১
তেলআবিবের আকাশটা আজকে একদম অন্য রঙে ছেয়ে আছে।রাতের আকাশের এত অদ্ভুত রঙ আর কখনোই ধরে পড়ে নি ‘জাবেদ হ্যালনের’ চোখে।
নিস্পৃহ একটা চাঁদ তার আলো থাকা সত্তেও অদ্ভুত এক প্রগাঢ় অন্ধকারে আকাশটাকে ঢেকে রেখেছে,যেন কোন শান্ত বেদনার চারপাশতাকে ঢেকে রেখেছে।আকস্মাৎ এক প্রসন্ন নিরবতা আকঁড়ে ধরলো ‘জাবেদ হ্যালনকে’।
‘জাভেদ’নামেই তিনি নানান দেশে দেশে কাজ করে গেছেন।’জাভেদ’ নামটাই বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করেছেন।”হ্যালন” নামটা শুধু অফিশিয়াল কাগজে এবং গুরুর্তপূর্ণ ব্যক্তিরাই জানতো।
আকাশ থেকে চোখ ফিরিয়ে ডায়েরির পাতাটায় দ্রুত হাত চালাতে লাগলেন। অনেক কিছু লিখতে হবে তাঁকে।অনেক কিছুই যে লিখে যেতে হবে..।।।
২
হাত থেকে কলমটা ফেলে ওয়াসরুমের দিকে এগিয়ে গেলেন চোখে-মুখে পানি দেয়ার জন্য।এক মুর্হুতে জন্য আয়নায় চোখটা পরতেই নিষ্পলকভাবে তাকিয়ে রইলেন নিজের দিকে।হঠাত করেই আবিষ্কার করলেন, অনেকদিন থেকেই নিজের দিকে খেয়াল করে তাকানো হয় না,তাই সম্ভবত নিজের চোয়ালের দিকের সেই কুঁচকে যাওয়া চামড়ার দিকে তাকিয়ে নিজেই বেশ অবাক হলেন।
একমুর্হূতেই কেন যেন নিজের বয়সের ভারটা সাংঘাতিকভাবে বেড়ে গেছে মনে হতে লাগলো তাঁর।চোখের ঘোলাটে চাহনি আর কুচকানো চামড়গুলো যেন গুণেগুণে নিজের বয়সটা দেখিয়ে দিয়ে যাচ্ছে তাকে।।
সময়ের হিসেবের খাতায় আটকে পরতেই মুর্হুতের জন্য চোখেটা বন্ধ হয়ে আসলো।
চোখ বন্ধ করতেই , তার পেরিয়ে যাওয়া ঘড়ির কাটার সময়গুলো একে একে সামনে এসে দাড়াতে লাগলো।সেই যে আমেরিকার “ন্যাশনাল ওয়ার আ্যাকাডেমি”র তারুণের সেই দিনগুলো থেকে আজকের এই বদ্ধ ঘরে তেলআবিব শহর,এই যে সময়ের হাত ধরে এত জায়গা অতিক্রান্ত করে আজকের এই নিঃস্ব আর নিসঙ্গ সময়গুলো সবকিছুই তার জানালার কার্নিশ জমা হতে লাগলো।।
৩
বিকারগ্রস্ত সময়গুলোর রৈখিক বয়ান আনমনে নিজেই নিজেকে ফিরিস্তি দেন আজকাল।তবুও কেনো জানি তার সমস্ত আত্মগ্লানিগুলো শরীর জুড়ে নানান আকৃতিতে আবর্তিত হয়ে বেদনার নকশা একে দিয়ে যায়।
সেই যে ‘রাফল পিটারের’ সেই অদৃষ্ট মানচিত্রের স্বপ্নদ্রষ্টাদের মধ্যে নিজেকে একজন বানিয়ে নিয়ে ইতিহাসের মানচিত্রকে নতুন করে সাজাতে নিজেই একজন কারিগর হয়ে আর্বিভূত হয়েছিলেন,সভ্যতা বির্নিমাণের সেই কল্পনাবিলাসী পথে সুকৌশলী পথ পরিক্রমা পাড়ি দিয়ে সময়ের কাটা ঘুরতে ঘুরতে আজ এই বিকৃতপ্রাণ শব হয়ে দাড়িয়ে আছেন,সবই যেন পেন্ডুলাম হয়ে ঘুরতে লাগলো তার চোখের সামনে।
সভ্যতাকে নতুন করে সাজানোর সেই ঘৃণ্য আর অমানবিক ব্যবস্থাপনার ফলস্বরূপ এই বিক্ষত-বিধস্ত ক্যানভাসের তিনিও যে অন্যতম এক কারিগর হিসেবে আজকে নিজের এই বিক্ষত রূপে নিজেকে আবিষ্কার করে হতবিহ্বল হয়ে পরেন আর আজকাল পরমুর্হুতেই শুধু একটিবার নতুন করে নতুন কোন আলোর অপেরা খুজে ফেরেন, সবই যে আজ তার চোখে স্বপ্নময় লাগে।
৪
