দ্বিত্ত্ব
দর্পনে লুকাই নিজেকে, ও পাশে যে আছে ওর কাছে জিজ্ঞেস করি, কে তুমি আমি নও? ও খানে কে অদেখা আমি
ডান কে বাম করে ষড়যন্ত্র করে!
জন্মদোষ
জন্মেছি একা তাই একাকীত্ব আমাকে ছাড়ে না
আমি চাই, তবুও অপ্রার্থিব একাই রয়ে যাই
বৃষ্টি
বৃষ্টি নেমে এসে ঋণী করে দেয় আমাকে, শুকনো আমাকে অমিয় ধারায়
মাটির বাড়িতে বর্ষণের জলদূত পাঠায় শ্রাবণের রাতে;
হৃদয় সংসার আমার চলে একমুখী আয়ে. নয়ন বারি বাষ্পের পাখায় উড়ে যাক আজ
বৃষ্টি নগরীর আয়েশ শোধ করে দিতে।
দেহ ঘর
বাজে বাদ্য হৃদয়পুরে মাথার উপর রাজা
লাল পানীয় না পেয়ে সে পড়বে পথে বাধা
বায়ূরাজের কল বসেছে পিঞ্জরেরও ঘরে
উড়ে যাওয়া দম পতাকা থামবে কবে ঝড়ে
থামবে আগুন যুবক মগজ, পাঁজর ওঠা নামা
প্রেমের নথি হীরক মতি হবে পাথর ঝামা
চলন দেশে কলম কালি, চোখের শত চিঠি
থেমে গিয়ে মধ্যে পথে হঠাৎ হবে স্মৃতি
আড্ডা
চায়ের কাপগুলো হা করে বসে ছিল, উপর থেকে রং ঝরলো? দুধ মিশলো? প্রতিটা পেয়ালা তার নাগরের তৃষ্ণার্ত চুমুর জন্য অধীর হল। .......আড্ডা বাড়ে। বিস্কিটের নৌকা নামে দুধেল জলে। গল্প হচ্ছে শব্দ হচ্ছে ঝরণার মত, খিল খিল হাসি হচ্ছে, গম্ভীর বিষয় আসতেই সামলে যাচ্ছে সবাই?
এটা আগেই বলেছি কোথাও
প্যাথেডিন দিয়ে রাখা হয়েছিল তাকে। মাথার উপর স্যালাইনের ব্যাগ। মুদিত আঁখিপল্লবে কৃষ্ণমণির শিথিল নড়া চড়া। স্বচ্ছ নালী দিয়ে নোনা জলের সমস্ত ভার প্রবাহিত। নার্স এল রাত তিনটায়। সাদা পোশাকে এসে দেখে গেল হৃদস্পন্দন ঠিক আছে। ফুস ফুস ফিরেছে। নোনাজল প্রবাহের মাত্রা ঠিক আছে শুধু কখনো ঘোরের ভিতর হাত স্যালাইনের সূঁচ খুলে ফেলতে চাইছিল।
খুব নিচু স্বরে স্বামী জানতে চেয়েছিল কখন চেতনায় ফিরবে তার রোগিনীর। মর্নিঙের আগে বোঝা যাবে না বলেই সেবাদাত্রী শাটল ট্রেনের মত ছুটে গেছে অন্য শয়নে। সময় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়।
বিপদমুক্ত সে এইটুকু জেনেই প্রশান্তি, আবার সকালের আপেক্ষা করতে করতে কাচাপাকা মানুষটি ঘুমিয়ে পড়েছে। চশমার ভিতর লুকানো চোখে নেমছে প্রশান্তি। সে দেখছে একটা বহু আগের এক মরণ যুদ্ধ। করোটির ঘোড়ার পিছনে দিগন্তে নীল ট্রয় নগরীর দেয়াল।
চা, বেড়াল এবং কৃষ্ণনগর শেড
আন্ত:নগর হৃদয়, উষ্ণতা পেতে পেতে বেড়ালেরা জমায়েত রোদ্রময় পর্বতের গুহায়,
ছুঁয়ে দাও ঠোটের পুতুল, চুলের ডগায় আমিষের ডাল ফেটে যাবে দুটি কুঁড়ি একটি
পাতায়; চা খাবে?
কৃষ্ণনগরের শেডের নিচে দু পাশে বৃষ্টি, মাঝ খানে তুমি কুঁকড়ে দুটো হাত
মাথা নুয়ে আমার থুতনির একচালা দোকানে,
চা খাবে, খাস্তা লুচি; দাঁত কামড়ে পেঁয়াজু!
আসন পেতে থাকি ধ্যানমগ্ন থাকি, দেখতে পাও শরতের দিন আসছে; কাশের বাসনে
ঘুড়ি গোত্তা খায়। অতিরিক্ত আসনে পা ছড়িয়ে বসে থাকা লোকের মত পরিতৃপ্ত হয়ে যাচ্ছি অরিন্দম সুখে
পথের মানুষের উক্তি..মমতাজ কয়
জনাব শাহু ..পরজন্মে আরেকবার চান্স পাই যদি
পীরিতি শো করনের লাইগা আপনে যেমনে আমার নিয়া তাজমহল বানাইয়াসেন
যদি খালি একবার আমার আগে ইন্তেকাল ফর্মান
যমুনা নদীর সাইডে
ডেভলপার দিয়া দশতালা মহল বানাইয়া এর শোধ লমু
--
ড্রাফট ১.০ / এটা আগেই...পুরনো