পর্ব ১. Click This Link
পর্ব ২ঃ Click This Link
পর্ব ৩ ঃ Click This Link
পর্ব ৪ঃ Click This Link
পর্ব ৫ঃ Click This Link
৬.
আরেকদিন আরেকটা পরীক্ষা দিয়ে খুশি মনে ফিরেছি হলে। শিখীদির খাটে আমার চেয়েও ৭/৮ বছর সিনিয়র এক আপু বসা। শিখীদি জানতে চাইল, ‘’কেমন দিলে পরীক্ষা? ভাল? ওও তোমার সাথে পরীক্ষা দিয়েছে। খুব ভাল পরীক্ষা দিয়েছে।‘’
আমি অবাক হই আপুটাকে দেখে। এত্ত বড় মেয়ে আমাদের সাথে ইন্টার পাস করেছে!!! মেয়েটিও আমাকে জিজ্ঞেস করে –‘’কেমন হয়েছে পরীক্ষা?’’
--ভাল। আপ-তু-তুম-তুমি আমাদের সাথে পরীক্ষা দিয়েছ? (আমার কণ্ঠেই ঝরে পড়ে অবিশ্বাস)
--হ্যাঁ। (ভাল মানুষের মত মুখ করে বলে মেয়েটি)
আমি প্রায় বিশ্বাস করে ফেলেছিলাম তার কথা, এমন সময় হাহা করে হেসে উঠে মেয়েটি। শিখীদিদের বলে, ‘’তোরা ওকে যত বোকা ভাবিস আসলে ও তত বোকা না। আমার মত ধামড়ি মেয়ে যে ওর সাথে পরীক্ষা দেয়নি, সেটা ঠিকই বুঝেছে।‘’
কী? আমাকে বোকা বলল? মনে মনে কষ্ট পাই আমি। বোকাদের বোকা বলবে না তো কী বলবে? যে আপুর কথা বললাম, তিনি রাখিদি। সেইদিনই হল ছেড়ে বলে যাচ্ছেন। জিনিষপত্র গুছাচ্ছেন। আমার মন খারাপ লাগে। ইশ! আপু আজ চলে যাচ্ছে! আপুর জিনিষপত্রের মধ্যে বিরাট এক ফুলদানির মত মাটির ব্যাংক। মেয়েরা বলতে লাগল, ‘’আপু, কত পয়সা জমিয়েছেন? আজ এটা আমরা ভেঙ্গে ফেলব।‘’
রাখিদি হাঁহাঁ করে উঠেন, ‘’ভাঙ্গিস না, ভাংগিস না। আমাকে এটা অমুক বান্ধবী জন্মদিনে গিফট দিয়েছে। বলেছে এর ভেতরে আমার আর ওর জন্য একটা চিঠি আছে। বাসর রাতে ব্যাংক ভেঙ্গে পড়তে বলেছে। চিঠি না ছাই! আমার বাসর রাত মাটি করার ফন্দি সব, বুঝলি?’’
আমরা মেয়েরা হিহি করে সব হেসে উঠি। এরপরে উঠে রাখিদির প্রেমিকের গল্প। এসব কথার এক ফাঁকে আমি আপু জিজ্ঞেস করি, ‘’আজ চলে যাবেন, কেমন লাগছে?’’ রাখিদি একটু চুপ হয়ে যান। ‘’খুব খারাপ লাগছে। তুমি তো এসেছো দুদিনের জন্য। তুমি বুঝবে না।‘’