জলজ সবুজতার বুকেও নিজের চোখের সেই ধূসর প্রতিবিম্ব দেখে তাই আজ নিজেই আতঁকে উঠেন।পুরোনো খাতার সোনালী হিসেবটার মধ্যেও কেনো জানি বিভৎস রূপ নিয়ে ধরা দিচ্ছে।
সেই যে ‘ নতুন মধ্যপ্রাচ্য’কল্পের প্রথম কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ‘লেবানন প্রকল্প’,কলমের খোচায় আকা গ্রাফতি দিয়ে সভ্যতা,সমাজ আর অসহায় মানুষগুলো ভাগ্যরেখা একে দেয়ার কি বিভৎস রূপই না একে ছিলেন একদিন।’গঠনমূলক বিশৃঙ্খলা’র সভ্যতার সবচেয়ে বিষাক্ত নিশ্বাস ফেলে কালো মেঘে ঢেকে ফেলার কোন পথই যে খোলা রাখেন নি।।
‘নতুন মধ্যপ্রাচের জন্মের প্রসববেদনা’ নামে এই বিভৎসতাকে অলংঙ্কৃত করে বিশ্বমোড়লগণ তাদের বিকৃত আর কুৎসিত প্রাণসত্তাকে বিশ্ববাসী কাছে বরাবরের মতো আবারো করলেন।
৫
আরেকটি নির্ঘুম রাতের শেষে দক্ষিণ্যের জানালার ধারতায় গিয়ে আবারো দাড়ালেন। পাখিদের সুরের ব্যজ্ঞনাগুলোকেও যে ইদানীং কামান আর গোলার আওয়াজের মধ্যে করুণ আর্তনাদ শোনায় তাঁর কাছে।
তাও তিনি দিনের শুরুর এই সময়টায় এইখানটায় এসে দাড়ান। ওই যে চোখের সেই শেষবিন্দুতে শুষ্ক আর বিধস্ত সেই ‘গাজা নগরী’ আর তারই কোন ঘেসে ‘হলুদ মিনারের সেই ‘বাইতুল মুকাদ্দাস’ হতে ভেসে আসা অতিক্ষীণ সুর, ইদানীং জাভেদ হ্যালনের এই ভোর সকালেরর প্রশান্তির একমাত্র অবলম্বন।
দিনের শুরুর এই সময়টার আলোর হাতে সর্বস্ব সপে দিয়ে অন্ধকারের এই প্রস্থান দেখে বেশ পুলকিত হন তিনি।জাবেদ হ্যালন প্রায়ই ভাবেন, ইশ, কোন সকালে ঘুম থেকে ওঠে যদি দেখতে পেতেন,পৃথিবী জুড়ে সব অন্ধকার আর কলুষিত শক্তিগুলো এভাবেই সত্য আর ন্যায়ের কাছে নিজেদের সপে দিচ্ছে..ক্ষুদ্র আর সংর্কীণতাগুলো এভাবেই আধাঁরের মাঝে মিলিয়ে যাচ্ছে , তবে নিজের সর্বস্ব দিয়ে আকঁড়ে ধরতেন সেই সকালটাকে।
৬
কিন্তু না,আবেগি মনের এই সহজলভ্য শ্রুতিতে যে বিশ্বচরাচর যাপিত হয় না,তা তাঁর চেয়ে ভালো আর কেউ যে জানে না।
জীবনের সবচেয়ে বড় অংশটা যে তিনি নিজেই নতুন নকশায় পৃথিবীর ভ্রমণপথগুলোকে আকার জন্যই নিজের প্রতিটি সেকেন্ড, মিনিট,ঘন্টা,দিনগুলো যে বিনিয়োগ করেছেন,সে কথা তিনি কিভাবে ভুলে যাবেন।।
নব্য উদার বিশ্বায়নবাদী ও নব্য রক্ষণশীল এবং পরিশেষে বুশ প্রশাসন তাদের নতুন বিশ্বব্যবস্থা তৈরির প্রত্যাশায় একটি উপায় হিসেবে ‘সৃজনশীল ধ্বংসের পথ’ অনুমোদনের অংশ হিসেবে, ৯/১১ থেকে শুরু করে আ্যাংলো-আমেরিকানদের ইরাক দখল ছিল মধ্যপ্রাচের বিভাজনের জন্য উত্তপ্ত করা এবং পরিকল্পিত স্থিতির জন্য প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ সবই একের পর এক ধীরে ধীরে ছকাকারে বাস্তবায়িত হওয়ার পথে কল-কাঠি নাড়িয়ে সাফল্যের পথে নিয়ে যেতে তিনি যে তাঁর পায়ের ছাপগুলো ঘোর অন্ধকারেও খুজে পান।
৭
সময়ের নিয়ন্ত্রক স্থান হিসেবে ‘আধুনিক মধ্যপ্রাচ্যের’ যে অজানা মানচিত্রের ছবি এঁকে ছিলেন, তারই যে রক্তক্ষরণই আজ চারপাশকে প্লাবিত করছে,তা তিনি কিভাবে অস্বীকার করবেন।।
