২য় পর্ব
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্ব
সহযোগী লেখা: পার্টিক্যাল ফিজিক্স এপেন্ডিক্স!
সবাইকে প্রথমেই শারদীয় শুভেচ্ছা! খুব ইচ্ছে করছে ফরিদপুরের পূজোমন্ডপ গুলো দেখতে আসতে আর আলিপুরের ব্রীজের নীচের বিশাল মেলাতে ঘুরতে! খুব মন চাইছে!
পড়াশুনা শুরু করনের আগে একখান ঘটনা কই। কিছুদিন আগে একখান মাইয়ার লগে ইয়াহুতে চ্যাট হইলো। তার সাথে চ্যাট হইতো হেভী উচ্চমার্গের। আফসোস হইলো মাইয়াটা ফিজিক্স বুঝে না। তয় মাইয়াটার জীবনে একখান হ্রদয় বিদারক ঘটনা ঘটছে। বিয়ার দিন ভাইঙ্গা গেছে। তার ছোট কালের প্রেম আরও জোড়া লাগে নাই। অন্য একজনের ভুলে পরিবারের কেউ আর ঐ পুলারে মাইনা নেয় নাই। মাইয়াটা মনের দুঃখে দেশ ছাড়ে, একলা একলা লন্ডনের পথে ঘুরে আর হাসত হাসতে নিজের কান্না লুকায় আর সবার দুঃখ ভুলাইতে চায়! সমস্যা হইলো আমি তারে যতবারই তার দুঃখ ভুলাইতে যাই তখনই আমি আমার মাথা আউলায় ফেলাই। কেন জানি মনে হয় তার দুঃখগুলান আমার দুঃখ গুলানের লগে মিল্যা যায়। কালকে ক্যাচাল বাধাইয়া তার লগে আর চ্যাট করুম না বইলা ডিসিশন নিলাম!
মাইয়া মানুষ খারাপ চীজ...খালি মায়া লাগায় চোখে, নতুন কইরা বাচতে শেখায়, নিজেরে পাল্টায় ফেলানোর তাগিদ দেয়। আমি ভাই সেই দলের না...এই পোস্ট খান ঐ মাইয়ারে উৎসর্গ করলাম, সমস্যা হইলো একখান কস্ট কইরা পোস্ট লেখলাম মাগার সেই পোস্টখান যে তারে উৎসর্গ করলাম সে সেইটা জানবো না। জাননে কি দরকার, তার চেয়ে আসেন আমরা ফিজিক্স বুঝই!
কোয়ান্টাম নার্ভাসনেস বা কোয়ান্টাম ফেনা: কোয়ান্স্হাটাম স্কেলে স্হান -কাল মাত্রা!
তার আগে পুরান কিছু কথা ঝালাই করি যা আগে বলছি
১: আলোর চলনরেখা বাইকা যায় যখন কোনো ভরের পাশ দিয়া যায় কারন তার আকর্ষনের কারনে। সেই সূত্রে অর্থাৎ জেনারেল থিওরী অব রিলেটিভিটির দোহাই দিয়া কইতে পারি বস্তুর গ্রাভিটি নামক বৈশিষ্ট্যের কারনে এর স্হান কালের স্হানাংক বাইকা যায়! কি টান, ধইরা বান!
২: কোয়ান্টাম ফিজিক্স অনুসারে সবকিছু এনার্জী স্ট্রিং অথবা শক্তির সূতলি অথবা শক্তির তরঙ্গের মিলনমেলার লীলাখেলা আর তা দিয়া এতসব পার্টিক্যালের সৃষ্টি। সেই অনুসারে চারটা বল আছে যারা এই সব মিলনমেলায় তাদের মিথস্ক্রিয়া কাজে লাগায়। চারটা হলো ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক শক্তি, দুর্বল আনবিক শক্তি, শক্তিশালী আনবিক শক্তি আর গ্রাভিটি। তো দেখা যাইতাছে গ্রাভিটি কোয়ান্টাম লেভেলেও বর্তমান, তার মানে এই স্হানের মাত্রার বেকা হওনের সম্ভাবনা কি দেখা যায় না জেনারেল থিওরী অব রিলেটিভিটি অনুসারে?
