[ ২০০৪ সালে অভিষেক হয়েছিল হবিগঞ্জের এই পেসারের। কার্ডিফ এ অস্ট্রেলিয়া বধেও দলে ছিলেন তিনি। ২০১২ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ফাইনালে ওঠার পেছনে অনেক বড় অবদান ছিল তার। যাওয়ার কথা ছিল অনেকদূর, কিন্তু কি কারনে যে যাওয়া হল না... নাজমুল অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত, অনেক ক্ষেত্রে দুর্ভাগা নানা কারনে আর তার যাওয়া হয়নি দূরে ]
বার্মিংহামে অভিষেক ম্যাচেই দক্ষিন আফ্রিকার বিরুদ্ধে করেছিলেন দুর্দান্ত বোলিং! ৬ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৭ রান দিয়েছিলেন। তার বল খেলতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিলে ব্যাটসম্যান দের! ২০০৪ এবং ২০০৫ সাল মিলিয়ে মোট ১৬টি ওয়ানডে খেলেন টানা। উইকেট নেন ১৭টি। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়ে নিজের প্রতিভার ধার জানিয়ে দেন সবাইকে।
ইনজুরির কারনে ২০০৬ সালে মাত্র ১টি ওয়ানডে খেলেন।
এরপর আবার ইনজুরি তে পরেন।
২০০৮ সালে আবার দলে ফিরে অস্ট্রেলিয়ায় যান দলের সাথে। সেখানে মাত্র ২টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান। সেখানে ভাল না করতে পারায় দল থেকে আবারো বাদ পরেন।
২০০৯ সালে দলে আবার ফিরে ১২টি ওয়ানডে খেলেন। উইকেট পান ৬টি। কিন্তু রান আটকানো এবং স্লগ ওভারে তিনি ছিলেন দলের ভরষা! ২০১০ সালে মাত্র ৩টি ওয়ানডে খেলেন। বিশ্বকাপের জন্য তিনি ছিলেন নির্বাচকদের অন্যতম প্রিয়। কিন্তু বিধি বাম। ইনজুরি তার বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন বাতিল করে দেয়। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করেন শফিউল এবং রুবেল।
২০১১ সালেও মাত্র ২টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান অন্যান্য পেসারদের ভিরে। ২০১২ এশিয়া কাপে শফিউল এর ইনজুরি তে দলে ডাক পান আবার। শ্রীলঙ্কা'র সাথে দুর্দান্ত বোলিং করে দলকে নিয়ে যান ফাইনালে। ফাইনালেও পাকিস্তানের বিপক্ষে ভাল বোলিং করেন।
কিন্তু সেখানি শেষ। রুবেল, শফিউল এর পাশাপাশি মাশরাফি ভাই ও দলে ফিরেন, আবুল হাসান রাজু ভাল করতে শুরু করেন। এর কারনে এখন পর্যন্ত আর দলে ফেরা হয়নি তার।
টেস্ট ক্যারিয়ার তার বেশ সংক্ষিপ্ত। ২০০৪ সালে টেস্ট অভিষেক হলেও মাত্র টেস্ট খেলার সুযোগ পান ২টি। প্রাপ্ত উইকেট ৫টি
ওয়ানডে তে ৩৮ ম্যাচে ৪৪ উইকেট পাওয়া এই বোলারের বলে জোর ছিলে দেখার মত। সিলেট ডিভিশনের হয়ে এখনো খেলে যাচ্ছেন ঘড়োয়া ক্রিকেটে।
২০১২ সালে বিপিএল এ সিলেট রয়ালস এর দলে ছিলেন। পরের বারেও দল তাকে রেখে দেয়। কিন্তু সর্বশেষ বিপিএল এ তাকে কেউ দলে ভেরানোর খবর পাওয়া যায়নি।
খেলোয়ার হিসেবে দুর্দান্ত মেধাবি ছিলেন নাজমুল। কিন্তু নানা কারনে উঠে আসা হয়নি তার। বর্তমান দলে তো আরো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই! তাই মাত্র ২৮ বছরেই নাজমুল এর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি অনেকের দেখে ফেলা অস্বাভাবিক কিছুনা। কিন্তু ক্রিকেট বিধাতা চাইলে যে কোন কিছু সম্ভব। আমরা নাজমুলের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করি
সৈয়দ রাসেল
আফতাব আহমেদ
এনামুল হক জুনিয়র
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৬