somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়া শিশিরের গল্প...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গল্পটা একটু বড়, যাদের বড় পোষ্ট দেখলে এলার্জি শুরু হয়ে যায়! তারা কষ্ট কইরা ঢুইকেন না। /:)

শিশির রেল লাইনের পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছে, অনেক বেশী ক্লান্ত শরীর আর পরাজিত মন নিয়ে...হঠাৎ হাতের ফাইলটা রেখে রেল লাইনের উপর বসে পড়লো, চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসছে, কি করবে বুঝতে পারছে না. এতো গুলো টাকা কই পাবে? বন্ধু বান্ধব সবার কাছে ধারে চেয়েছে,কিন্তু কারো কাছে এতো টাকা নেই! এখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাত পাতা ছাড়া তার আর কোন উপায় নেই, তাকে দিয়ে
তাও হয়তো হবে না. তাহলে কি মায়ের চিকিৎসা ছাড়াই দুঃখে দুঃখে মৃত্যু কোলে ঢুলে পড়বে...শিশির ভাবতে গেলেই হিংস্র হয়ে যায়। অনেকটা জোরে আঘাত করলো পাথরে! হাত দিয়ে রক্ত পড়ছে..বেঁচে থাকার ইচ্ছেটা আর করছে না শিশিরের, মরে গেলেই ভাল হয়! অন্তত নিজের চোখের সামনে মায়ের মৃত্যু দেখতে হবে না।

হঠাৎ হেঁচকা একটা টান দিল কেউ, রেল লাইন থেকে ছিটকে পড়লো শিশির, ভয়ংকর হুংকারে ট্রেন চলে গেল পাশ দিয়ে..একটুর জন্য হয়তো এখনি ট্রেনে কাঁটা পড়তো শিশির। নিজের সম্মোহন ফিরে পাশে তাকাতেই কেমন পরিচিত একটা মুখ! যদিও চিনতে পারছে না শিশির, একগাল হেসে রাসেল বলে উঠলো কি মিয়া হঠাৎ ট্রেনের নিচে পড়ে মরার শখ! তাও সরকারি জিনিস এক টাকাও তো পাবেন না। শুধু শুধু আপনের ছিন্ন ভিন্ন শরীর নিয়ে পরিবারের কষ্ট,
শিশির কিছুক্ষণ চুপ করে জিজ্ঞেস করলো আপনি কে? আর আমাকেই বা কেন বাঁচালেন.. শিশির প্রথম বার খুব একটা ভাল করে তাকায়নি এবার তাকলো রাসেলের দিকে, মুখে অনেক গুলো কাঁটার দাগ। ডান চোখের উপরে দাগটায় চোখ এসে আটকে গেল শিশিরের, অনেক বেশী গভীর আর কুৎসিত!! রাসেল হেসে বলল ছিনবেন না আমাকে কিন্তু আমি আপনাকে ছিনি। কি ভাবে ছিনি ওটা জেনে লাভ নেই!
এখন বল ট্রেনের নিচে ঝাপ দিচ্ছিলে কেন? শিশির বুঝচ্ছেনা বলবে কিনা! তবুও ভাবল যদি সে কোন উপকার করতে পারে...মায়ের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা দরকার কিছু দিনের মধ্যেই অপারেশন করতে হবে না হলে মাকে বাঁচানোও যাবে না! কথা গুলো বলতে বলতেই শিশিরের চোখে পানি এসে যায়।

রাসেল শিশিরের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে বলে যা বলবো তাই করতে পারবে? শিশির বলল জীবনটা চাইলে তাও দিয়ে দিবো। রাসেল শিশিরের চোখে অদ্ভুত হিংস্রতা লক্ষ করলো। তাকে অভয় দিয়ে বলল ঠিক আছে আমি তোমাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো কিন্তু সেখান থেকে বাকিটা কাজ তোমাকে করতে হবে।

