প্রিয়,
টানাবর্ষনের আশায় চৌচির জমিনের অপেক্ষা এক প্রথম ফোঁটা জল
যেন হাজার বছরের অভিশপ্ত বালিয়াড়ী একটি পাতার দেহ-স্পর্শ চায়
রুপ লাবন্যর অমোঘ দর্শন চায়, পৃথিবীর পাথরে পাথরে আঘাত সহা
আমার জিজ্ঞাসায় আজ রক্তাক্ত, দ্বারে দ্বারে ভিক্ষ চাওয়া মানবতার এক দৃষ্টি
আজ উপেক্ষিত শ্লোগান। ‘ভালবাসা চাই না’, ‘ভালবাসা চাই না’ চাই না কোন
সুখের মিলনে ঘর্মাক্ত তৃপ্তি,কেবল এতটুকু আরতি, ওগো প্রানের সারথী
একটি বার বিশ্বাসকে ঢলতে দাও বিশ্বাসের বাহুতে, পূর্ণ যৌবনে, বস্ত্রহীন
বর্মহীন, আদিমতায় সম্পূর্ণ এক মানবীর প্রকৃত চিত্রে,সবুজ পবিত্র
সত্যিকার প্রকৃতি পত্রে। একটি বার ঢলে যেতে দাও, তোমার হৃদয়
সেই হৃদয়, যে হৃদয়,শিশু হৃদয়,দাদীর বানোয়াট গল্পে ক্ষনে ক্ষনে ভীতু
ক্ষনে কেঁপে কেঁপে ওঠা হৃদয়। আমি চাইনি, দাসের সুত্রে গেঁথে রাখবো
তোমার মান যোজন কিংবা বিয়োজনের উর্ধ্ব নিম্নমানের সমাধানে,
আমি চাইনি আশের সুত্রে মিথ্যা আশ্বাসের পশরা সাজিয়ে তোমায় ভুলিয়ে
ভালিয়ে হাটুর যাতাকলে পীষতে, না কখনো চাইনি, আমি, কোন সুদ
যতটুকু দিয়েছি অসুখ রাতের ঘুমে,ভালবাসার নির্ঘুমে, গুনগুনে,আমি
চেয়েছি আসল, আমি চেয়েছি মূল, শুদ্ধ কি অশুদ্ধ, সঠিক কি ভুল
দেখতে চাইনি, চেয়েছি হৃদয়, সেই হৃদয়, যে হৃদয়,দাদীর বানোয়াট
গল্পে গল্পে ক্ষনে ক্ষনে কেঁপে ওঠে,সেই হৃদয়,ওগো অন্ধকারের বিপরীতে উদয়
ওগো সদয়,আমি পৃথিবী দেখি, অবাক হয়ে পৃথিবী দেখি,জমিনে বিচরিত
মানুষ মুখোশে অমানুষ দেখি, তারপর তাদের খুঁজি হৃদয়ে সেই সব মুখোশে,
বিশ্বাস করো, কোথাও হৃদয় নেই,সেই হৃদয়,যে হৃদয় তুমি হাসলেই হাসবে
তোমার কান্নায় কাঁদবে,তোমার সাহায্যে ভাববে,তোমার ক্ষতে মলম হবে,
এমন হৃদয়, শিশুর মত হৃদয়।প্রিয়,
তারিখগুলো ক্রমশ বয়সেক শূণ্যর কোঠায় নিয়ে যাচ্ছে,জীবনের সাথে
সংসারের ঘর্ষন বিদ্যুৎ বেগে আমাকে কোথায় যেন নিয়ে যাচ্ছে,এই
এতটুকুই যে জগত শব্দর,তার ভেতরই কেবল আমি, আমি
বাকি পুরোটা পথ আমি ঘরামী, না দর-দামী,না অসংযমী
সত্যিকার ভাল মানুষটির যে দাবী আমি রাখি,তার পথে পথে নিজেকে খুঁজি
বিশ্বাস করো, বড় বেশি বিয়োগফল আমাকে তপ্ত করে, ধর্ম আর
মমর্কথার যাতাকলে জব্দ করে, প্রয়োজন আর আয়োজনের টানাহেঁচড়ায় শেকল আবদ্ধ করে
সত্যিকার যে মুখোশ আমি পড়ি, তারভেতর আমি কেবলি খুঁজি,আমাকে,খুঁজি
সে পথে থেকে বেরিয়ে যাবার দ্বোর, করি শোর, বাড়াই বাহুডোর তোমার পানে
ওগো প্রানের প্রানে, দিনভর ধুলোর রাজ্য পেরিয়ে সন্ধ্যার প্রশান্তি যেথায় নামে
ওগো সেখানকার গানে আমি খুঁজি, আমি খুঁজি তোমার মুখটি,ওগো ভাবনার সুখটি
বিশ্বাস করো,কেবলি এই শব্দ চাতুরতার জালেই আমি আছি জীবনে জড়িয়ে
মহাকালের প্রবল স্রোতে ভেসে যেতে যেতে সেই এই জাল,যা তুলে নিয়েছে আমায়
তোমার ভালবাসার দলে,ওগো আবেগের সদলবলে, ওগো হাসির ফোয়ারা সুখের বলে
ওগো ভরা প্রেমের ছুঁই ছুঁই আবেগ টলটলে,এই এতটুকুই যে জগত শব্দর,তার ভেতরই কেবল
আমি, আমি।
“হৃদয় যখন দিয়েছি,ব্যাথার অগ্রিম দেনা ক্রেডিট করা আছে
তুমি কতটুকুই আর প্রভিশন চাও,কতটুকু আর সুদহার বসাবে
আমি ঢের ভালবাসতে যদি পারি, ঢের ক্ষমায় ব্যথা কেন সইতে পারবো না”
“নির্ঝাস ক্ষয়ে পাতা খড়কুটো হয়
ভালবাসায় মিলন হলে তিন এক এক দুটোয় হয়
সেই তিন ভেংগে ভেংগে আবার এক এক হয়
পৃথিবীর বড় নিষ্ঠুর প্রিয়, মানুষ ম্যাকাপে চলে,আসল চেহারা আড়ালে থেকে যায়”
“সংসার কোন চার দেয়ালের ফ্রেম নয়
দ্রুত বেগে মৃত্যুর দিকে চলা কোন ট্রেন নয়
ভালবাসা বিহীন লেগে থাকা যেমন চারদেয়ালে কয়েদখানা
যেন বৃথা চেষ্টায় পৌরষহীন মুখঘষা এক চেষ্টা
যেন সমুদ্র মাঝে বেসে,আজন্ম এক তেষ্টা”
ভাল থাকুক তোমার শব্দরা,এদের শব্দতন্ত্রীরা,যন্ত্রযন্ত্রীরা,জীবনের মন্ত্র-মন্ত্রীরা,স্বাধের অন্ত্র-অন্ত্রীরা,বসন্ত-বাসন্ত্রীরা,হৃদয়ন্ত্র-হৃদয়ন্ত্রীরা……..