প্রতিদিনই যৌতুকের বলিদান হচ্ছে কতো নারী। কাউকে মারা হচ্ছে, কেউ কেউ নিজেরাই মরছে, কাউকে দেয়া হচ্ছে মৃত্যূর চেয়েও ভয়ংকর কষ্ট, কারো শরীর জ্বলসে দেয়া হচ্ছে আবার কাউকে কাউকে মানুষিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে শুধুই যৌতুকের জন্য।
যৌতুক একটি ভয়ংকর সামাজিক ব্যাধি। জটিল একটা ভাইরাস এটা। কিন্তু আমরা পারছিনা এটাকে প্রতিহত করতে। আমরা স্বচক্ষে সবকিছু দেখেও কিছুই করতে পারছিনা। পারছিনা এই ভাইরাসটাকে চিরতরে শেষ করতে। উলটো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা। আজকাল শিক্ষিত মানুষগুলাও জড়িয়ে পড়ছে এটায়।
আমরা বুঝি এটা মারাত্মক ক্ষতিকর তবুও করছি এটা। আমরাই করছি এটা।
যেকোনো মূল্যে এটাকে প্রতিহত করা অবশ্যই প্রয়োজন আমাদের। এটা আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক। অতিব জরুরি এটাকে নির্মূল করা।
এটার সাথে মিশে আছে আমাদের মানুষত্য, আমাদের বিবেক। এটার সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের নীতি-নৈতিকতা। এটার সাথে জড়িত আমাদের আদর্শ, আমাদের আত্মসম্মান।
আমরা শিক্ষিত হচ্ছি ঠিকই কিন্তু আমাদের বিবেক সেই পিছনেই রয়ে গেছে। আমাদের মাঝে শিক্ষাদীক্ষার হার বাড়ছে কিন্তু আমাদের মানুষত্য পড়ে আছে সেই মূর্খতার গহ্বরে।
আমাদের বিবেককে জাগাতে হবে। আমাদের মানুষত্যকে বাঁচাতে হবে। তবেই আমরা উন্নত একটা জাতির মানুষ হতে পারবো।
চলুন না! আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে যৌতুককে প্রতিহত করি। আমরা নিজেরাই যদি সোচ্চার হই তাহলে দেখবেন সমাজ অতি শিগগির এই যৌতুক নামক কলঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে। তখন আর কোন নারীকে এই ভাইরাসের শিকার হতে হবেনা।
আমরা একেকজনকে একেকটা অস্র হতে হবে, তাহলেই সমাজ হবে এই ভয়ংকর ভাইরাস মুক্ত।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:০১