অন্য কারো পক্ষে জাতি ঐক্যবদ্ধ না হলেও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জাতি ঐক্যবদ্ধ। শেখ হাসিনা চট করে এসে পড়লে আবার লড়াই করে তাঁকে তাড়াতে হলে তাঁর দলের কপালে শনি আছে। আমার এক লীগ ছাত্র বলল, তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে। তার ব্যাবসা লাটে উঠেছে। আমি বললাম, কে করে এসব? সে বলল, বিএনপি। আমি বললাম, তোমরাওতো এত বছর তাদেরকে দৌড়ের উপর রেখেছ।
আমাদের মসজিদের সেক্রেটারী মুক্তিযোদ্ধা মিলুভাই পদত্যাগ করতে গিয়ে বললেন, এত দিন আমি মসজিদের খেদমত করেছি। এখন দেশের অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, সেজন্য আমি পদত্যাগ করছি। তারপর মসজিদের নতুন কমিটি হলো, দেখা গেলো কমিটিতে আওয়ামী লীগের বদলে বিএনপি এসেছে। আমার জামাইয়ের বড় ভাবী হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষকের চাকুরী পেয়ে ছিলেন, কিন্তু জামাইয়ের কারণে সেকালে তিনি বরখাস্ত হয়ে ছিলেন।দেশের অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার পর জামাইয়ের কারণে সেই পদে তিনি আবার বহাল হলেন।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এন্টি আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছিলো। তারা অন্য কারো পক্ষে ঐক্যবদ্ধ না হলেও শেখ হাসিনা আবার চট করে দেশে চলে এলে তাঁর বিরুদ্ধে তারা আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাবে। তারপর এন্টি আওয়ামী লীগ যদি আবার কষ্ট করে তাঁকে তাড়াতে হয় তবে তারপর তারা তাঁর দলের লোকদেরকে গরম তেলে ভাজবে।
এন্টি আওয়ামী লীগকে আওয়ামী লীগ বহু নির্যাতন করেছে। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এসে আবার তাদেরকে আরো বেশী নির্যাতন করুক এটা তারা চাইবে না। সেজন্যই আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় বসতে চাইলে তারা আরো বেশী উগ্র হবে। আর এ বিষয়টা জাতির জন্য মঙ্গল জনক হবে না। আওয়ামী লীগ আবার আসলে পুলিশ তাদের পক্ষে লড়াই করবে না। আর সেনা বাহিনী তখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাসা দেখবে, অথবা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কাজ করবে। আওয়ামী লীগের জন্য ভারত যুদ্ধ করতে আসবে না।সুতরাং আবার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চিন্তা আওয়ামী লীগ বাদ দিতে পারে। ভারত তাদেরকে বিপদে আশ্রয়দানের কাজ অব্যহত রাখতে পারে। কিন্তু সেটা নেতাদের জন্য। সাধারণ আওয়ামী লীগ ভারতেও যেতে পারবে না, দেশেও শান্তিতে থাকতে পারবে না। সুতরাং এমতাবস্থায় তারা শেখ হাসিনার পক্ষে মাঠে নামবে না। সুতরাং তিনি চট করে দেশে এসে জেলে ঢুকে পড়বেন। তারপর হয়ত জেলেই তাঁর জীবনের অবসান ঘটতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:০৮