বাংলাদেশের প্রধান চার দলের তিন দল স্বৈরাচার এবং এক দল রাজাকার। ছোট দল গুলোর সাংগঠনিক যোগ্যতা কম। সেজন্য এখানে সমর্থন করার মত কোন দল নাই। তথাপি গণতন্ত্র চাই একারণে তাতে শাসক দলের মাঝে ভালো কিছু করার তাড়া থাকে।শাসক দল যদি মনে করে তাদের গড়ে তোলা সিস্টেমে তারা এমনিতেই ক্ষমতা কন্টিনিউ করতে পারবে তাহলে তারা কাজ ছেড়ে অকাজটাই বেশী করে। তাতে করে বিভ্রান্ত দল সমূহ জনগণের একটা অংশকে তাদের দিকে টানতে পারে এবং রাষ্ট্রের সর্বনাশ সাধন করতে পারে।
আওয়ামী লীগ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বহুকাল ক্ষমতা কন্টিনিউ করতে পারায় এন্টি আওয়ামী লীগ জনমনে তাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ক্ষোভের সঞ্চয় করতে পেরেছে। যা আওয়ামী সরকার উৎখাতের আন্দোলনে প্রতিফলিত হয়েছে। আওয়ামী সভানেত্রী এখনো মনে করছেন তিনি সিগ্র ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন। তিনি ক্ষমতায় ফিরতে পারলে তিনি অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা অব্যাহত রাখবেন। সসস্ত্রবাহিনী ও জনগণ সেটা হতে দিবে বলে মনে হয় না। রাষ্ট্রপতি তাঁর দলের লোক এবং সেনাপতি তাঁর আত্মিয়। কিন্তু অন্য সেনা অফিসারগণ অন্য লোক। পদ হারানোর ভয় থাকলে সেনাপতি সেনা পক্ষেই থাকবেন। তবে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ রাজপথ দখলে নিতে পারলে হিসাব অন্য রকম হবে।কিন্তু এন্টি আওয়ামী লীগ এবার মরণ কামড় দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের জন্য রাজপথ ছাড়বে বলে মনে হয় না।এমতাবস্থায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ অস্থিরতা বেশী দেখালে সামনে সেটা তাদের ভোটের পক্ষে ক্ষতিকর হবে। এদিকে বেকুব পক্ষ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। সেটা করলে তারা জনগণের সহানুভূতি পাবে এবং স্বতন্ত্রভাবে তারা অপেক্ষকৃত বেশী আসনে জয়ী হবে। তারা বরং রাজনীতিতে থাকুক এবং ভোটের মাধ্যমে তাদের বিচার হোক। ভোটের মাধ্যমে তারা আবার ক্ষমতায় ফিরলে তাদের উচিৎ হবে গণতন্ত্র বজায় রাখা।
দেশে এতদিন যে বেঠিক অবস্থা ছিলো তা’ আর কন্টিনিউ না হোক। এখন থেকে সব কিছু সঠিকভাবে পরিচালিত হোক। কারণ বেঠিক পদ্ধতির শাসনে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠে না। আর জাতীয় ঐক্য না থাকলে জাতি হিসাবে টিকে থাকা যায় না। ফিলিস্তিন এত মার খায় তথাপি তাদের মধ্যে ঐক্য নাই। সেজন্য আমাদের ঐক্যের চিন্তা সবার আগে করতে হবে। ভারতে গণতন্ত্র আছে সেখানে ঐক্যও আছে। শেখ হাসিনা প্রশ্নে দেখাগেল সরকারের সাথে অন্যদের মতভেদ নেই। আমাদের এখানেও এধরনের পরিবেশ গড়ে উঠা দরকার। তারজন্য দরকার ন্যায়-নীতি ও গণতন্ত্র। এটা এখানে না থাকলে আমাদের প্রয়োজনে এখানে এটার উৎপাদন বাড়াতে হবে। নতুবা দেখা যাবে একদা আমরা আর জাতি হিসাবে টিকে নাই। আমাদের কেউ ভারতীয়, কেউ পাকিস্তানী, কেউ নৃ-তাত্ত্বিক। তার উপর যদি ন্যায়-নীতি ও গণতন্ত্রও না থাকে তাহলে আমরা আর কিভাবে জাতি হিসাবে টিকে থাকতে পারব? আমরা বাংলাদেশী এ পরিচয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১