাজ -
আম্র বাগানের স্মৃতিচিহ্ন -
পেছনের দিক থেকে দেখা কুঠিবাড়ী -
বাম দিক থেকে -
পেছনের পেঁচানো লোহার সিঁড়ি -
বকুল তলার পথ, গেটের পাশে আছে সংরক্ষিত কুয়া -
"নামিছে নীরব ছায়া ঘনবন শয়নে
এ দেশ লেগেছে ভালো নয়নে।"
রবীন্দ্র মঞ্চ -
"I do not wish to die in this lovely world.
I wish to live as man among men,
With the sun shining, the flowers in bloom,
And perchance some loving heart responding!
How varied is the game of life on this earth,
Its meetings and partings, its laughter and tears!
Oh to sing of man's joys and pains
And leave behind a melody undying!"
"অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরদা দ্বারকানাথ ঠাকুর শিলাইদহ জমিদারী ক্রয় করে ১৮১৩ সালে তিনি কুঠিবাড়িটি নির্মাণ করেন। দ্বিজেন্দ্রনাথ, জ্যোতিবিন্দ্র নাথ, হেমেন্দ্রনাথ, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ ঠাকুর বংশের প্রায় সকলেই পদ্মা গড়াই বিধৌত এখানে বসবাস করেন। মূলতঃ জমিদারী কাজকর্ম দেখাশুনার জন্য এই বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছিল। সে সময়ে ঠাকুর পরিবারে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ; নাটোরের পতিসর ও পাবনার শাহজাদপুরে তিনটি জমিদারী ছিল। পারিবারিক আদেশে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে জমিদারী পরিচালনার জন্য এসেছিলেন।"
ফিরে দেখা -
ফেব্রুয়ারী মাসের ছবিব্লগ
জানুয়ারী মাসের ছবিব্লগ
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১১