জায়গাটা অনেকটা অন্ধকার অনেক সরু গলি চারপাশে মানুষের গায়ের ভোঁটকা গন্ধ। তবুও মানুষের কোন শব্দ নেই..মৃত নগরীর মতো সবাই ঘুমিয়ে আছে প্রতিটা ঘরকে কবর বানিয়ে। . রাসেল সামনে হাঁটছে একবার এই গলি ঐ গলি দিয়ে, প্রত্যেক বার গলি দিয়ে ঢুকতে নাকে অপরিচিত মেডিসিনের গন্ধ আসছে. একটা দোতলা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে গেল রাসেল হাত দিয়ে ইশারা করলো ঘরটায় ঢুকতে তার সাথে। ঢুকেই দোতালার একটা রুমের সামনে টোকা দিল দরজায়। একটু পর একটা মানুষ দরজা খুলে সামনে দাঁড়ালো, রাসেল কে দেখে লোকটা ভেতরে আসতে বলল রাসেল শিশিরকে ঘরটায় ঢুকতে বললো শিশির ঠিক ভাবতে পারছে না কি হতে চলেছে, তবুও সাহস রেখে ঘরটায় ঢুকলো. একটা লোক ইজি চেয়ারে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। আশপাশটা অনেকটা অন্ধকার। কয়েক মিনিট পর চোখ খুলে লোকটা রাসেলের দিকে তাকালো, নরম গলায় বলছে, ভাই ও অনেক বিপদে পড়েছে! তাই আপনার কাছে নিয়ে আসলাম। লোকটা ক্ষীণ হেসে বললো সবাই তো বিপদে পড়েই আসে। ঠিক আছে ওকে এখন নিয়ে যা কাল আসতে নিয়ে আসিস। ঘরটা থেকে বের হয়েই রাস্তায় একটা সিএনজিতে শিশির কে নিয়ে রাসেল উঠে! একটা তিনতলা বাড়ীর সামনে এসে থামায় ওটার চাদের রুমটায় থাকে রাসেল, আজ থেকে শিশিরও সেখানেই থাকবে। পুরো রাস্তায় শিশির একটা প্রশ্ন করেনি রাসেলকে এখন করছে! ঐ লোকটা কে ছিল? রাসেল বলছে.. উনি আজিজ ভাই! আমি উনার হয়ে কাজ করি। কাল গেলেই বুঝবে কি কাজ.........।
রাসেল শিশির কে ঘুমিয়ে যেতে বলছে, রাসেল বাহিরে যাচ্ছে ফিরতে অনেক রাত হবে। রাত ১০টার মতো বাজে। পকেট থেকে মোবাইলটা বের করতেই দেখে ৪৯টা মিসকল!!


মিলি অনবরত কল করছে শিশির কে, শিশির ফোন ধরতেই মিলি মুখে যা আসছে বলছে শিশিরকে...মিলির কথা বলা থামতেই শিশির বলছে তোমাকে না আর আমার মোবাইলে কল করতে মানা করলাম। বারবার ফোন দিচ্ছ কেন? মিলি একটু চুপ হয়ে বলছে কেন দিচ্ছি বোঝ না! শিশির সব বোঝেও বললো না বোঝতেও চাই না। দেখ মিলি তোমাকে আমার বিয়ে করা কখনই সম্ভব না। কথাটা তোমাকে অনেক বার বলেছি তুমি বুঝতে চাও না কেন? তোমার কাছে আমি সরি কখনো তোমাকে মিথ্যে স্বপ্ন দেখিয়েছি বলে। প্লিজ তোমার বাবা মার পছন্দের ছেলেকেই বিয়ে কর আর আমাকে মুক্তি দাও।

