এমন সময়ে তুমি আসবে, যখন বিভোর বসন্ত অঘোরে লাল-নীল-হলদু ছড়াবে;
তখন নবীন কিশলয়ের মতো গজিয়ে উঠবে প্রেম। পৃথিবীর চোখ
তৃষ্ণায় ছানাবড়া হবে, মানুষে মানুষে অদ্ভুত সম্মিলন।
কখনো কখনো এত বেশি ভালো লাগে, মনে হয়
বড় স্বল্পায়ু এ জীবন। হায়, এ জীবন অফুরন্ত হলো না কেন?
কেন এ জীবন ক্ষুদ্রকাল পর
শেষ হয়ে যাবে? কেন চলে যেতে হবে অন্তহীন অন্যজীবনে?
শৈশবের মায়ের দোল, কৈশোরের আড়িয়াল বিল, অজস্র মানুষের
প্রিয়মুখ- এসব পেছনে রেখে, হায়, আমি কীভাবে কাটাবো
সেই অনন্ত মহাকাল?
সুদূর ওপারে তোমার বাস! কতকাল পর আসবে, চোখভরা
ক্ষুধা ও আকুতি!
আমার জন্য কত কী উপহার নিয়ে আসবে তুমি!
আমি তো কিছুই চাই না। আমি চাই বছরের বার মাস বসন্ত আর
প্রেমের অসুখ।
আমি আর কিছুই চাই না। তোমার হৃৎপিণ্ডে হাত রেখে,
এই সুন্দর পৃথিবীর অপূর্ব নীলিমায় চোখ রেখে
একটা বৃহৎ জীবন বেঁচে থাকতে চাই।
তারপর নিয়তির অলঙ্ঘ্য বিধানে যেতে তো হবেই
অনন্ত অন্যজীবনে।
আমি সেই অন্যজীবনে
প্রতিদিন সুন্দর ভোর চাই পৃথিবীর মতো- আরো চাই
মায়ের হাসিমুখ, আমার আড়িয়াল বিল,
জন্মভূমি ডাইয়ারকুম গ্রাম- প্রাণপ্রিয় মানুষের,
স্বজন-শুভানুধ্যায়ীর সরল সান্নিধ্য,
নিত্য-সহচর বাল্যের সাথিরা, পদ্মাপাড় খেলাঘর
যেখানে তোমার নিশ্বাস ছুঁয়ে যাবে আমার নিশ্বাস অনন্তর।
২১ অক্টোবর ২০১৬
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১০