মানবজাতী আগায় গেছে, আগে রাস্তা দিয়া হাইটা গেলে বুড়াগো আমরা সালাম দিতাম, আর পুচকারা আমাগো দেখলাম,"রনি ভাই, কই যান? নোট তো দিলেন না!" তখনকার আমল থিকাই সালামের চল পুচকাগো মধ্য থিকা উইঠা গেছে! আর অখন?
ইদানিং আয়নায় তাকাইলে দেখি চোখে মুখে বয়সের ছাপ। যদিও এক্সারসাইজ আগের মতো করি না, কিন্তু সব কেমুন জানি ঝুলে লাল হইয়া গেছে! বয়স তো কম হইলো না, ৪০০ হইতে মনে হয় আর কয়েক বছর বাকী আমার! সেই যে ডাইনোসর আমলে পয়দা হইলাম, ডাইনোসর মইরা বইয়ের ফটুক হইয়া গেলো মাগার আমি অখনো বিয়াই করতে পারলাম না! আফসোস!
তয় আমার এতো বছর বাচনের কিছু রহস্য আছে! আসেন এই রহস্যগুলান পড়ি! টুটিটোপসিস ন্যুট্রিকুলা নামের একখান জেলীফিস মাছ আছে। আমি কোনো দিন ভাইজা খাই নাই। যাই হোউক খাইতে কেমুন জানি না। সমস্যা হইলো এই জিনিসটা নাকি মরে না। এই জেলিফিস যখন সেক্সয়াললী ম্যাচিউর হইয়া যায় বয়স বাড়নের সাথে সাথে, তখন নাকি এর বায়োলজিক্যাল গ্রোথ আবারও উল্টা দিকে চলতে থাকে।ডিম থাকে পেটে যখন এরা পুরুষ জেলিফিসের সংস্পর্শে আসে (আইসা কি করে এইটা আমি জানি না)। তার পর আন্ডা পারে। তারপর এই পুচকা হওনের প্রক্রিয়া শুরু হয় মানে এ যৌবন থিকা আবার পুচকা হইতে থাকে। পুচকা হওনের স্টেজের নাম পলিপ। পলিপে আসনের পর আবারও এর বয়স বাড়তে থাকে। যৌবনবতী হয়। এরকম ভাবে এই আকাম ঘটতেছে। মাগার মরনের নাম নাই!
এরে বলা হয় জৈবিক অমরত্ব! নিউজিল্যান্ডের দিকে এইটা পাওয়া যায় আর ডিটেলস পাইবেন উইকিতে!
কিন্তু সমস্যা এইখানে না। আমি কুটিকাল থিকাই একখান চিন্তা মাথায় নিয়া ঘুরি কিন্তু এনসার পাই নাই! ক্লাস এইটে যখন বার্ষিক পরীক্ষায় ব্যাকটেরিয়ার ফটুক আকতে দিলো তখন আমি মানুষের ক্রোমোজমের ফটুক আইকা দিলাম। যদিও আমি ১০০ তে ৬০ পাইছিলাম , কিন্তু মানুষের ক্রোমোজম আকতে গিয়া মাথায় একখান জিনিস খটকা খায়!
ধরেন আপনে বাজার থিকা ১ টাকার এটা ব্যাকটেরিয়া কিন্যা আনলেন। ব্যাকটেরিয়ার তো জীবন আছে, তাই না? ঐটারে খাওয়াইলেন পড়াইলেন। কয়েকদিন পর দেখলেন ব্যাকটেরিয়া ভাগ হইয়া দুইটা নতুন ব্যাকটেরিয়া হইছে। দুইদিন পর দেখলেন দুইটা থিকা মামারা ৪ টা তারপর আট টা। কথা হইলো আমি যেই ব্যাকটেরিয়া খান কিন্যা আনলাম ঐটা দেখি বাড়তাছে, আর কয়দিন পর আমার বাসায় খালি ব্যাকটেরিয়াতেই ভইরা গেলো। মাগার যেইটা আনলাম ঐটা কৈ গেলো? ঐটা বাদ দেন, এই যে এতগুলা এগুলা কি মরবো না? আমি বুঝলাম না, এইগুলান দেখি অমর হইয়া গেছে!
