অল্প পাই নি. বেশিও না
একটি বিকেল
অর্ধেকটা সন্ধ্যা,
এক তৃতীয়াংশ শীতল ছায়ার দুপুর,
ধূলোর শহরে যতটুকু মেলে
হঠাৎ বাসের কাঁপুনিতে
মনে হল জ্বর এলো,
নগরীতে অন্ধকার ধেয়ে আসলে অম্লীয় লাগে,
বিস্বাদ হয় জিভ
জ্বরের ঘোরে যা পেলাম,
হতে পারে ভুল করে অসুখ বাঁধালাম
২
এক প্রান্তে বিদ্রোহ অন্যদিকে প্রেম
বিরহ ও ঝঞ্ঝার তরবারি -
তুমি যেন রক্তজবা, কাঁটার মৌতাত,
এক এক বিস্ময়ী উচ্ছেদ
সাধারণ কেউ -
বহুবিধ সত্তা,গুণ
ঈশ্বরের বহুগুণের মত এক শরীরে গাদাগাদি করে বসবাস করে
প্রেম জানে নির্ভরতা,
ভীতু এবং কাপুরুষের পর্যদুস্ত হয়ে যায় মন ও কামনায়
বিদ্রোহ অস্বীকার করে যাবতীয় মেঘ পুষ্পদল
বিদ্রোহের অস্থির পদতল
দলে যায় সব তৃণলতা
দুই ব-দ্বীপের মাঝ খানে মানুষ হয়ে থাকা
৩
অহংকারের জায়গায় অহংকার থাকলেই কি হবে
চাল লাগবে ডাল লাগবে
মাল মসলা লাগবে
দিনে দিনে চারপাশে হিমালয়ের সংখ্যা বেড়ে গেছে
তালগাছে উঠে ভাবতেই পারো মুই কি হনু
কল্কির দাম সস্তা, বোতলের লাল চিজও এভেইলেবল,
এখন ঘুম থেকে উঠে আয়নায় নিজেকে দানবও ভাবতে পারো
ফুলের ঝাড়ুর মত লেজ সেই পাখি ভাবছে ময়ুরিনী
বেশ, ঘড়ি কিনে ফুলবাবু হলে কার কি আসে
তবে
অহংকারের দরকার আছে,
ডু ইট
নিজের কোমরে মেরুদন্ডে রকেট ইস্পাতের জোর যদি থাকে
৪
অনেক বড় হওয়া যায় নি। একটা সাধারণ কাল সিঁটে গলি দিয়ে হাঁটি, উঠি সেই অর্বাচিন সবুজ জঙ ধরা সিঁড়িতে। জানলা খুলে একই আকাশ দেখে নেই প্রতি বার। প্রত্যেকের কিছু সেরা সময় থাকে। এমনও তারুণ্য থাকে বোতাম টিপলেই ফুল ফোঁটে। ঘাম জমলেই পরিশ্রম অহংকারী পাখির মত উড়তে থাকে চুড়ায়।
আমি একটা বারান্দায় আটপৌরে শ্রমিকের মত বসেই থাকলাম। নিজের কিছু খুচরো অর্জন তাকে উল্টেপাল্টে দেখি। অর্জিত কাগজের তাস গুনে দেখি। ভাত খেতে খেতে পত্রিকা পড়ি, ঢেকুর তুলে পাতলা লিকারে চুমুক বসাই। আমি এমন সাধারণ হবো ভাবি নি। একসময় আকাশ ছুঁয়ে দেখতে সখ হয়েছিল। বড়দের জীবনী পড়ে অনেক অনেক গুণবান হয়ে যেতে চাইতাম। যখন মানুষের দারিদ্র দেখে চোখে জল আসতো, আমি চেয়েছি একদিন তাকে বদলে দেবার রবিনহুড হয়ে যাব। তারপর হোসপাইপের মত সময় বয়ে গেছে।
দিনে দিনে অক্ষমতা উপলব্ধি করি। দাঁড়িয়ে লাফ দিয়ে ছাদকেও ছোঁয়া দু:সাধ্য। যেন সেই বড় মানুষেরা অনেক উঁচুতে। বিটোফেন হবার গুণ নিয়ে বিটোফেনরাই জন্মে, মচমচে হৃদপিন্ড নিয়ে আলেকজান্ডার হওয়া যায় না। এরই ফাঁকে একটি করে দিন নিভে যায়। যেতে যেতে আমার বোধ হয়, আমি জন্মেছিলাম সাধারণ এক শালিকের মত। মাটির পাশে রোদ পোহানো খরগোসের মত, অথবা মাটির টং ঘরে বসে থাকা পাহাড়ী দোকানীর মত। আমি এখানেই হয়তো যাবো। কয় দশমিক বেশি বা কম। যদিও এটা অধিকাংশ মানুষই করে। দিন যেতে যেতে যতদিন না থামে ভাবার ফুরসত পায়।
৫
পোশাক বদলে ফেলতেই
তুমি আরেক মানুষ
যত পোশাক তত তুমি
যত মুখোস তত তুমি
৬
আগে ঋণ শোধ তারপর লভ্যাংশ পাবার অভিলাষ।
অঙ্কশাস্ত্র চুরি করে নিজেকে পুঁজির মসৃণ খাতায় ঋণমুক্ত রাখবে,
সূর্য চন্দ্র, খাদ্য সুখ সব কিছুর আমল নামা হতে হবে।
উদায়াস্ত আমাকে পরিশ্রমের ধান দিয়েছে কৃষক। এখনও সে
সুচে কাপড়ে পোশাক দিয়েছে দরিদ্র শ্রমজীবি। ডাকাতি হল তার মজুরি। রয়ে গেল বাকি।
যে মায়েরা শিশুদের পাখির মত আগলে রাখলো,
যে পিতারা জীবন খরচ করে সন্তানের যত্ন দিয়ে গেল। তারও হিসাব নাও।
প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগে ভারসাম্য চাই। আমাদের সরবরাহ দিতে যদি ক্রীড়াঙ্গনে ভিড় না থাকে। এই দুগ্ধভাত্য শিশু খেলা বড় অমুলক।
প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগে পাঠাগার ও পেশী গড়ার একবার সুযোগ যদি মিলে যেত।
-
ড্রাফট ১.০
এখানে বসে লিখি। হঠাৎ পোস্ট দেয়ার আগে দেখি লগঅফ করে দিয়েছে ব্লগ