কথাটা শেষ না করতেই ফোন কেটে দেয় শিশির। মিলির জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছে, মেয়েটা পাগলের মতো ভালবাসে । কিন্তু কখনো তাকে পাবে না শিশির, অথচ কখনও এই মিলির ভালবাসা পাবার জন্য কত কিনা করতে হয়েছে শিশিরের..মেয়েটা অনেকটা একরোখা আর জেদি, কখন সময় মতো না আসলে গাল ফুলিয়ে বসে থাকতো! পুরো আধঘণ্টা ঘাম ঝরিয়ে তার রাগ ভাঙ্গতে হতো সেদিন। তারপর মাথাটা কাঁধের উপর রেখে নিশ্চুপ হয়ে মিশে থাকতো, অভিমান নিয়ে বলতো কখনো একা রেখে চলে যাবে নাতো? আমি কিন্তু সত্যি মরে যাবো..মিলির চোখে জলে টলমল করতো শিশির আঙ্গুল দিয়ে জল মুছে বলে পাগলি কখন তোকে ভুলে থাকা সম্ভব! আমিও তো মরে যাবো যদি তোমাকে না পাই...অথচ আজ সেই ভালবাসার নির্মম সত্যটা জানে শিশির.. যার চাল নেই চুলো নেই এমন ছেলের কাছে কে মেয়ে বিয়ে দিবে? তবুও কখনো স্বপ্ন দেখত মিলিকে নিয়ে, ছোট্ট একটা সংসার। পড়াশোনা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে, মিলিকে বিয়ে করে সুখে সংসার বাঁধবে। আজ সব কিছুতেই ভাটা পড়েছে মায়ের অসুখের জন্য, পড়াশোনাও শেষ করতে পারেনি ..এখন টাকার পিছনে ছুটতে হচ্ছে, হয়তো মিলির ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু তার মায়ের ঋণ হয়তো কখনই না। তাদের অভাবের সংসারে দুই ভাই বোনকে শত কষ্ট বুকে নিয়ে মানুষ করেছে, বাবা মারা যাবার পর তার মায়েই পুরো সংসার চালিয়েছে, আজ নিজের ভালবাসাকে তুচ্ছ মনে হচ্ছে মায়ের ভালবাসার কাছে। তাকে যে করেই হোক জিততে হবে। তার আগে বাড়ী ফিরবে না শিশির....

কখন যে চোখে তন্দ্রা চলে এসেছিল টেরি পায়নি শিশির, সকাল হয়ে গেছে রাসেল এখনো ফেরেনি. একটুপর দরজায় টোক দিল কেউ! খুলতেই অপরিচিত একটা ছেলে বলল রাসেল পাঠিয়েছে তাকে, তার সাথে যাওয়ার জন্য। তৈরি হয়ে সে ছেলের সাথেই চলল সেই বস্তির দোতলা বাড়ীতে রাসেল ছিল, কিন্তু কি নিয়ে জানি ব্যস্ত শিশিরের সাথে কথা বলেনি...সেই ইজি চেয়ারে বসা আজিজ ভাই একটা প্যাকেট আর খাম দিল। ঐ ঠিকানায় প্যাকেট পৌঁছে দিয়ে আসতে বলল। শিশির প্রস্তুত ছিল না তবুও ঠিকানা মতো চলে গেল আর একজন সাধা শার্ট পরা লোকের হাতে প্যাকেট দিয়ে আসলো।
শিশির কাজ শেষ করে এসেই আজিজ ভাইয়ের সামনে দাঁড়ালো। এই নাও... চার-পাঁচটে ৫০০টাকার নোট বের করে শিশিরের হাতে দিল। রাসেল অনেকটা দূরত্ব নিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, শিশির রাসেলের দিকে একবার তাকিয়ে আজিজ ভাইয়ের টেবিলে টাকাটা রেখে দিল।
আজিজ ভাই রাসেলের দিকে তাকিয়ে আছে! রাসেল একটু এগিয়ে এসে বলল ভাই আপনাকে বলা হয়নি ওর মা অনেক অসুস্থ ওর অনেক বেশী টাকা লাগবে, আজিজ ভাই একটু পরে বলে উঠলো তুমি কি বলছ বুঝতে পারছ? টাকা এতো সহজে ধরা দেয় না ছিনিয়ে নিতে হয়!! রাসেল বলে উঠলো ভাই আপনি একটা ব্যবস্থা করে দেন, একটু গম্ভীর হয়ে কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে আবার শিশিরের দিকে তাকাল খুন করতে পারবে? বুকের ভেতর ধক করে উঠলো শিশিরের! ঠিক বোঝে উঠতে পারছে না কি বলবে উত্তরে...

