সোনবীজ অথবা হে ধুলোবালি ছাই
অবশেষে এলেনতো উঁকি দিয়ে যেতে!
কবিতার পাঠ শেষে কিছু কথা বলে
বুঝালেন কত কথা মুগ্ধ মনে পড়ি।
কি সৌরভ সে কথার বহে প্রাণ মনে,
দৃষ্টান্তের ফুল কত ঝরে পড়ে হেথা
অঞ্জলীতে সে ফুলের শোভা চেয়ে দেখি,
অজানার কথাগুলো চন্দ্র স্নাত যেন।
আপনার আগমন হেথা বৃষ্টি রোদ
সিক্ত করে দীপ্ত করে কষ্ট করে দূর।
সে সকল হৃদয়েতে ফুর ফুরে বায়
উড়ে চলে অহর্নিশ সুখ সেতো বটে!
নায়ে চড়ে যেন বধু পিতৃ গৃহে যায়
আনন্দেতে ঢল ঢল টলটল মন।
-প্রিয় কবি আপনাকে নিয়েই প্রথম অমিত্রাক্ষরের ট্রায়াল করলাম। আপনার মন্তব্য সহ পোষ্ট করতে চাই বলে, আশা করি সেটা সিগ্র পাব। তারপর আপনার অনুমতি সাপেক্ষে পোষ্ট করব।
কবির মন্তব্য
এ আপনি কী করেছেন ফরিদ ভাই? আমাকে নিয়েও সনেট লিখে ফেললেন! আমার জন্য এ এক দারুণ চমক।
আমার সনেটের উপর পোস্টটাতে নিয়ম ভাঙার কথা বলেছিলাম বেশ জোরে-সোরে। আপনি সেই নিয়ম ভাঙার খেলায়ও এক দারুণ চমক দেখালেন।
এটাকে অমিত্রাক্ষর বলা যেতে পারে, তবে অমিত্রাক্ষর ছন্দের আরো প্রধান বৈশিষ্ট্য এখানে অনুপস্থিত রয়েছে, যেমন, বাক্যের প্রবহমানতা। এটা খাঁটি মাত্রাবৃত্ত হয়েছে, যাতে প্রতি পঙ্ক্তিতে ৮ ও ৬ মাত্রার দুটি পর্ব রয়েছে।
আপনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক। সনেট আজকাল তেমন কাউকে লিখতে দেখা যায় না। আমার জানা ও দেখা মতে নির্ঝর নৈঃশব্দ্য নিয়মিত সনেট লিখছেন, এবং এবারের বইমেলায় তাঁর সনেটগুচ্ছ বই আকারে বের হয়েছে। এ ছাড়া ফেইসবুকে কালেভদ্রে দু-একজনকে লিখতে দেখা যায়। আজকাল যেখানে অন্ত্যমিলকে ঝাঁটিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, সেখানে সনেট লিখে অন্ত্যমিলকে ফিরিয়ে আনতে অনেকেই হয়ত পছন্দ করছেন না, তা ছাড়া সনেট লিখা একটা জটিল কাজই আমার কাছে মনে হয়। কতসব নিয়ম শৃঙ্খল!! তবে আপনার সনেট লিখা পড়লে মনে হয় এ কাজ আপনার পক্ষে নিতান্ত অনায়াসলব্ধ।
ভালো থাকুন। আমি রিক্ত। কিন্তু আমার নামে সনেট লিখায় আমি সত্যিই সিক্ত এবং আনন্দিত প্রিয় ফরিদ ভাই।
অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সব সময়।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