আমি উপরের লাইনটা একটু বোল্ড করলাম, কারন এই লাইনটা যদি বুঝতে পারেন তাহলে মনে হয় বাকী অংশ বুঝতে পারবেন। আজকে আমি খালি এই একটা টপিক্স নিয়া যাবতীয় আলোচনা করতে চাই কারন এর একটা মুখ্য উদ্দেশ্য আছে!
যাই হোউক, যদি বুইঝা বলেন আসলেই স্হানের বাইকা যাওনের সম্ভাবনা আছে আবার আমি আগেই বলছি স্ট্রিং থিওরী অনুসারে ১১ টার বেশী মাত্রা আছে যেইখানে কালের মাত্রাও বিদ্যমান। তাহলে দেখা যাইতাছে জেনারেল থিওরী অব রিলেটিভিটি আমি এই কোয়ান্টাম লেভেলে খাটাইতে যাই তাহলে এই কোয়ান্টাম লেভেলে স্হান-কালের মাত্রা বাইকা যাওনের সম্ভাবনা আছে!
১৯৬০ সালের দিকে হুইলার মামা নামের এক বিজ্ঞানীর মাথায় এই খুজলি ঢুকে। তো সে একখান তত্ব দিয়া বসে। তত্বটা হয়তো অনেকেই জানেন তবে আমি একটু অন্যভাবে বলি। আমরা কি জানি প্রকৃতিতে শূন্য স্হান বলতে ঐখানে কোনো ভর যুক্ত বস্তু নাই, ঐখানে থাকবে শক্তি অথবা এনার্জির তরঙ্গ! অথবা আরেকভাবে বলা যায় ম্যাটার এন্টিম্যাটার এর সংঘর্ষের কারনে ঐখানে কোনো ম্যাটার তাহকবে না থাকবে শক্তি তরঙ্গের সাগর।তো আমরা যদি এই লেভেলে একখান কোয়ান্টাম মাইক্রোস্কোপ নিয়া আগাই (যেহেতু শূন্যে বা ভ্যাকুয়ামে কিছু একটা সংঘর্ষ টাইপ ঘটনা হইছে (যেইটারে একটা ইভেন্ট বলা যায়) সেহেতু এইটা একটা স্হান এবং সময় অবশ্যই আছে, কি কন থাকবো না?) আগে ছবি খান দেখেন নীচে:
এই ছবি তে দেখেন যখন ১০^-১২ সেন্টিমিটার স্কেলে চোখ রাখি তখনও আমরা বেশ সমতল দেখতাছি।যখন আরো কমে যামু ধরেন ১০^-৩০ সেমি
তখন দেখা যাইবো ওর উপরিভাগে সামান্য উচানীচা রাফএনটাফ দেখা যাইতাছে, মনে হইতাছে কেউ শিরিষ কাগজ দিয়া ঘষাঘষি করছে। এখন আমরা প্লান্কের দৈর্ঘ্যের স্কেলে মানে ১০^-৩৩ সেমি দেখি তখন দেখা যাইবো এইখানে সাবানের ফেনার মতো ব্যাপার দেখা যাইতাছে। আসল ঘটনা হইলো ঐটাই আপনে যখন বিশাল এক শীট মেটাল (শীট মেটাল তো চেনেন মনে হয় পাতলা লোহার শীট যেইটা দিয়া মুড়ির টিনের বাসের বডি বানানো হয়) একখান হাতুড়ি দিয়া বাড়ি দিলে দেখা যাইবো খালি ঐজায়গায় গর্ত হইছে আশেপাশে কোনো কিছু হয় নাই, মাগার লোহার শিটের জায়গায় একখান ছুটো কাগছে একখান জোরে বাড়ি দেন তাইলে কি হইবো, পুরা ভচকাই যাইবো।
এইখানে সেম জিনিসটাই ঘটছে গ্রাভিটির টানে এরকম হইছে। এখন আসেন আরেকটু ব্যাখ্যা করি এইখানে আসলে হইছে কি? এই এনার্জীরে সাগরে গ্রাভিটির টানে এর কোয়ান্টাম স্কেলে জায়গায় এনার্জীর কম বেশী কারনে দেখা যায় খুবই অল্প সময়ের জন্য (প্লান্কের সময় ১০^-৪৩ সেকেন্ড) কনিকার সৃষ্টি করে আবার সেটা শক্তিতে পরিনতও হয়! এখন আপনি হয়তো বলতে পারেন এইখানে শক্তির নিত্যতা সূত্রের গ্যান্জ্ঞাম অথবা কজালিটি নিয়া টানাটানি হইয়া গেলো না?
মনে হয় না কারন হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা সূত্রানুসারে স্হান এবং কালের এতো ছোট স্কেলে কনিকা এবং শক্তি এই দুটাই খুব অল্প সময়ের জন্য অস্তিত্ব প্রাপ্ত হয় আর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় তাই এটা একখান ব্যালেন্সিং হইয়া যায়। এই এনার্জীর উচা নীচাকে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনও বলা হয়।
এইখানে অনিশ্চয়তা সূত্র অনুসারে বলা যায় যেকোনো এক জোড়া সংখ্যার প্যারামিটার, ধরা যাক পজিশন এবং গতি অথবা কাল এবং শক্তি, পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং একই সময়ে কেবল মাত্র একটাকে যত নিখুত ভাবে মাপতে যাইবো তখন আরেকখান তত নিখুত ভাবে মাপনের বাইরে চইলা যাওনের সম্ভাবনা দেখা দিবো! এইটা আসলে মাপামাপির ব্যাপার না, বলা যাইতে পারে এইটাই প্রকৃতির নিয়ম!
আরেকটু ব্যাখ্যা করি: কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরী অনুসারে (ফিল্ড থিওরী বোলে তো একখান স্হান যেইখানে তার প্রত্যেকটা পয়েন্টের এক নির্দিষ্ট মান বিদ্যমান যেমনটা দেখা যায় তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্রর মতো) চরম শূন্য স্হানের ভিতরে যেই সামান্যতম শক্তিটা বিদ্যমান তার মধ্যে এতটুকু ক্ষমতা আছে এক জোড়া কনিকা তৈরী করার স্বতঃস্ফূর্তভাবে যার একটি কনা আরেকটা প্রতি কনা হবে। তারা যেমন অতি অল্পের সময়ের জন্য অস্তিত্ব প্রাপ্ত হবে তেমনি ঐ প্লান্কের সময়ের মানের মধ্যে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। ফলে এখানে দেখা যাবে এটা যেহেতু স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা সেহেতু এর ফলে শক্তির নিত্যতার সূত্রের কোনো ব্যাত্যয় ঘটছে না।
সমস্যাটা হলো গ্রাভিটির কোয়ান্টাম তত্ব ছাড়া ওখানে আসলেই যে শক্তির ফ্লাকচুয়েশন ঘটছে তা অনিশ্চয়তা সূত্রানুসারে মাপা সম্ভবনা!
পরে এই ব্যাপারটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে কারন এটা দিয়ে অনেক কিছু এতো ব্যাপকভাবে ব্যাখ্যা করা যায় যেমন বেবি ইউনিভার্স, মাল্টিভা্রস এবং টাইম ট্রাভেলর সমস্যা সমূহ, তা পাঠককে আরো অনেক দূর নিয়ে যাবে বলে আশা করি!
