কমিউনিস্টরা যখনই কোনো দেশের ক্ষমতায় গেছে, কিংবা সুযোগ পেয়েছে, তারা তখন হয়ে উঠেছে হিংস্র, নৃশংসভাবে হত্যা করেছে অজস্র মানুষকে।
আসুন বিভিন্ন দেশে কমিউনিস্ট হত্যাযজ্ঞের একটু হিসেব দেখে নেই-
১) চীনে সাড়ে ৬ কোটি মানুষ হত্যা।
২) সোভিয়েত রাশিয়ায় ২ কোটি মানুষ হত্যা।
৩) কম্বোডিয়ায় ২০ লক্ষ মানুষ হত্যা।
৪) উত্তর কোরিয়ায় ২০ লক্ষ মানুষ হত্যা।
৫) আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ১৭ লক্ষ মানুষ হত্যা।
৬) আফগানিস্তানে ১৫ লক্ষ মুসলিম হত্যা।
৭) পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে ১০ লক্ষ মানুষ হত্যা।
৮) ভিয়েতনামে ১০ লক্ষ মানুষ হত্যা।
৯) লেটিন আমেরিকার দেশগুলোতে দেড় লক্ষ মানুষ হত্যা। সোভিয়েত রাশিয়ায় লেলিন-স্টেলিনের যুগে চালানো নির্যাতন ও প্রাণহানীর চিত্রটা একটু দেখুন-
ক) ১৯১৮-১৯২২ সালের মাঝামাঝি ‘বিপ্লব’ পরবর্তী সময়ে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানানোয় লক্ষ লক্ষ শ্রমিক হত্যা।
খ) কৃষকদের উপর লেলিনের অত্যাচার ও কৃষি ব্যবস্থায় সমাজতান্ত্রিক দর্শন প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে ১৯২১ সালে ৫০ লক্ষ লোকের প্রাণহানী।
গ) ১৯২০ সালে ডন কোসাকদের হত্যা ও নির্বাসন।
ঘ) কারাগারগুলোতে ১৯১৮-১৯৩০ সালের মাঝামাঝি হাজার হাজার বন্দিকে হত্যা। ঙ) ‘৩০ দশকের শেষ দিকে সমাজতন্ত্র বিরোধী প্রায় ৬ লক্ষ ৯০ হাজার লোকের গণহত্যা। (১৯৮৮ সালে বেলারুশের রাজধানী মিনস্কের বাইরে প্রায় ৩০ হাজার লোকের একটি গণকবর আবিষ্কৃত হয়। জায়গাটিতে ১৯৩৭-১৯৪১ সালে একটি সোভিয়েত রাজনৈতিক বন্দিশিবির ছিল।)
চ) ১৯৩০-১৯৩২ সালের মাঝামাঝি ২০-৩০ লক্ষ তথাকথিত ‘কুলাকদের’ নির্বাসন। ছ) ১৯৩২ এবং ১৯৩৩ এর দুর্ভিক্ষে ৪০ লক্ষ ইউক্রেনিয়ানসহ ৬০ লক্ষ লোকের মৃত্যু। ঞ) ১৯৩৯-১৯৪১ এবং ১৯৪৪-১৯৪৫ সালে ২ লক্ষ ইউক্রেনিয়ান, ২ লক্ষ ১০ হাজার পোলিশ এবং বাল্টিক সাগর তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী ২ লক্ষ লোকের নির্বাসন।
ট) ১৯৪৩ সালে ৩ লক্ষ ৮০ হাজার ক্রিমিয়ান মুসলিম তাতারদের নির্বাসন। এদের মধ্যে ১ লক্ষ ৫০ থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার তাতার নির্বাসনের প্রথম ২ বছরেই মারা যায়।
ঠ) ১৯৪৪ সালে ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার চেচেন মুসলমানদের নির্বাসন।
ড) ১৯৪৪ সালে ৯১ হাজার ইংগুশ মুসলমানদের নির্বাসন।
উপরের জলজ্যান্ত ইতিহাসই প্রমাণ করে কমিউনিস্টরাই সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০০