প্রজেক্ট এর চাপ অফিসে , তারপরে যে সময়গুলো পাই, বাস্তব যোগাযোগ আর মিথস্ক্রিয়াতেই যায়। এখানে ওখানে বন্ধু-কলিগদের নিয়ে গ্যাঁজাই,
জোর করে খাওয়া আদায় করি , জোর করে খাওয়াই (অতি আশ্চর্য এর ব্যাপার হলেও সত্যি যে এখন এই ধাতব শহরে বন্ধুদের এক করে খাওয়াতেও এখন রীতিমতো হুমকি দিতে হয় !!!!)। বাসায় ফিরে আম্মার সাথে গ্যাঁজাই, ফোনে দাদা-দাদু-পিচ্চি-কাচ্চি কাজিনগুলো, ফেলে আসা নিজের শহরটির চেনা-অর্ধচেনা মানুষদের সাথে, প্রায় বিস্মৃত আত্মীয়স্বজন,ধূসর হয়ে যাওয়া বান্ধবদের হাতড়ে হাতড়ে ফোন করি। অনেকেই চরম 'তব্দা' খেয়ে যায় দীর্ঘ বছরগুলোর নিস্তব্দতা খান খান হয়ে যাওয়ায়। হয়তোবা অর্থহীন, বা অর্থদ্ব্যোতক, দুসসস -কে যায় এত বিচার করতে। ফোনের বিল আমাকে দিতে হয় না, আর মূঠোফোনযন্ত্রটির প্রতি বিরৃপতার কারণে কোন মাসেই দেয়া লিমিটটা পার হতে পারি না। এইবার পেরিয়ে যাবোই।

সা-হো-ইনের ফ্রন্টপেজটা খোলাই থাকে, মাঝে মাঝে দুয়েকটা পোষ্ট পড়ি, কমেন্ট দেই। চমৎকার সব পোষ্ট পেরিয়ে যায়,
সান্ত্বনা দেই নিজেকে, পড়ে নেবো একদিন।
গত সপ্তাহে আচমকাই এক উপলক্ষে শাহবাগের মোড়ে চার-পাঁচজন ব্লগারের সাথে দেখা হয়ে গেলো,যারা প্রত্যেকেই যথেষ্ট এর চাইতে একটু বেশী বিখ্যাত।
খুবই চমৎকৃত হলাম যে , আগে একবার দেখা হওয়াতেই আমার নিক উচ্চারণ করায় (নাম না


যাই হোক, ভার্চুয়াল এর বাইরে ব্রাত্য সুখ-দুঃখ নিয়ে বেঁচে আছি,খারাপ যেটুকু আছি, তাতো বেঁচে থাকারই উপাদান , তাই সবমিলিয়েই ভালো আছি ।

ছবিটি, অফিসের তিনতলার কার্ণিশের বারান্দার অযত্মে বেড়ে ওঠা বুনোফুল, ঘাসফুল, কার্তিকের বিকেলে এলিয়ে পড়া রোদ মেখে দোলে...