somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আপনি কি জানেন এপ্রিলফুলের সঠিক ইতিহাস?

০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রতিবছর পহেলা এপ্রিল
মুসলমানদের ঘরে ঘরে কার্যালয়ে একে অপরকে ধোকা
দিতে বা ঠকিয়ে প্রতারণা করতে ‘এপ্রিলফুল’ পালনের
নিয়ম এখনও আছে। অথচ মুসলমানদের এপ্রিলফুল
পালন করা কুফরী বা হারাম। মূলত পহেলা এপ্রিলে যারা
ধোকা দিয়ে কৌতুক করে বা অপরকে ঠকানোর আনন্দে
বিভোর হয়, তারা মিথ্যা ও প্রতারণা করে কবিরা গুনাহ
করছে। যারা এপ্রিলফুল পালন করছে, তারা এ দিনটিতে
লাখ লাখ মুসলমানের ওপর জুলুমকারী ও শহীদকারীদের
দলে নিজেদের নাম সন্নিবেশিত করে কাফিরদের সাথে
আনন্দ প্রকাশ করে মুরতাদের খাতায় নাম লেখায়।
অথচ মুসলমানরা তাদের গৌরবময় ইতিহাস ঐতিহ্য
সম্পর্কে বেখেয়াল। মুসলমানরা তাদের স্বর্ণযুগ
সারাবিশ্বে নিজেদের বিস্তীর্ণ জ্ঞান বিজ্ঞানের
অভূতপূর্ব অবদান ইত্যাদি সম্পর্কে কোন খোঁজই রাখে
না। অপরদিকে, কাফির বা বিধর্মীরা যে মুসলমানদের কত
মর্মান্তিক জুলুম করেছে এবং নির্মমভাবে শহীদ করেছে
সে খবরও জানা নেই। পহেলা এপ্রিল বা এপ্রিলফুলের
দিনে রয়েছে লাখ লাখ মুসলমানকে প্রতারণা করে শহীদ
করার নির্মম ইতিহাস।
এপ্রিল ফুল দিবসটি সৃষ্টির
সাথে রয়েছে মুসলমানদের করুণ ও
হৃদয়র্স্পশী এক ইতিহাস।


১লা এপ্রিলের
এই ইতিহাস অন্যান্য
জাতি জানলেও অনেক মুসলিম
জাতি না জানার কারনে এই
বিজাতীয় অপসংস্কৃতিকে আপন
করে নিয়েছে।
এক পর্যায়ে মুসলিম নিধনের
লক্ষ্যে খ্রীস্টান
রাজা ফার্ডিন্যান্ড বিয়ে করে পর্তুগীজ
রানী ইসাবেলাকে। যার ফলে মুসলিম
বিরোধী দুই বৃহৎ
খ্রীস্টান শক্তি সম্মিলিত
শক্তি রুপে আত্মপ্রকাশ করে।
রানী ইসাবেলা ও রাজা ফার্ডিন্যান্ড
খুঁজতে থাকে স্পেন
দখলের মোক্ষম সুযোগ।
পরবর্তীতে মুসলিম সভ্যতার জ্ঞান
বিজ্ঞানের কেন্দ্রস্থল গ্রানাডার
বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু
করে। এক
পর্যায়ে মুসলমানদের অসতর্কতার
সুযোগে খ্রীস্টান
বাহিনী ঘিরে ফেলে গ্রানাডার তিন দিক।
এক মাত্র
মহাসমুদ্রই বাকী থাকে মুসলমানদের
বাঁচার পথ।
অবরুদ্ধ মুসলমানগন
কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে এদিক সেদিক
ছুটতে থাকে।
মুসলমানদের
এই অসহায় অবস্থায় রাজা ফার্ডিন্যান্ড
প্রতারণার আশ্রয়
নেন।
তিনি দেশব্যাপী ঘোষনা করে দেন –
“যারা অস্ত্র ত্যাগ
করে মসজিদগুলোতে আশ্রয়
নেবে এবং সমুদ্র পাড়ে রক্ষিত
নৌযানগুলোতে আরোহন
করবে তাদেরকে সব রকমের
নিরাপত্তা দেওয়া হবে”।