যদিও অনেকেই অনেক থিওরী দিছে কিন্তু কেউ প্রমান করবার পারে নাই। কেও কইছে ঐ ব্যাকটেরিয়ার আরএনএ র শক্তির উপর নির্ভর করতাছে ওর এমুন কাহিনী! আরো নানা মুনির নানা মত!
যাই হোউক, তয় আমি এইটা শিওর আমারও মরবার হইবো। আমি জেলিফিস বা ব্যাকটেরিয়া না। আমি মানুষ!
তয় একখান কোম্পানীর নাম শুনলাম সেইদিন! ক্রায়োরুশ! ওরা একখান আকাম করতাছে। ধরেন আমি থুড়থুড়া বুড়া হইয়া একেবারে মরনের সীমানায়। দুই একমিনিট পড়েই আমি মইরা যামু। ধরেন মইরাই গেলাম মানে আমার হার্ট বন্ধ হইয়া গেলো। মাগার আমার ব্রেন চালু আছে অথবা শরীরের সবকিছু ঠিক আছে। ডাক্তাররা শক দিয়া আমার হার্ট চালু করলো না। তখন ওরা করবো কি নাইট্রোজেনে বয়েলিং পয়েনটে (-১৯৬ ডিগ্রী) আমারে ফ্রিজ করবো তার আগে আমার শরীরে ক্রায়োপ্রটেক্ট্যান্ট সল্যুশন ঢুকাই দিবো যেইটা আমার টিস্যুর আভ্যন্তরীন ফিজিং ঠেকাইয়া শরীরের আন্তঃ কোষীয় প্রবাহতে বাধার সৃষ্টি করবো না। মনে করা হয় এরকম কইরা এক বা দুই দশক রাখন যাইবো একটা বডিরে।
মাগার ১ শতক বা দুই শতকে রাখন যাইবো কি না সন্দেহ! এইটা এইজন্য করে যে যখন চিকিৎসা বিজ্ঞান আরো উন্নত হইবো তখন এইসব বডিরে আবারও পুনরুজ্জীবিত কইরা হার্টের ঐ সমস্যাটা মিটায় ফেলবো বা আর এডভান্স ট্রান্সপ্লান্ট করতে সক্ষম হইবো! যদিও এইটা প্রমানিত না। তবে ২০১০ সালে সারা বিশ্বে এরকম প্রায় ২০০ লোকরে এমন কইরা রাখা হইছে! এর নাম ক্রায়োনিকস ডিটেলস উইকিতে! যদিও অনেক সমস্যা আছে অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে!
যাই হোউক, মরন ছাড়া গতি নাই!
তাই ভাবতাছি যা করতাছি তা করি, সৎ পথে চলি নিজের সাথে সৎ থাকি আর অপরের সাথেও সৎ থাকি! শয়তানী আর বান্দরামী এই দুইটাও চালাই, আর ভালো মতো খাওয়া দাওয়া করি!
কারন এইটা শিওর মরনের পর কেউ একজন খাড়ায় কইবো," দুনিয়ায় থাইকা বহুৎ আকাম করছো। যা কইছি তা করো নাই, নামাজ তো দূর কি বাত, মসজিদে গিয়া টাকবাক্স লইয়া পল্টি দিছো! অখন আহো, তোমারে সন্দেশ খাওয়াই!"
দেখা গেলো সন্দেশ খাইতে গিয়া দেখলাম আমি নিজেই গরমে সন্দেশ হইয়া গেছি! কি দরকার এত ভেজালে যাওনের! আসেন ভাই আমরা একখান কইরা তসবীহ কিনি আর শোকরানা আদায় করি!
* ইহা একখানা আজাইরা পোস্ট কেউ সিরিয়াসলি নিয়েন না!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৫