নিজেদের আপন সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত ‘মানবিক’ ও ‘উপযুক্ত’ বিন্যাস হিসেবে উপস্থাপন করে, সময়ের খাতার পরতে পরতে যে অবিচারের নতুন নতুন সব মাত্রা সৃষ্টি করে ইতিহাসে নতুন সব পাতা যুক্ত করেছেন,তাতে তাঁর অংশটা কিভাবে মুছে দেবেন।।
৮
শুধু এখানেই ক্ষান্ত হলেই সম্ভবত একটা পরিসমাপ্তি বলা যেত কিন্তু না এখানেই শেষ না।
অকার্যকর সীমানার চেয়েও ভয়ানক অনেক বেশি সমস্যা সৃষ্টি করে মারাত্মক বৈষম্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে মারাত্মক সাংস্কৃতিক অচলাবস্থা আর ধর্মীয় চরমপন্থাকে উসকে দিয়ে গেছেন।
শুধু কি তাই,সুন্নি,শিয়া ও কুর্দিদের মধ্যে জাতিগত বিবাদগুলোকে নানাভাবে উসকে দিয়ে ভলকানাইজেশন বা অস্থির করে তোলার অংশ হিসেবে ইরাকে গোপনভাবে কুর্দি দলগুলো পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশে কুর্দি দের ব্যবহার করার চেষ্টা করা হচ্ছে রাষ্টের মধ্যে বিভিজন ও অস্থিরতা সৃষ্টির দাবার ঘুঁটি হিসেবে।এই সবই যে আসলে তাদেরই ‘বৃহত্তর ইসরাইলের স্বপ্নের’ ‘ইনোন’ পরিকল্পনার অংশ।
৯
আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার জন্য কৌশলগত এই ‘ইনোন পরিকল্পনা’র অংশ হিসেবে তারা নিজেদের লক্ষ্য অর্জন করতে চার পাশের আরব দেশগুলোকে উত্তপ্ত করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও দুর্বল রাষ্টের পরিণত করার মাধ্যমে ভূরাজনৈতিক অচল পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে।
‘তিউডর হাজলের’ সেই স্বপ্নের ইসরাইলকে টিকিয়ে রাখতে হলে তাদেরই যে নানান ধরণের অস্থির আর স্থবিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে আঞ্চলিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তিতে পরিণত হয়ে পুরো পৃথিবীর অঞ্চলগত অংশগুলোকে নৃতাত্ত্বিক ও সম্প্রদায়গত পার্থক্যের ভিত্তিতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্টের পরিণত করে রাখতে হবে।
না, এখানেই শেষ নয়,বৃহত্তর ইসরাইল প্রতিষ্ঠার এই প্রকল্পে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনায় বেশ ক’টি প্রক্সি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সম্ভাব্য সকল ব্যবস্থা হাতে নিয়ে রাখা হয়েছে।।
১০
স্মৃতিরচক্রজালে পাক খেতে খেতে এই জায়গাটায় এসে থমকে দাড়ালে ‘জাভেদ হ্যালন’।পিঠ ধরে বেয়ে পরা উষ্ম ঘামের স্রোতটা তীব্রভাবে এবার আবিষ্কার করলেন। কি অসহ্য আর বিক্ষত শিহরণ সেই বেয়ে চলা ঘামের স্রোতে।।
নাহ,আর একদমই পারছেন না এই সমুদ্রসম আত্মগ্লানিগুলোকে বয়ে বেড়াতে।আরও কতদিন না জানি তাঁকে বয়ে বেড়াতে হবে এই বিগলিত পাপের বোঝাগুলো।সেই যে গাজার শহরতলীর সেই অন্ধকার রাতের বিভৎস চিৎকার আর ভয়ংকর সেই দৃশ্যগুলোর প্রচন্ডতা, সে যে কোনদিনই বিস্মৃত হওয়ার নয়।।
১১
সেই যে ডুবন্ত একটা সন্ধ্যার পর কালিমায় ঢাকা একটা রাত এসেছিল,সেই রাতই যে হাজার বছরসম হয়ে তার জীবনে অতিক্রান্ত হতেই থাকবে,সে ব্যাপারে মোটেই জানা ছিল না ‘জাভেদ হ্যালনের’!