এমন বিপর্যয়কর
পরিস্থিতিতে মুসলমানগন যেন আশার
আলো খুঁজে পায়। সরল
মনে বিশ্বাস করে মুসলমানগন মসজিদ ও
নৌযানগুলোতে আশ্রয়
গ্রহন করে। কিন্তু ইতিহাসের জঘন্য
নরপিশাচ প্রতারক
রাজা ফার্ডিন্যান্ড তালা লাগিয়ে দেয়
মসজিদগুলোতে এবং মাঝ দরিয়ায়
ভাসিয়ে দেয়
নৌযানগুলোকে।
এরপর বিশ্ব মানবতাকে পদদলিত করে ঐ
মানুষ
নামের পশু ফার্ডিন্যান্ড আগুন
লাগিয়ে দেয় মসজিদগুলোর
চার
পাশে এবং মধ্যসমুদ্রে ডুবিয়ে দেয়
নৌযানগুলোকে।
ফলে অগ্নিদগ্ধ ও পানিতে হাবুডুবু
খাওয়া লক্ষ লক্ষ নারী-
পুরুষ
আর নিষ্পাপ শিশুর আর্ত
চিৎকারে ভারি হয়ে উঠে স্পেনের
আকাশ বাতাস। মুহূর্তের
মধ্যে নির্মমভাবে নিঃশেষ
হয়ে যায়
সাত লক্ষ মুসলমানের তাজা প্রান। আর
এরই
মধ্যে ইতি ঘটে স্পেনের আটশ বছরের
মুসলিম শাসনের, আর
পৃথিবীর ইতিহাসে রচিত হয়
মনবতা লঙ্ঘনের নির্মম অধ্যায়।
যেদিন এই মর্মান্তিক হৃদয় বিদারক
ঘটনাটি ঘটেছিল সেদিন
ছিল ১৪৯২ খ্রীস্টাব্দের ১লা এপ্রিল।
তখন
থেকে মুসলমানদেরকে ধোঁকা দেওয়ার সেই
নিষ্ঠুর ইতিহাস
স্মরনার্থে খ্রীস্টানরা প্রতি বছর
এপ্রিল ফুল পালন
করে আসছে।
দুঃখের সাথে বলতে হয় “এপ্রিল ফুল” এর
প্রকৃত ইতিহাস
সর্ম্পকে না জানার
কারণে আমরা আমাদের পূর্বসূরীদের
দুর্ভাগ্যকে আনন্দের খোরাক
বানিয়ে এপ্রিল ফুল পালন
করছি।
আমরা আর
কতকাল আত্মবিস্মৃত হয়ে থাকব ?
নিজেদের
ইতিহাস ঐতিহ্য
সর্ম্পকে অজ্ঞতার ধারা আর কতদিন
আমাদের মধ্যে বিরাজ
করবে। অথচ এই অজ্ঞতাই আমাদের জন্য
সবচেয়ে মারাত্নক কাল
হয়ে দেখা দিয়েছে।

আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:১৪
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মি. চুপ্পুর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি-জামাত; কারণ কী?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬


বিএনপি গত ১৬ বছর আম্লিগের এগুচ্ছ কেশও ছিড়তে পারেনি অথচ যখন ছাত্ররা গণহত্যাকারীদের হটিয়েছে তখন কেন বিএনপি চু্প্পুর পক্ষ নিচ্ছে? অনেকেই বলছে সাংবিধানিক শুন্যতা সৃষ্টি হবে তার সংগে বিএনপিও... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এতো কাঁদাও কেনো=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৬




আয়না হতে চেয়েছিলে আমার। মেনে নিয়ে কথা, তোমায় আয়না ভেবে বসি, দেখতে চাই তোমাতে আমি আর আমার সুখ দু:খ আনন্দ বেদনা। রোদ্দুরের আলোয় কিংবা রাতের আঁধারে আলোয় আলোকিত মনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারেরা প্রেসিডেন্ট চুপ্পুমিয়াকে চান না, কিন্তু বিএনপি কেন চায়?

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪



**** এখন থেকে ১৯ মিনিট পরে (বৃহ: রাত ১২'টায় ) আমার সেমিব্যান তুলে নেয়া হবে; সামুটিককে ধন্যবাদ। ****

***** আমাকে সেমিব্যান থেকে "জেনারেল" করা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিকাহের পরিবর্তে আল্লাহর হাদিসও মানা যায় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪




সূরা: ৪ নিসা, ৮৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৭। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্র করবেন, তাতে কোন সন্দেহ নাই। হাদিসে কে আল্লাহ থেকে বেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। পৃথিবীকে ঠান্ডা করতে ছিটানো হবে ৫০ লাখ টন হীরার গুঁড়ো

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০২




জলবায়ূ পরিবর্তনের ফলে বেড়েছে তাপমাত্রা। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তাই উত্তপ্ত এই পৃথিবীকে শীতল করার জন্য বায়ুমণ্ডলে ছড়ানো হতে পারে ৫০ লাখ টন হীরার ধূলিকণা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×