রাসেল আর শিশির একটা বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছে, রাসেল হঠাৎ বলে উঠলো পারবি তো? নাইন এম এম পিস্তলটায় হাত বুলিয়ে পারবো! প্রায় একঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে দুইজন এখনি বের হবে মহিলা নীল শাড়ী পরে অবশ্য চেনার জন্য একটা ছবি আছে ওদের কাছে, শিশির বারবার ছবিটা দেখছে অনেকটা হাস্য উজ্জল মুখ, কেমন একটা মায়া আছে যেন...হঠাৎ রাসেল খোঁচা দিয়ে এই আসছে রেডি কর!! পিস্তলটা বের করেতেই হাত যেন কাঁপছে শিশিরের নিশানা করতেই দেখছে একটা বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে বের হয়েছে মহিলাটা বাচ্চাটার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে শিশির কি করে সে গুলি করে? নিজের মাকে বাঁচাতে আরেক জনের মাকে হত্যা করে? শিশিরকে গুলি করতে দেরী হচ্ছে দেখে রাসেল হাত থেকে পিস্তলটা নিয়ে এক পলকে গুলি করে দিল!!
চাদের রেলিংয়ে বসে থাকা কাক উড়ে গেল, নীল শাড়ীতে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ হয়ে যাচ্ছে,, দেহটা লুটিয়ে পড়লো রাস্তায় পাশে, দাড়িয়ে থাকা ছোটও মেয়েটার মুখে রক্তের জাপটা, নির্বাক তাকিয়ে আছে যেন আমার দিকে তীব্র ঘৃণা নিয়ে। শিশির ঠিক কি বলবে বুঝতে পারছে না শুধু রাসেলকে বলল তুই....তুই কি করলি এটা? হাতে পিস্তল ধরিয়ে দিয়ে বলল যা করেছি তোর ভালর জন্যই করেছি, এখন তাড়াতাড়ি জায়গাটা থেকে বের হয়ে পড়ি।
পানির অনবরত জাপটা দিচ্ছে মুখে তবুও কেমন একটা ঘোর চোখে মুখে লেগে আছে শিশিরের!! শেষ পর্যন্ত হত্যা কারী হয়ে গেলাম? মা জানলে কখনো ঐ টাকা দিয়ে অপারেশন করবে না।

মোবাইলটা বেজে উঠলো! ধরতেই আনিস বলছে কিরে তুই কই? জানিস মিলি বিষ খেয়েছে? ওর বাবা মা অন্য জায়গায় বিয়ে দিচ্ছে বলে। শিশির চুপ করে আছে মেয়েটা এমন করবে কখন ভাবতেই পারেনি।আজ মিলির কিছু হলে হয়তো এর জন্য দায়ী আমি নিজেই,,নিজেকে পৃথিবীর সব থেকে ভয়ানক খুনি মনে হচ্ছে শিশিরের...
রাসেল হাতে টাকাটা দিয়েই বলছে এইনে ধর! আজিজ ভাই অনেক খুশি হয়েছে কাজটা করতে পেরেছিস জেনে, তোকে কিন্তু আবার আসতে হবে যখন ডাকবে, শিশির মাথা নাড়িয়ে সায় দিল। এখনি যেতে চাই! রাসেল বিদ্রূপ হেসে টাকা পেয়ে হাওয়া হয়ে যাবি? নে চা খা যাবি আরকি এতো তাড়া কিসের, শিশিরের কেমন সন্দেহ হচ্ছে তবুও কিছু করার নেই!
চায়ে এক চুমুক দিয়ে রাসেলের দিকে বলল না আমাকে এখনি যেতে হবে আর দেরী করতে চাই না। এমনিতে কাউকে কিছু না বলেই বের হয়েছি...

শিশিরের মাথায় অনেক কিছু জটলা বেঁধে আছে! তবুও তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না, বাড়ীর অনেকটা কাছে চলে এসেছে এখন শুধু রেল লাইনটা ক্রস করলেই হবে, টাকার ব্যাগটা শক্ত করে ধরে রেখেছে শিশির ঐ টাকার জন্যই কতটা নিচে নেমেছে তা ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। পকেটে সাইলেন্ট করা মোবাইলের আলোটা জ্বলছে, রিসিভ করতেই নিশি কান্নার জন্য কিছু বলতে পারছে না।
নিশিকে দমক দিয়েই বলছে কি হয়েছে কাঁদছিস কেন? মা কেমন আছে! আমি দুইদিন ছিলাম না বলে মা নিশ্চয়ই অনেক চিন্তা করছে নারে? নিশি কান্না থামিয়ে ফুফিয়ে ফুফিয়ে বলছে মা আর নাইরে ভাইয়া! আমাদের ছেড়ে চলে গেছে অনেক দূরে, আজ বিকেলে...

হাত থেকে মোবাইল পড়ে গেল শিশিরের মা নেই!.... বিশ্বাস হচ্ছে না এতো কিছু কার জন্যে করলাম? রেল লাইনে বসে পড়লো।
মাথাটা ঝিম ঝিম করছে চোখ দুটো ঝাপসা হয়ে আসছে বসে থাকার শক্তি পাচ্ছে না, হঠাৎ কিছু যেন পুরো শরীরের সব কিছু বন্ধ করে দিচ্ছে! মুহূর্তে ঢলে পড়লো রেললাইনের উপর.
সব অন্ধকার লাগছে মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে শিশিরের বুঝতে বাকি ছিল না রাসেল তার চায়েতে বিষ দিয়েছিল, আর কিছুক্ষণ হয়তো মস্তিষ্ক কাজ করবে শিশিরের,
কার পায়ের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে শিশির. হাতে আটকানো ব্যাগটা ঝাঁকি দিয়ে নিয়ে গেল, মাথার সামনে দাড়িয়ে সে আবছা ছায়া কিছু বলছে যার কোন কিছুই শুনতে পায়নি। শিশির ক্রমশও ঘুমিয়ে পড়ছে গগণ বিধারি চিৎকারে চির ঘুমিয়ে গেল।


পূর্বে ফেসবুকে প্রকাশিত।।

১৪টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইনডিয়ান মিডিয়া, র এবং সংখ‍্যালঘু প্রসঙ্গ

লিখেছেন মোরতাজা, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৫৭



১.
ইন্ডিয়ান মিডিয়াকে ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত সাংবাদিকতার ক্ষেত্র বঙ্গে গীতা/বাইবেল জ্ঞান করা হতো। ৫ আগস্টের পর এই দেশটির মিডিয়া আম্লীগ এক্টিভিস্ট সুশান্তের আমার ব্লগের চেয়ে খারাপ পর্যায়ে প্রমানিত হয়েছে—জানায়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলনকে ধর্ষণ বলা হবে, না প্রতারণা বলা হবে?

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৪১

আমাদের দেশে এবং ভারতের আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলনকে ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করা হয়। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এই ধরণের বিধান আছে বলে আমার মনে হয় না।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ, চীন ও ভারত: বিনিয়োগ, কূটনীতি ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:১০


প্রতিকী ছবি

বাংলাদেশের বর্তমান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সমীকরণ নতুন মাত্রা পেয়েছে। চীন সফরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ ও আর্থিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে ফিরছেন, যা দেশের অর্থনীতির জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪

ড. ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান....

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে। শনিবার (২৯ মার্চ) এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্রঋণ ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড. ইউনুস: এক নতুন স্টেটসম্যানের উত্থান

লিখেছেন মুনতাসির রাসেল, ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ড. মুহাম্মদ ইউনুস ধীরে ধীরে রাজনীতির এক নতুন স্তরে পদার্পণ করছেন—একজন স্টেটসম্যান হিসেবে। তার রাজনৈতিক যাত্রা হয়তো এখনও পূর্ণতা পায়নি, তবে গতিপথ অত্যন্ত সুস্পষ্ট। তার প্রতিটি পদক্ষেপ মেপে মেপে নেয়া,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×