কোন শিক্ষক যদি ধর্ষণ করে, ইভ টিজিং করে, মা-মাতৃভূমি কিম্বা মানুষের প্রগাঢ় মূল্যবোধ অর্থাৎ ধর্মে বিশ্রী ভাবে আঘাত হানে তবে তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ। সে যে ধর্মের ই হোক।
শাস্তি সবার হওয়া উচিৎ তবে শিক্ষকদের শাস্তি হওয়া উচিৎ দৃষ্টান্তমূলক।
কারণ শিক্ষকদের মানুষ গড়ার কারিগর বলা হয়। কারিগর খারাপ হলে উৎপাদিত জিনিস ও খারাপ হয়।
আলী রাঃ এর একটা ঘটনা শুনেন,
তখন তিনি আরব সাম্রাজ্যের সর্বাধিনায়ক, আমিরুল মুমিনিন।
প্রিয়নবী সাঃ এর আদর্শ হচ্ছে -বাদশাহ কখনো প্রভু নয়, তত্বাবধায়ক মাত্র।
অনাড়ম্বর বাদশাহ আলী রাঃ এর বাসা থেকে একদিন একটা ঢাল চুড়ি হয়ে গেল। চোর একজন ইহুদী।
বাদশাহ এর দুই ছেলে হাসান-হোসেন রাঃ তাকে চুড়ি করতে দেখেছে। বাচ্চাছেলে তাই কিছু বলতে বা প্রতিরোধ করতে পারেননি।
আলী রাঃ ঘরে ফিরে শুনে খুবই মর্মাহত হলেন। পরদিন কাজি'র (তখন প্রধান বিচারককে কাজী বলা হতো) দরবারে বিচার প্রার্থনা করা হল।
আদালত বসলো। আলী রাঃ কে বলা হলো সাক্ষী প্রমাণ উপস্থাপন করতে।
হাসান হোসেন রাঃ কে ঘটনার বিবরণ বলতে বললেন আলী রাঃ।
কাজি থামিয়ে দিলেন। বললেন:
"আমি দুঃখিত! প্রথম রক্তের কোন আত্মীয় কিম্বা অধীনস্থ কোন কর্মকচারীর সাক্ষী মুসলিম আদালতে গ্রহণযোগ্য হয় না, সুতরাং দয়া করে অন্য সাক্ষী/প্রমাণ উপস্থাপন করুন"
আলী রাঃ এর নিকট আর কোন প্রমাণ না থাকায় কাজী বললেন:
"আমাকে ক্ষমা করুন, বিশ্বাস করা সত্বেও আমি আপনার পক্ষে রায় দিতে পারছি না এবং ওমুক লোককে উক্ত ঢাল এর মালিক বলে ঘোষণা দেয়া হলো"
ইসলামের দুর্দান্ত প্রতাপের সেই যুগের সর্বাপেক্ষা শারীরিক শক্তিশালী বীর আর অর্ধেকটা পৃথিবীর শাসক আলী রাঃ বিচার মেনে নিয়ে মন খারাপ করে নিজ কাজে চলে যাচ্ছেন। হঠাৎ সেই ইহুদী দৌড়ে গিয়ে তাঁর পা জড়িয়ে ধরলেন।
বললেন "ইয়া আমিরুল মুমিনিন আমায় ক্ষমা করুন, আমার জীবন আপনার জন্য কোরবান হোক, আমাকে বায়াত করুন, আমাকে মুসলিম বানিয়ে দিন"
বাকি ঘটনায় যাচ্ছি না, ইসলামে ন্যায়বিচার এবং সহিষ্ণুতা কাকে বলে তা বোঝানোর জন্য সম্ভবত এট্টুক ই যথেষ্ট।
--------
এখন অন্য কিছু শুনুন,
যখন মুশরিকরা মুসলমান দের আক্রমণ করতো প্রতিবারই অসম যুদ্ধ হতো, রক্তক্ষরণ হতো (ইসলামে শত্রুকে আগ বাড়িয়ে আক্রমণ কিম্বা যুদ্ধের আহ্বান করা নিষিদ্ধ)
প্রতিবারই নবী সাঃ এর পরিপূর্ণ অনুগত্যের কারনে ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও মুসলমানরাই জয়ী হতো।
তখন আটককৃত শিক্ষিত শত্রুদের মুক্তিপণ কি হতো জানেন? নিরক্ষর সাহাবাদের শিক্ষিত করে লিখতে পড়তে শেখানো ছিল তাদের মুক্তিপণ!
বলা হয়নি কোরআন শিখতে চীন দেশে যাও।
সুদুর চীনে যেয়ে বিদ্যার্জন এর কথা বলা হয়েছে - গুরুত্ব বোঝাবার জন্য।
ইসলামে শিক্ষকদের সম্মান অনেক উপরে। সে যে ধর্ম বা জাতের ই হোক না কেন।
মসজিদে নামাজে ডাক দিলে পাঁচ জনও যাও না
আর কাউকে অন্যায়ভাবে জুলুম করতে ডাক দিলে হাজারে হাজারে দৌড়ায়ে আসো!
আজ তোমরা বিশ্বজোড়া ***** মারা খেয়ে এসে ঘরের মধ্যের সংখালঘু অত্যাচার করে ঈমানদারী ফলাও?
নিজেদের ইসলামের হেফাজতকারী মনে হয়?
প্রমান/বিচার ছাড়া খুন জবাই আর জুলুম করার অধিকার তোমাকে কে দিয়েছে?
প্রিয় নবী সাঃ এর আদর্শ ভূলুণ্ঠিত করে, ইসলামের মতো একটা শান্তির জীবনব্যবস্থাকে বিশ্ব দরবারে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে তুলে ধরছো কোন সাহসে?
তোমরা তো মুসলিম দূরের কথা সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট প্রাণী'র গু এর থেকেও জঘন্য হয়ে গেছো!!!
সময় আছে এখুনি মানুষ হউ!!!
নইলে কাল হয়তো মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে তোমার স্কুলগামী বোন এর শরীরে আগুন দেয়া হবে! আজানের সময় কেন মাথা থেকে উড়না পড়ে গেছিল এই অভিযোগে....
(কখনোই ইস্যু নিয়ে লিখি না, আমাদেরই অনাচার এর পর আবার তাতে ধর্মের দোহাই দিয়ে নির্লজ্জ জনসমর্থন দেখে দু'লাইন না লিখে পারলাম না)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১