বৈশাখ উপলক্ষে বাণী না দিলে কেমন হয়? কিন্তু আমি তো বাণীকর নই, বলতে পারেন কবিতাকর। একটা কবিতাই লিখে ফেললাম। সবাই মিলে সপরিবারে অবিস্মরণীয় কবিতাটি উপভোগ করুন, এবং ফেইসবুক, ব্লগ, ওয়াটসাপ, ভাইবার, ইমোতে শেয়ার করে আমার পক্ষ থেকে অশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্ত হোন।
এসো হে বৈশাখ
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো
ফকির বাবার ঝাড়ফুঁক দিয়ে
রোগীদের রোগ দাও সারিয়ে
সারা বছরের গুনাহ দূর হয়ে যাক
যাক যাক
এসো এসো...
যাক দূর হয়ে কষ্টের স্মৃতি
যাক ছ্যাঁকা খাওয়া প্রেম প্রীতি
যাক মুছে চোখের পানি সুদূরে মিলাক
যাক যাক
এসো এসো...
মুছে যাক দুঃখ ঘুচে যাক খরা
বৃষ্টির পানিতে পবিত্র হোক ধরা
সুরের আবেশ রাশি
ঢেলে দাও বাসায় আসি
বাজাও বাজাও, হগলে মিলে আনন্দের ঢাক
ঝগড়াঝাটি মারামারি পরচর্চা যাক, দূরে যাক
যাক যাক
এসো এসো...
**
উল্লেখ্য, আমার মূল ভাব ডাকাতি করে এ কবিতাটির অনুরূপ একটি কবিতা লিখেছেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সে অনেক অনেক কাল আগের কথা। আমার এ উচ্চমার্গীয় কবিতাটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনারা প্রকৃত ঘটনাটা আঁচ করিতে পারিবেন।
**
আমার মূলভাব নিয়ে লেখা রবীন্দ্রনাথের কবিতার অবস্থা দেখুনঃ
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে
মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক যাক
এসো এসো...
যাক পুরাতন স্মৃতি
যাক ভুলে যাওয়া গীতি
যাক অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক
যাক যাক
এসো এসো...
মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা
অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা
রসের আবেশ রাশি
শুষ্ক করি দাও আসি
আনো আনো, আনো তব প্রলয়ের শাঁখ
মায়ার কুঁজঝটি জাল যাক, দূরে যাক যাক যাক
এসো এসো...
এইখানেই কি শেষ? গানও বান্ধিয়াছিলেন বটে।
শুভ নববর্ষ ১৪২৬ (অগ্রিম)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৯