প্রশস্ত মাঠ। চেহারায় নিরাশার ছাপ নিয়ে হেঁটে চলেছি। কতো লোকে হাঁটছে,কেউ হেলে দুলে হাঁটছে,কেউ জুটি বেঁধে হাঁটছে,কেউ ব্যস্তভাবে হাঁটছে। তবে আমার হাঁটা কচ্ছপের গতি,হয়তো নিরাশার ভার হাঁটার গতি দমিয়ে দিয়েছে। মাথা নিচু করে পা তাকিয়ে হাঁটছি। মাঝে মাঝে মাথার উপরে মেঘগুলো গর্জন দিচ্ছে, হতাশার গর্জন,নিরাশার গর্জন। পিছন থেকে হঠাৎ একটা চেনা স্বর আমার নাম ধরে ডাকছে।
- ইভা,দাঁড়াও।
পিছু ফিরে তাকাতে সেই চেনা চেহারা টা,যেটা দেখলে কেমন যেন শান্তি বিরাজ করে প্রাণে। ভাবলাম আমার মনের ভুল,নতুবা পুনরায় আগের কথাগুলোই শুনতে পাবো বলে আবার হাঁটা শুরু করলাম। এবার আবার ডাকছে সে..
- ইভা, না থামলে কিন্তু আর কোনোদিন কথা বলবো না, আর কোনো দিন ডাকবো না, আর কোনোদিন আমাকে দেখতেও পাবা না,
কেন জানি মনে হলো এবার থামা উচত। আমি থামি নি,পিছু ফিরে দৌঁড়িয়েছি,সে দৌঁড়ে আসছিলো বলে।ততোক্ষণেই বৃষ্টি। এই বৃষ্টি টার অনুভূতি টা আলাদা। মাঠ কাঁদায় পিছল। হঠাৎ নিজেকে সামলাতে না পেরে পড়ে গেলাম, সামনে তার বাড়িয়ে দেয়া হাত, অপেক্ষা না করে তার হাতে হাত রেখে উঠে পড়লাম। দুষ্টু হাসিতে মিলিয়ে গেলো বৃষ্টির সাথে। হাসির প্রতিধ্বনিতে সব বিলীন হয়ে গেলো,বুঝে উঠতে পারলাম অবাস্তব ছিলো সব,আবার নিরাশাকে সঙ্গ করে আমার একা হেঁটে চলা। তবু বলতে ইচ্ছে হয়, রোদ পালালে, বৃষ্টিতে আসিস। বৃষ্টি শেষে রংধনুতে আসিস। বেলা ফুরোলে সাঁঝ দিগন্তে সাঁঝিস। সাঁঝ হারালে, জোৎস্নায় আসিস। যদি দরজা লাগিয়ে দেই তবে জানালায় আসিস। তবু তুই আসিস। বাস্তবে না এলেও অবাস্তবে আসিস। সত্যিকারের না এলে মিছেমিছি আসিস। তবুও আসিস...
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:২৩