পাশবিকতার তীব্রতা যে এত প্রখর আর বিকটতা নিয়ে তার চোখে ধরা দিবে, মনুষ্য অনুভূতিগুলো যে সব নতুন প্রয়াসে তার সামনে এসে দাড়াবে, মনের সেই পাশবিক সত্তাটা যে তার খোলস ছিড়ে এই মর্ত্যের পৃথিবীর ধূলোর স্পর্শে আবারো জেগে ওঠবে তা যে পুরোই এক অকল্পনীয় এক সৃষ্টি।
১২
পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমের ইহুদি বসতি বিস্তারে কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে সরেজমিনে উপলদ্ধি করতে একদিন নিজেই বেরিয়ে পড়েছিলেন। রাতের অন্ধকারের সরু অলি-গলি আর পথ পাড়ি দিতে দিতে কখন যে সেই বিষন্ন মানুষগুলোর করুণ মনের স্বাভাবিক দাবিগুলো পড়তে শুরু করেছিলেন, তা যে তিনি নিজেই উপলদ্ধি করতে পারেন নি।
ভাবনার সাগরে ছেদ পরে সজাগ হয়ে ওঠলেন খুব কাছেরই কোন আত্মচিৎকারে। ভাবনার মোড় ঘুরিয়ে ঘোরের আবিষ্টায় হাতড়ে হাতড়ে খুজতে লাগলেন চিৎকারের সেই উৎসস্থলটা।উৎসের লক্ষ্যস্থলে পৌছে পাশবিকতার বিভৎসতা যেন তার পঞ্চইন্দ্রিয়কে এক মুর্হুতেই বিবশ করে দিলো।কোন কিছুর বোঝার আগেই বিভৎসতা সৃষ্টিকারীকে ছিড়ে সংহার করে দিলেন।
আর সেই নীলচোখের সেই নিষ্পাপ মেয়েটা থেকে চোখ সরিয়ে উল্টো ঘুরে পথ ধরলেন।বহুকাল আগের দেখা একজোড়া চোখের অবয়ব তার চোখের মণিকোঠায় ভাসতে লাগলো,তার সেই ছোট্র বোনটির চোখজোড়া।।
১৩
ইতিহাস হয়ত জানবে না একজন ‘জাভেদ হ্যালন’ বলে কেউ ছিল,যে কিনা মনের পঙ্কলতাকে জয় করতে পেরেছিল ।
জীবনের কোন এক সময় হলেও এই ধূলির ধরণীর নির্মল বাতাসটা নিতে পেরেছিল।আকাশের মাঝে সেই ধোয়ার কুন্ডলিগুলোর মধ্যে রংধনু আকাঁর স্বপ্ন দেখেছিল।
এই মর্ত্যলোক ছাড়িয়ে যে বিশাল যেই জগতের সন্ধান ‘জাভেদ হ্যালন’খুজে পেয়েছিল, তাতেই নির্মলতার পথ করে নিতে আমৃত্যু ডুবে ছিল।
সময়-সংসার আর মানবতার কাছে ‘জাবেদ হ্যালন’ একজন পাপী।
তাই সম্ভবত তাঁর ডায়েরির শেষ লাইনটায় লেখা ছিল,
“আমি যেন সবার চোখে পাপী হয়ে থাকি”!!”
পাঠক বিনোদন: তো সবার কাছে দৃশ্যমান গল্প হলেও আমার কাছে ‘ছারপোকা’!জি,আপনি ঠিকই পড়েছেন ‘ছারপোকা’!!
একেকটা গল্প একেকটা ‘ছারপোকা’! সেই কলেজে থাকতে একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম এর ওপর..সেই যে মাথায় ঢুকলো ছারপোকাটা, আর বের হয় না।।
তো ‘ডেড লিজার্ড’ বা ‘মৃত টিকটিকি’ অথবা ‘মৃত ছারপোকা’ যাই বলেন না কেনো,আজকে আমার জন্য “পোকা মুক্তি দিবস”!!
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩২