২১। ৪;৩ এর আয়াতের কথা বলেছেন।পুরা মিথ্যা। বরং এতে বলা হয়েছে চারটি পর্যন্ত বিয়ে জায়েজ। তবে ৪ জনের প্রতি আচরনে পূর্ণ সমতা না রাখতে পারলে একটির বেশী বিয়ে করা নাজায়েজ। সুরা নিসা।আয়াত ৪।
২২। ৩৩;৫০।সুরা আল আহযাব।আয়াত ৫০
আবারো মিথ্যা।এখানে পিতা বংশীয়া যেমন চাচাত বোন বা মাতা বংশীয়া মেয়ে যেমন মামাতো বোন,খালাতো বোন এদের সাথে বিয়ে হালাল। ঘনিষ্ঠ ভাই বোন বলতে তিনি কি বুঝিয়েছহেন জানিনা। আর রসুল পাক(সঃ) সমপর্কে বলা হয়েছে পিতা এবং মাতা বংশীয়া মেয়েদের মধ্যে তার জন্য তারাই হালাল যারা তার সাথে হিজরত করেছে।
২৩। ২;৬২ সুরা বাকারার এই আয়াতে বিয়ে সংক্রান্ত একটা কথাও নেই।
২৪;২৬। ২৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে চরিত্রহীন এবং ব্যভিচারী নারীরা চরিত্রহীন এবং ব্যভিচারী পুরুষদের প্রতি আকর্ষন বোধ করে এবং সচ্চরিত্র নারী সচ্চরিত্র পুরুষের প্রতি ই আগ্রহী হয়।
৫;৫ সুরা আল মায়িদাহ আয়াত ৫। এখানে মুসলমান দের ঐসব নারীদের বিয়ে করা হালাল করা হয়েছে যারা সতী এবং এবং ঐ সম্প্রদায়ের যাদের আগে কিতাব দেয়া হয়েছে আল্লাহর তরফ থেকে( খ্রিস্টান এবং ইহুদী) হিন্দু এবং বৈধ্য দের সাথে না। আর কোন হাদিসে খ্রিস্টান এবং ইহুদী নারীর সাথে বিয়ে হারাম বলা হয়েছে তার দলীল দেন ম জ বাসার।
১২;১০৬ সুরা ইউসুফ। এখানে আবারো কুরানের অর্থ ই উনি পালটে দিয়েছেন। এখানে বলা হয়েছে অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে তারপর শেরেক করে।
কেউ সব কিছু জেনে আল্লাহর সাথে কাউকে উপাস্য মানলে সে মুশরিক এবং মুসলমান নয়।।
নামাজ রোজা না করলে মুশরিক হয় না।
এখানে কখনোই বলা হয়নি মুসলমানদের মধ্যেই মুশরিক দের সংখ্যা বেশি।
২৪। ৪,৪ সুরা নিসা। এখানে বলা হয়েছে স্ত্রীদের মোহর খুশি মনে দিয়ে দাও, তবে তারা যদি খুশি হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয় তবে তা ভোগ করতে পার।
এখানে বাকি বা নগদে দেয়ার কথা নাই। আর মোহর ওয়াজিব।
হাদিসে কি তাই আছে মিঃ ম জ বাসার যে মোহর বাকি রেখে দাও??কোন হাদীসে আছে?
২৫ এবং ২৬। তালাকের আইন অনেক বড়। এবং এই ৫ আয়াতের মাসআলা ৮-১০ পাতা। যাক সংক্ষেপে
একত্রে তিন তালাক দিলে তালাক হয়ে যাবে। তবে এটি সবচেয়ে খারাপ পন্থা।
পক্ষান্তরে উত্তম পন্থা হল এক তালাক দিয়ে ইদ্দত কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা। এর মধ্যেই তালাক প্রত্যাহার করতে চাইলে হিল্লা বিয়ে ব্যতীত তা করা যাবে। আর তালাক প্রত্যাহার না করলে ইদ্দতের পর বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবে।
কিন্ত ৩ তালাক দিয়ে দিলে হিল্লা বিয়ে জরুরি হবে পুনরায় বিয়ে করতে।
বলবত হতে ১০ বছর লাগবে তা কোথায় আছে বলবেন ম বাসার?
বিয়ে এবং তালাক খেলা না। তালাকের উত্তম প্রথা আছে। তার পর ও যদি কেউ একে খেলা হিসেবে নেয় তাহলে বলার কিছু থাকে না।
২৭। সুরা বাকারা আয়াত ২২২। এখানে হায়েজ-নেফাস কালে সহবাস কে নিষেধ করা হয়েছে। এবং কখনোই কোন হাদীসে তা হালাল বলা হয়নি।
মা বোন দের মত আচরন করবে তা ও এই আয়াতে বলা হয়নি। এগুলা ওনার মন গড়া কথা।
সহবাস ব্যতীত বাকি যৌনকর্ম কুরানে হারাম করা হয়নি। কাজেই তা হালাল।
২৮। ৪,৪৩ সুরা নিসা। এইখানে ম জ বাসার এর বদমায়েশী দেখেন।
এখানে বলা হয়েছে নেশাগ্রস্ত থাকলে নামাযের কাছেও যেও না, যতক্ষন না বুঝতে সক্ষ্ম হও যা কিছু বলছ। অর্থাৎ এখানে নেশা অবস্থায় নামায পড়তে না করা হয়ছে।
নামায পড়া ফরয। তা কুরানের অর্থ বুঝে পড়া হোক আর না বুঝে।
২৯। ১৭;১১০ সুরা বনী ইসরাঈল
এখানে মোটেই নাময আস্তে জোরে পড়া নিএ বলা হয়নি। বলা হয়েছে যেসব নামাযে কেরাত(কোরান তিলাওয়াত সশব্দে পড়া হয়)তাতে তিলাওয়াত অতি উচ্চস্বরে বা খুব নিচু স্বরে না পড়ে মাঝামাঝি স্বরে পড়তে হবে।
৩০।২;১৮৩-১৮৭ সুরা বাকারা
কি ধরনের বিশ্রী মন গড়া কথা। কুরানের আয়াত নিয়ে কাজলামি।
এই আয়াত গুলোয় রোজার বিধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ম জ বাসার কোন অংশ টা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাইছেন বুঝতে পারছি।
এখানে বলা হয়েছে শরীয়ত সম্মত কারনে( যেমণ অসুস্থতা) কী রোজা রাখতে অক্ষম হলে যখন সক্ষম হবে তখন তার সুবিধা মত দিনে কাজা করতে পারবে। রমযান মাসে রোযা রাখা ফরয। কোরানে বলা হয়নি নির্দিষ্ট কালে রোজা রাখো। বরং রমযান মাসের নাম উল্লেক করে এই মাসেই রোজা রাখতে বলা হয়েছে।
আমার কথাঃ
ম জ বাসার যে ভাবে এই জিনিসগুলো তৈরি করছেন-
১। কুরানের আয়াতের নাম দিয়ে মন গড়া কথা লিখে।
২। হাদীসের মিথ্যে উধ্তি দিয়ে
৩। এর মধ্যে নিজের মতামত ঢুকিয়ে।
আপনারা নিজেরায় কুরান এবং তার তাফসির পড়লেই আপনাদের কাছেও ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
মডারেটর দের কাছে অনুরোধ করছি কুরান হাদীস নিয়ে মিথ্যাচার এর জন্য ম জ বাসার কে ব্যান করা হোক।
আল্লাহ সর্বজ্ঞানী।