মানুষ ল্যাবরেটরিতে আস্ত একটা রক্ত মাংসের মানুষ বানিয়ে ফেল্ল, তাতে কি প্রমাণ হলো সৃষ্টিকর্তা নেই? তাহলে ল্যাবের সৃষ্টি হওয়া মানুষটাকে যে বা যারা সৃষ্টি করলো সে বা তারা তাহলে তার কি? মানুষকে মানুষ সৃষ্টি করেতো এটাই প্রমাণ করলো যে, সৃষ্টিকর্তা ছাড়া যে সব মানুষকে মানুষ বা অন্যকেও সৃষ্টিকরার দাবী করেনি তাদেরকে সৃষ্টিকরার দাবীদার সৃষ্টিকর্তাই সৃষ্টি করছে। কাজেই মানুষের রক্ত মাংসের মানুষ বানানোর যোগ্যতা প্রমাণ করবে সৃষ্টিকর্তা একজন অবশ্যই আছে। বিবর্তন সঠিক প্রমাণ হলে কি প্রমাণ হবে যে, বিবর্তন কেউ করেনি? এমনি হয়েছে? তারচে বিবর্তন সঠিক প্রমাণ করেতো মানুষ এটা প্রমাণ করবে যে, বিবর্তন কেউ করেছে। কারণ মানুষের করা বিবর্তনতো আর নিজে নিজে হয়নি। যদি কখনো কেউ কারো অবদান ছাড়া নিজে নিজে কিছু হতে দেখে তখন সে উহাকে নাস্তিকতার প্রমাণ হিসেবে দেখাতে পারে।আর নিজে নিজে হওয়া ক্ষেত্রে বিজ্ঞান অনুপস্থিত। সংগত কারণে বিজ্ঞান কখনই নাস্তিকতা প্রমাণ করবে না।আর বিজ্ঞানের কোন আবিষ্কারই নাস্তিকতার প্রমাণ করে না।
সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্লগার অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন-যে যেভাবে দেখে ব্যাপারটা? এখন কেউ যদি প্রশ্ন করে, যিনি এসব সৃষ্টি করেছেন, তাকে কে সৃষ্টি করেছে? কে নামকরণ করেছে? নিজে নিজে যেহেতু সৃষ্ট হওয়া যায় না, নামকরণ করা যায় না; কেউ না কেউ নিশ্চয়ই করেছে?
লেখকের জবাব-নিজে নিজে যে হয় সে বড় হয়। অসীম ও সসীমের মধ্যে অসীম বড়। সংগত কারণে নিজে নিজে যে হয় সে অসীম হয়। অসীম একাধিক হতে পারেনা। কারণ অসীমে সীমা দেওয়া যায় না। কারণ সীমাদিলে অসীম আর অসীম থাকেনা সসীম হয়ে যায়। সংগত কারনে নিজে নিজে শুধু একজন অসীম হতে পারে। সসীম কেউ নিজে নিজে হতে পারে না। সংগত কারণে সকল সসীমের অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা আছে। সুতরাং, যিনি এসব সৃষ্টি করেছেন, তাকে কে সৃষ্টি করেছে? এর উত্তর হলো একমাত্র তিনি নিজে নিজে হয়েছেন। কারণ তাঁর নিজে নিজে হওয়ার যোগ্যতা ছিল। যোগ্যতা না থাকায় অন্য কেউ নিজে নিজে হতে পারেনি। যেমন যোগ্যতা না থাকায় মুচি জুতা সেলাই করতে পারলেও পেট সেলাই করতে পারেনা। অনুরূপ যোগ্যতা না থাকায় ডাক্তার পেট সেলাই করতে পারলেও জুতা সেলাই করতে পারেনা। কিন্তু যোগ্যতা হাসিল হলে মুচিও পেট সেলাই করতে পারবে আর ডাক্তারও জুতা সেলাই করতে পারবে। কাজেই সৃষ্টিকর্তার বিষয় এমন কঠিন নয় যে বুঝা যাবেনা।
সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্লগার রাজীব নুর খান বলেছেন- আমি বুঝি না নাস্তিকদের সাথে পাল্লা দিয়ে ইশ্বর আছেন এই প্রমান কেন দিতে হবে?
