যুক্তরাষ্ট্র বহু বছর ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। ইসরায়েল-মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত এবং সেই অঞ্চলের নিরাপত্তা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দেখা হয়। ইসরায়েলকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতেও ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে থাকে। এর পেছনে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য কৌশল এবং জিও-রাজনৈতিক স্বার্থ কাজ করে, যেখানে ইসরায়েলকে তারা প্রধান মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে।
বিশ্বের অনেক বিশেষজ্ঞ এবং সাধারণ মানুষ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই সমর্থন ও সহযোগিতার ফলে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা ও সংঘাত বাড়ছে। বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বে এই অস্থিতিশীলতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইসরায়েলকে এ ধরনের সমর্থন প্রদান মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে পশ্চিমাদের দূরত্ব বাড়াচ্ছে, এবং অনেক ইসলামী সংগঠন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, যার ফলে গ্লোবাল শান্তি প্রতিষ্ঠা জটিল হয়ে পড়ছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে তাদের পছন্দমত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরোপ করতে চায়। বাংলাদেশ, একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্রের এই দ্বিমুখী আচরণের বিরোধিতা করা উচিত বলে মনে করা যায়। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে এ বিষয়ে তেমন কোনো বিরোধিতার ঝোঁক দেখা যাচ্ছে না।
এর পেঁছনে কি বাংলাদেশের পরিবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতির ভূমিকা রয়েছে, বলে আপনি মনে করেন? যে পরিস্থিতিতে ইসলামীদলগুলো ক্ষমতার স্বার্থে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষেপাতে চাইছে না?