নিজের কষ্ট কাউকে বলতে আর ভালো লাগে না। মানুষের কষ্ট শুনতেই ভালো লাগে। একজন পাগলের সাথে কথা বলেছি। আজ না হয় তার কথা টাই বলি। তার কথা গুলো ছিল.............
" আমি একজন বড় ব্যবসায়ী ছিলাম। একমাত্র সন্তান আমার একটাই খুব আদরের মেয়ে। কোনো কিছুর বিন্দুমাত্র অভাব তাকে দেই নি। অনেক বড় ব্যবসায়ীর ছেলের সাথে তার বিয়ে দিলাম।এই পৃথিবীর সমস্ত আদর তাকে দিয়েছি। সারাজীবন তার দায়িত্বভার বহন করেছি। কিন্তু যখন সময় এলো, আদরের মেয়ে আমার আমায় এতো সম্মান দিলো যা আজো ভুল যেতে পারি না। মা আমার আমায় থাপ্পর মারলো। কারণ তাকে আমি এখনো সম্পত্তি লিখে দেই নি। আমি আমার আদরের মেয়ের পা ধরে ক্ষমা চাইলাম, "মা গো, আমায় ক্ষমা করে দে মা, আমি তোর চাহিদা টা আগে বুঝতে পারি নি রে মা,আমায় ক্ষমা করে দিস মা।" তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দিলাম,যেন সে তার বাবাকে কোনোদিন ভুল না বুঝে। আমি বের হয়ে গেলাম। জানো আমি ভারত গেছিলাম,চায়না গেছিলাম। কাল আসলাম। ৭ দিন কবরে ঘুমিয়েছি। এত্তো গুলো গাছে লাল কাপড় বেধেছি। আজও কবরে ঘুমাবো। আমি না মরে গেছিলাম আবার কবর থেকে উঠে আসছি।
আবার কিছুক্ষণ থেমে বলল
" আমার মেয়ে আমায় থাপ্পর দিয়েছে, হা হা হা। হাসতে হাসতে আবার কেঁদে কেঁদে সাড়া।" ----- এই হলো আমাদের বর্তমান যুগের সন্তানের পিতা-মাতার প্রতি ভালোবাসা। পাঠ্য পুস্তকে পড়ে এসেছি বায়েজিদ বোস্তামি তার তৃষ্ণার্ত মা এর জন্য সাড়া রাত পানি নিয়ে পা এর কাছে দাঁড়িয়ে ছিলো। এরকম অনেক উদাহরণ আছে কিন্তু বর্তমান সভ্যতায় তা পুরোপুরি উলটো হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড়দের সম্মান -শ্রদ্ধা করতে হয় এই কথা যারা শিখায় তারাই স্বীকার হয় অসম্মান ও অপমানের।