সমাজে হিজরা সম্প্রদায় কে দেখা হয় নিম্ন দৃষ্টিতে। এমনকি এরা সমাজে অনেকের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। মানুষ পশু -পাখি পালন করে,কুকুরকে খাওয়া দেয় কিন্তু হিজরা দের কেউ খাওয়া দেয় না,তাহলে তারা ক্ষুধার জ্বালা মেটাবে কোথা থেকে,কাজেই তারা ব্যাগ ঘাড়ে নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে খাবার এর আশায় ঘুরে বেড়াবে। তারাও তো মানুষ, তারাও তো আশরাফুল মাখলুকাত,কিন্তু বেশির ভাগ সময় তাদের সাথে হিংস্র ব্যবহার করা হয়। পারলে তাদের যে পিটিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়,এদের দোষ টা কি? তারা শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী এজন্যেই কি তাদের প্রতি এতোটাই অবহেলা। যদি তাদের একটু সহযোগীতে করা হয় তবে তারাও আমাদের সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের অবদান টা একটা বড় আকারের হতে পারে। দিনাজপুর আশ্রমে বসবাসরত হিজরা ফিরোজ দিনাজপুর জিলা স্কুলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করা কালীন যখন তার এই গোপনীয়তার কথা ফাঁস হলো তখন তাকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হলো, যখন দিনাজপুর মুন্সিপাড়া মসজিদে ইমামতি করা একজনের ইমামের হিজরা হওয়ার গোপনীয়তা ফাঁস হলো তখন তাকে সমাজ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হলো। কোরঅানের কোথায় লিখা আছে যে হিজরা দের সাথে মেলামেশা করা যাবেনা। তাহলে এরা কোথায় যাবে? এদের জীবন কি জীবন নয়? তাদের ভাই বোনেরা স্কুলে যায়,তাদের কি ইচ্ছে করে না যে তারাও স্কুলে যাবে,পড়াশুনা করবে! বাহিরের দেশে দেখা যায়, হিজরা রা সংসদ সদস্য, তারা বড় ভড় প্রফেশন নিয়ে চাকরি করে। কিন্তু এদেশে তাদের কে অভিশাপ হিসেবে দেখা হয়। নিজের পরিবার পর্যন্ত আপন স্বার্থের জন্য তাদের কে নিজের পরিবার থেকে দূরে থাকতে বলে। আমাদের সমাজ এখনও এক আঁধারের মধ্যেই রয়ে গিয়েছে যে থার্ড জেন্ডার এর মানুষেরা কিছুই করতে পারবে না। যা সম্পূর্ণই ভুল। এমনটাই ধারণা দিনাজপুর এর এম পি, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এর। তিনি এই সম্প্রদায়ের লোকেদের জন্য সেলাই মেশিন দিয়েছেন,কর্মের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন যেন তারা উপার্জন করে খেতে পারে, তাদের জন্য আলাদা করে মসজিদ তৈরি করে দিয়েছেন, মন্দির তৈরি করে দিয়েছেন যেন তারাও সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করতে পারে। আর এই কাজের জন্যই তিনি আজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ডব্লিউ এল এফ -২০১৭ তে ভূষিত হয়েছেন। শুধু ভালো করে পড়াশুনা করে, ভালো চাকরি করে, বিয়ে করে সন্তান লালন পালন করে,অবশেষে মৃত্যুকে বরণ করে পরলোক গমন করাই শেষ নয়,মৃত্যুর পরেও আমাদের কে বেঁচে থাকতে হবে আমাদের কর্মে, এবং সেই কর্ম অবশ্যই ভালো হতে হবে এমনটাই মনে করেন তিনি।
ওয়ার্ল্ড লিডারশিপ ফেডারেশনে সোশ্যাল ইনোভেটর ক্যাটাগরিতে ডব্লিউএলএফ এওয়ার্ড ২০১৭ এ ভূষিত হলেন জাতীয় সংসদের হুইপ দিনাজপুর জেলার এম পি ইকবালুর রহিম
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি
আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।
সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছবি কখনো কখনো কিছু ইঙ্গিত দেয়!
গতকাল ভারতীয় সেনাপ্রধানের সাথে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান এর ভার্চুয়ালি কথা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের অফিসায়াল এক্স পোস্টে এই ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে।
ভারতীয় সেনাপ্রধানের পিছনে একটা ছবি ছিল ১৯৭১ সালের... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রথম আলু
লতিফপুরের মতি পাগল
সকালবেলা উঠে
পৌঁছে গেল বাঁশবাগানে
বদনা নিয়ে ছুটে
ঘাঁড় গুঁজে সে আড় চোখেতে
নিচ্ছিল কাজ সেরে
পাশের বাড়ির লালু বলদ
হঠাৎ এলো তেড়ে
লাল বদনা দেখে লালুর
মেজাজ গেল চড়ে।
আসলো ছুটে যেমন পুলিশ
জঙ্গী দমন করে!
মতির... ...বাকিটুকু পড়ুন
দেশে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করা জরুরী?
বিশ্ব ইসলামের নিয়মে চলছে না।
এমনকি আমাদের দেশও ইসলামের নিয়মে চলছে না। দেশ চলিছে সংবিধান অনুযায়ী। ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চললে পুরো দেশ পিছিয়ে যাবে। ধর্ম যেই সময় (সামন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি ছবি হাজার কথা বলে
আগস্টের ৩ তারিখ আমি বাসা থেকে বের হয়ে প্রগতি স্মরণী গিয়ে আন্দোলনে শরিক হই। সন্ধ্যের নাগাদ পরিবারকে নিয়ে আমার শ্বশুর বাড়ি রেখে এসে পরদিনই দুপুরের মধ্যেই রওনা হয়ে যাই। আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন