: কেন, খাইতে যাই?
: আর কি করতে যাও?
: (একটা শয়তানী হাসি দিয়া কইলো) চোখ আর ঘাড়ের ব্যায়াম করতে যাই!
: তা তুমার শানাই বাজাইবা কবে?
: সমস্যা হইলো শানাই আলারে খুইজা পাই না। পাইলে তো অখনই ৫০ টাকা দিয়া বাজাই।
: আরে ধুর ঐ শানাই না, মানে গলায় মালা পড়বা কবে?
: কি যে কও, শাহবাগও অনেক দিন ধইরা যাই না, গেলে তো মাঝে মাঝেই ২০ টাকার গজড়া ফুলের মালা পড়ি।
: আরে ধুর, আমি কইতাছি দিল্লী কা লাড্ডু খাইবা কবে?
: দিল্লি গেলে!
: আমারে দেখি মুসিবতে ফেলাই দিলা, এই ভীড় বাসে তুমারে জিগাই কেমনে? অফিসের ড্রপ থুইয়া আইলাম মিয়া মৌজ করতে আর তুমি ফান্দে পাও দেও না!
: পায়ে ব্যাথা তাই পাও দেই না! (কইয়া হাসা শুরু করলো)
এমন সময় সামনের সীটে বসা একজন কইলো," ভাইজান মনে হয় শহীদ হওনের কথা কইতাছেন!"
আমি কইলাম চমকাইয়া," মামু দেখি ধইরা ফেলাইছেন!"
শুভ্র আরেকখান হাসি দিয়া কইলো," ওহো, তাইলে আসো দেশে একখান যুদ্ধ লাগাই দেই ইন্ডিয়ার লগে, তখন দেখবা নাচতে নাচতে বাংকারে উইঠা খাড়ায়া যামু!"
মেজাজ খিচা তাল গাছে উইঠা গেলো বিনা লাফে," আব্বে হালা, বিয়ে করবি কবে?"
: এইডা হইতো না, অনার্স পাশ হইয়া গেছে বিএ করার ইচ্ছে নাই, এমবিএ নাইলে মাস্টার্স!
: বাদ দাও, তুমার আম্মা জান কি কিছু কয় না?
: হ কয়, কয় নামাজ কালাম পড়, ভালো ভাবে চলা ফেরা কর!
: বাপে?
: সে কয়, ভালো চাকরি কর, বিদেশ যা!
: আরে এইসব কথা না, আমি কইতাছিলাম দোকলা হওনের ব্যাপারে!
: আরে কি যে কও, আমারে বাপে প্লেবয় হইতো কইবো এইডা কি কইলা? (লজ্জায় পোলার মাথাডা নীচা হইয়া গেলো)
: মিয়া, অহনো দেহি তুমার না টিপলে দুধ পড়ে। তুমারে কালকা আমি লমু না।
: কও কি, বিয়ার দাওয়াতে লইবা না কেন? মেলা দিন বিয়া খাই না।
অর এই ডায়লগ শুইনা সামনের সীটে বসা তিনজন দিলো হাইসা। একজন কইলো," ভাইজান এইবার বুঝছে। পারলে ঐখানে ঐ দাওয়াতে ঘটকার সামনে বসায় দিয়েন একটা যোগাড় কইরা!"
শুভ্র কইলো," আর মিয়া ভাই, আমি আগেই বুঝছি মাগার ফান্দে পাও দিই নাই। ঐ রনি, কালকা কি আমরা যামু না!"
আমি হাসি থামায়া কিছুক্ষন চিন্তা করলাম," না যামু না, একটা ক্যাচাল হইবো। একজনের মান সম্মান যাইবো। এইডা আমি দেখবার চাই না!"
শুভ্র দার্শনিকের ভাব নিয়া দাড়াইলো আর আমি দাড়াইলাম উদাস ভঙ্গীতে! মনে হইলো দুই জনে একখান এলবামে পুজ দিতাছি!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৫৭