বহু নিচে তাকিয়ে আমি দেখেছিলাম
প্লাকার্ড গ্লোগান আর হাতে লেখা পোস্টারে নিয়ে প্রতিবাদকারী আধডজন মাত্র,
সংখ্যার হিসাবটা রামানুজনও মিলাতে পারতেন না
বহুজাতিক পানীয়ের কেসের ভিতর তারচেয়ে বেশি উত্তেজক পানীয় অবস্থান নেয়,
ভিনদেশি মানুষ গ্রামে ঢুকলেএর দশগুন মানুষ অবাক তাকিয়ে রয়,
ডুগডুগি বাজিয়ে বানর নিয়ে পথে নামলে, আর
ফুটবল পায়ে জনৈক ক্রীড়াবিদ ছুটে চলে
গাঁটের পয়সা খরচ করে তাতে যোগ দেয় ওপার মহাদেশ,
সারমেয়-কাইকে হাঁটা নর্তকীকে আনা হোক,
নেশাখোর গাইয়ে বা পেশাদার বক্তা,
মানুষের জায়গা হবে না,
দেখেছি ঢাকার সীমানার নদীতীর ভরে যায় লাখো ধার্মিকে-
বহু মানুষের অমানুষিক মরণে কেউ নেই আর,
হয়তো মৃত্যুর গল্প শুনে তারা ক্লান্ত..
তাই আধাডজন মানুষ,
তার মধ্যে একজন পৌঢ়, তরুণের দুজনকে বন্ধুরা পাগলামোর জন্য গাল দেয়,
বৈষয়িক না হবার জন্য,
সংসারী না হবার জন্য,
আধুনিক না হবার জন্য ।
উৎসবের ঢোলের আড়ালে
শপিং মল আনন্দে জ্বলছে নিভছে এমন সময়,
সীমান্তের ওপারে আগ্নেয়াস্ত্রে তখুনি গণহত্যা নামে,
হত্যাকে কোশের করা যায় না,
হালালও না -
আমি দেখছি স্থির হয়ে ফুটপাথে ছয়জন মানুষ ...
একটা ফুটপাথের পত্রিকা পড়তেও তার চেয়ে মানুষ ভীড় করে,
.......হতে পারে ওটা দূরদেশের খবর,
অস্ত্রহীন শিশুদের মরণ এত দূর আসার কথা না,
কিন্তু বৃহস্পতি নেপচুনের দুর্বল বার্তা শুনতে
আমাদের আগ্রহের কমতি ছিল না,
বহু দূর নক্ষত্রে যদি মেলে বুদ্ধিমান প্রাণী! সব শুনতে পারি,
সমুদ্রের গভীর থেকে তিমির গানও
কিন্তু
গর্ভবতী নারীদের যারা আরশোলার মত
মেরে ফেলল,
এবং ফেলছে
তাদের কি হবে?
জানি, ক্ষমতাহীন মানুষের কথা কথায় কিছু আসে যায় না!,
তবু মাত্র আধাডজন মানুষ দাঁড়িয়ে -,
দেখলাম হাতে লেখা পোস্টারে এবড়ো থেবড়ো কার্টুন,
হাজারও মানুষের হত্যার খবর
লক্ষ, কিংবা বেশি -
আমরা দুধভাত এবং পাতিকাক মানুষ,
তদুপরি কথা থাকে - জনসমুদ্রের সংখ্যা তুচ্ছ হবার নয়,
শাসককে জাগ্রত করে দিতে এই প্লাবন কার্যকরী,
মানুষের সমষ্ঠিগত ঐক্য শাসকের হৃদকম্পন বাড়ায়,
একজন গাড়িচালক,
একজন পথচারী সহ মাত্র ছয়জন,
সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে
লাভ লোকসান নে জেনেই প্রতিবাদে রুষতে হবে
এটা ভুলে গিয়ে নিরাপদে অপেক্ষমাণ থাকলে
মানুষের আর কি থাকে ত্বকের ভিতর?
-
ড্রাফট ১.০