জান্নাতে হুর থাকবে। হুর স্বাধীন নারী। তারা জান্নাতের নারী কর্মচারী। স্বাধীন নারীর সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়তে হলে বিয়ে করতে হয়। আর স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া বিয়ে করা যায় না।জন্নাতে রিপু থাকবে না। কাজেই স্বামীরা স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে হুরকে বিয়ে করতে চাইবে না।জান্নাতে ইচ্ছার স্বধীণতা থাকবে। কাজেই স্ত্রী যে কয়টা হুর বিবাহের অনুমতি দিবে সে কয়টা হুর বিয়ে করা যাবে। আর স্ত্রী মোটে অনুমতি না দিলে কেউ হুর বিয়ে করতে চাইবে না।জান্নাতে কোন জবরদস্তি নেই। কাজেই জান্নাতে হুরকে বিবাহ করতে জবরদস্তি করা হবে না।রিপু না থাকায় জান্নাতে কারো উল্টা-পাল্টা ইচ্ছা করার কোন সম্ভাবনা নেই। জান্নাত ইচ্ছা পূরণের স্থান। কাজেই নারীরা যদি চায় তাদের স্বামীরা একলা তাদের থাকবে তাদের অন্য কোন ভাগিদার থাকবে না।তবে তাদের ভাগীদার থাকবে না বা তাদের ঘাড়ে সতীন চাপানো হবে না। কাজেই হুর নিয়ে কারো দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
কাম ও লোভ ষড় রিপুর দু’টি রিপু। রিপুই যদি না থাকে তবে এ সংক্রান্ত কোন ঝামেলা থাকার কথা নয়।
# সূরা আর রাহমান ৫৬,৭২,৭৪ ও সূরা ওয়াকিয়া ১৭, ২২, ২৩,২৪ নং আয়াত এবং অন্য সূরার কিছু আয়াতের ভিত্তিতে আমার উপরোক্ত মত। সূরা আর রাহমান ও ওয়াকিয়া সমএর্ক আমি অনেকের কাছে জানতে চেয়েছি এ সূরাগুলো কি পুরুষের জন্য? সবাই বলেছে এ সূরাগুলো উভয়ের জন্য। তো আপনারাই বলুন নারীর পুরস্কার তার সতীন হলে বিষয়টা কেমন অদ্ভুত হয়ে পড়ে না?
# অনেক ব্লগারের মন্তব্যের আলোকে আমি বিষয়টি নিয়ে আরো অনুসন্ধান করছি। অনুসন্ধান শেষ হলে বিষয়টি নিয়ে রেফারেন্সসহ বিস্তারিত পোষ্ট প্রদানের ইচ্ছা আছে। আর মানুষ হিসেবে আমার ভুল থাকা অস্বাভাবিক নয়।
হুর
উৎসর্গঃ ব্লগার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ও ব্লগার রাজীব নূর
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৫