সবগুলি বলের একত্রীকরন:
অন্য তিনটা বলের সাথে গ্রাভিটির একত্রীকরন এখন একটা বর চ্যালেন্জ্ঞ হয়ে দাড়িয়েছে।কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রোডাইনামিক্স দিয়ে সফল ভাবে তড়িৎ চৌম্বের কোয়ন্্টাম তত্ব দাড় করানো গেছে পরে দূর্বল তড়িৎশক্তি দিয়ে এটাকে দুর্বল আনবিক শক্তির সাথে একীভুত করা গেছে।শক্তিশালী আনবিক শক্তিকে কোয়ান্টাম ক্রোমোডাইনামিকস এর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা গেছে যেটা আগের পর্বের স্ট্যান্ডারড মডেলের ছবিতে লেখা আছে। পরে অবশ্য এই মডেলের খুটিনাটি নিয়েও আলোচনা করারো খায়েষ আছে বৈকি!
কিন্তু এই গ্রাভিটিকে যদি একীভুত করা যায় তাহলে হয়তো একদিন পুরো মডেলটাকে আমরা আরো পরিপূর্নভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবো! আর সেটা হয়তো এই স্ট্রিং থিওরীই করতে পারবে!
আইনস্টাইনের ব্যার্থ মিশন সবকিছুর ব্যাখ্যা দিতে!
আসলে এই প্যারাটা আমার খুব পছন্দ না, কারন ইতিহাস বলাটা আমার স্ভাবে নেই। তবু একটু বলি আইনস্টাইন তার জীবনের শেষের দিকে গ্রাভিটিকে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের সাথে খাপ খাইয়ে এই অন্যান্য বলের সাথে একীভুত করার চেস্টা চালাইছেন। সফল হয় নাই! সে অনেক ভাবেই ট্রাই মারছে, কখনো ভাবছে যে একখান এক্সট্রা নায়িকার মতো মাত্রা যোগ কইরা কাম করতে যেইটা কালুজা ক্লেইন থিওরী নামে বেশী পরিচিত। এইখান থিকা পেস্কি ডাইমেশনের আবির্ভাব ঘটছে যেইটা নিয়া বিস্তাড়িত আলাপ করুম পরে।
মোদ্দা কথা আইনস্টাইনের একীভুত করনের পরিকল্পনা সফল হয় নাই। অনেকেই এখন আফসোস করে কিন্তু নতুন প্রজন্ম আসলেই জিনিয়াস, টারা একন এমন রাস্তা দেখাচ্ছে যেটা দেখে আমরা আশায় বুক বাধি। আমি সেই রাস্তার কথাই বলবো তবে আমাকে আরো অনেক কথা বলতে হবে, সবকিছুর ধারাবাহিকতা আমাকে রক্ষা করতে হবে!
লেখাটার এই পর্যায়ে এসে আমি বুঝতে পেরেছি আমি আসলে এমন একটা টপিকস নিয়ে লেকাহ শুরু করেছি যেটা লেখার মতো জ্ঞান আমার নেই। আমি শুধ কিছু জার্নাল থেকে খুজে পাওয়া ভাবনা আর কিছু ল্যাব এক্সপেরিমেন্টের ধারাবাহিক পর্যবেক্ষন তুলে ধরছি মাত্র। মাঝে মাঝে আফসোস লাগে আমি এখানে একটা লাইন ম্যাথও কন্ট্রিবিউট করতে পারিনি। হতে পারিনি এমন একজন যার নাম লেকাহ না থাকলেও হয়তো তারপরের থেকে দেখানো রাস্তাতেই খুজে পাওয়া যাবে এমন কিছু!
ইদানিং মন টা আমার বিক্ষিপ্ত, অতীতের স্মৃতিতে খুব বেশী আক্রান্ত! তাই আজকে বেশী লিখতে পারলাম না! পরের পর্বে হয়তো আরো অনেক ব্যাপারেই বলবো তবে ভয় লাগছে এ আমি কি নিয়ে লিখতে বসেছি, সব কি সঠিক ভাবে বলতে পারবো? ভুলতো হবে! তখন ক্ষমা চাইবো কার কাছে?
দোয়া করবেন......
চলবে পরের পর্বে!