লেখকের জবাব-এ প্রমাণ দিতে হবে যেন নাস্তিকরা তাদের অহেতুক কথাগুলো না বলে। কারণ তাদের অহেতুক কথা তাদের ও অন্যদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে। যে সময়ে কেউ অন্য কোন ভাল কাজ করতে পারতো।
সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্লগার অগ্নিবেশ বলেছেন-সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই একজন আছেন, তবে তিনি নিদ্দৃস্ট কোনো আঞ্চলের নিদ্দৃস্ট কোনো ধর্মের পৃষ্ঠপোষক নন। তার ধর্মের নাম
মানবতা। বাদবাকি সবই ভুয়া।
লেখকের জবাব-সেই মানবতার ধর্মের একটা রূপরেখা প্রদান করে ঈশ্বর সেটা সবাইকে মেনে চলতে নির্দেশ প্রদান করলে ঈশ্বর তাঁর সে ধর্মের পৃষ্ঠপোষক প্রমাণীত হন আর আপনি ভুয়া প্রমাণীত হন। আপনার কথার পরিপেক্ষিতে এটা না বলায় আমি অপারগ।
সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্লগার আখ্যাত বলেছেন- বিজ্ঞান যে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে, তাতে ল্যাবরেটরীতে প্রাণ তৈরির সম্ভাবনা অসম্ভব নয়। বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার চরম সেই মুহূর্তটা যদি কোনদিন আসে, মৃত মানুষকে আবার জীবীত করার কোন প্রযুক্তি যদি কোন দিন আসে, সেইদিন চুকে যাবে সব ঝগড়া। পুনঃজীবীত লোকটি বলে দেবে, “ও পারে কিচ্ছু নেই, সব ভুয়া”। অথবা, “যা শুনেছ, ঠিকই শুনেছে”। ব্যাস।
লেখকের জবাব- এটা একটা মহৎ সমাধান। দেখা যাক মানুষ কোন পর্যন্ত যেতে পারে।
সামহোয়্যারইন ব্লগের ব্লগার ইকবাল সরদার বলেছেন- ৮. ২২-২৩ নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির, যারা উপলদ্ধি করে না। বস্তুতঃ আল্লাহ যদি তাদের মধ্যে কিছুমাত্র শুভ চিন্তা জানতেন, তবে তাদেরকে শুনিয়ে দিতেন। আর এখনই যদি তাদের শুনিয়ে দেন, তবে তারা মুখ ঘুরিয়ে পালিয়ে যাবে। সূরা আনফাল ২২. নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জীব হচ্ছে সেই মূক ও বধিররা, যারা তাদের সহজাত বিচারবুদ্ধি ব্যবহার করে না। ২৩. আর আল্লাহ যদি (সত্য অনুসন্ধানে) আন্তরিকতা দেখতেন, তবে তিনি অবশ্যই ওদেরকে শোনানোর ব্যবস্থা করতেন। (যেহেতু ওদের মধ্যে সত্য অনুসন্ধানে আন্তরিকতা অনুপস্থিত, তাই) ওদেরকে সত্যের বাণী শোনালেও ওরা একগুঁয়েমি করে তা উপেক্ষা করবে।
লেখকের জবাব-কপালপোড়া লোকেরা সত্য উপলব্ধি করতে পারেনা। তাদের বিবেক ও বুদ্ধি মিথ্যার চাদরে আবৃত থাকে। আপনি বেশ ভাল বলেছেন।
বিঃদ্রঃ এ পোষ্ট পরে সময় পেলে পুস্তক উপযোগী করে বড় করার ইচ্ছে আছে। সাথে পাঠকের মতামতও যোগ করার ইচ্ছে আছে। যদি পছন্দ হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