মানবতা যদি মানুষ হতো,
রোজ সকালে বাজারের ব্যাগ হাতে কাকভেজা হয়ে ঘরে ফিরে
পরিণীতার বকুনি খেতো। বকুনির ফাঁকে ফাঁকে
কাচুমাচু মুখে কৈফিয়ত দিতে দিতে
আরেকটি সুখের করুণ কাব্য লিখে ফেলে
ভাবতো - "আহা! জীবন এতো সুখের ক্যানে?"
যেহেতু মানবতা মানুষ নয়,
মানবতার চোখ নেই, কান নেই, অনুভবের মন নেই,
এমনকি বোঝার মত বুদ্ধি নেই। সুতরাং,
মানবতা একটা উদ্ভট হুলো বিড়াল হয়ে
ধর্ষকের কোল থেকে আদর নিয়ে
নিপুন হন্তারকের কোলে গিয়ে গর গর করবে,
লোম ফোলাবে, নির্লজ্জ ফোলা ন্যাজের নিশান ওড়াবে,
এটাই তো স্বাভাবিক, তাই না?
আমরা যারা মানুষ হয়ে বিষম এক পাপ করেছি,
তারা বরং এক কাজ করি। পবিত্র হয়ে,
মসজিদে জায়নামাজ পেতে,
মন্দিরে, গির্জায় ঘন্টা বাজিয়ে,
যাবতীয় উপাসনালয়ে হাতজোড় করে,
একজন ঈশ্বরের কাছে
(যিনি কিনা চাইলেই লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির
একজন দুর্দান্ত সফল ম্যানেজার হতে পারতেন!)
প্রার্থনা করি - "ভোরের বৃষ্টিতে ভিজে, এতোটুকু সংসারের
নুন, ব্যাঞ্জন, শর্করায় ভালবাসা মেখে বাড়ি ফিরে; মানবতা
বউয়ের বকুনি খাক, কাব্য করুক, ভালবাসুক।
দয়াময়! বড় কষ্ট, মানবতা একটু মানুষ হোক!"
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৭