বাংলাদেশের সবচেয়ে শিক্ষিত সরকার প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং তিনি বিশ্বে সবচেয়ে পরিচিত। সবচেয়ে বেশী সময় সরকার প্রধান থাকা শেখ হাসিনা গণহত্যা করে দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁর ভক্তগণ ড. মোহাম্মদ ইউনুসের বদনাম করছে। গণহত্যার চেয়ে ড. মোহাম্মদ ইউনুসের বদনাম নগন্য। সে হিসাবে ড. মোহাম্মদ ইউনুসের চেয়ে শেখ হাসিনাকে প্রধান্য দেওয়ার কোন সুযোগ নাই। তথাপি শেখ হাসিনার ভক্তগণ কোন হিসাবে ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে হটিয়ে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় ফিরার স্বপ্ন কিভাবে দেখে বুঝা মুশকিল! গতকাল শেখ হাসিনার বেকুব ভক্তগণ ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে হটিয়ে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় ফিরার ইঙ্গিত প্রদান করে ছিলো। অবশেষে দেখা গেলো এটা ছিলো তাদের মহাবেকুবী চিন্তা।এদিকে সেনা প্রদান ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে আঠার মাস সহযোগিতার কথা বলেছেন।দেখা যাক আঠার মাসে এ বিশ্বসেরা বাংলাদেশী দেশের জন্য কি করতে পারেন।গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগ ও এর অংগ সংগঠন ড. মোহাম্মদ ইউনুসের বেকার বদনাম করলেও দেশের ৮১% নাগরিক তাঁকে পছন্দ করেন। দেড় বছর ভালোভাবে দেশ শাসনের পর গণভোটের মাধ্যমে তিনি আরো তিন বছর তাঁর মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারেন। সুষ্ঠ ভোটে জনগণ তাঁর মেয়াদ বাড়িয়ে দিলে কার কি বলার থাকবে? এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল সমূহের দেখার বিষয় হলো ভোটটা সুষ্ঠ হয় কিনা। সুষ্ঠ ভোট না হয়ে তিনি ভোটে জিতলে রাজনৈতিক দলের আন্দোলনে তাঁর সরকার টিকবে না। কিন্তু সুষ্ঠভোটে তাঁর সরকারের মেয়াদ বাড়লে সেনাবাহিনী তাঁর সরকারকে সেল্টার দিবে বলে মনে হয়।
বিএনপি ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে এক বছর সময় দিতে চায়। কিন্তু জনগণ তাঁকে সাড়ে চার বছর সময় দিলে বিএনপির কি বলার থাকবে। বিএনপি একা হাসিনা সরকারকে এত্ত বছরেও তাড়াতে পারেনি। কারণ বিএনপির ডাকে জনগণ সাড়া দেয়নি। জনগণ সাড়া দিয়েছে ছাত্রদের ডাকে।আর ছাত্র জনতার সাথে বিএনপিও ছিলো।ছাত্র জনতার একটা বড় অংশ জামায়াত-শিবির। তারা ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে রাষ্ট্র সংস্কারে প্রয়োজনীয় সময় দিতে চায়।সেই সময়টা ঠিক কত বছর সেটা অবশ্য আমি জানতে পারিনি। কেউ সেটা জানলে বলবেন।
ড. মোহাম্মদ ইউনুস বিদেশ থেকে অনেক ঋণ আনছেন বলে জানা যাচ্ছে। এসব ঋণ কাজে লাগিয়ে দেশের ঋণ বেশী মাত্রায় শোধ করা গেলে জাতি উপকৃত হবে। তিনি এ টাকাগুলো অন্য কারো হাতে ছেড়ে গেলে এগুলো সঠিক কাজে লাগবে কি? সেজন্যই হয়ত জনগণ ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে সময় দিতে চাইবে। বিএনপি অনেক কিছুই বলবে, কিন্তু তাদের যোগ্যতা তো জনগণ জানে। আর জামায়াত-শিবির নিজ পরিচয়ে জনগণকে সংগঠিত করেতে পারেনি। অবশেষে থাকলো জনতার শক্তি। আর এজনতার শক্তিকে সমিহ না করে উপায় নেই। সুতরাং তারা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের মেয়াদ বাড়ালে তাতে অন্য কারো আপত্তি যোক্তিক সাব্যস্ত হব না।