বাংলাদেশ থেকে প্রতিবতছর ২০ থেকে ৩০ হাজার ছাত্র ছাত্রী উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রবাশে পাড়ি জমায়। এদের বেশিরভাগই মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা অথবা কানাডায় নিজের সুনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতেও দ্বিধাবোধ করেনা।
কিন্তু প্রশ্ন হলও আসলেই কি বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য এত টাকা লাগে? যদি লাগে তাহলে তা কত? এবং কি কি বিষয় নির্ধারণ করে দেয় যে সত্যি কার অর্থে কত টাকার প্রয়োজন?কারন প্রায়শই শোনা যায় যে আমার খালাত ভাই তো গত সপ্তাহে ইংল্যান্ড গেল ওর প্রায় সাত লক্ষ টাকা লাগলো। অথবা আমার বড় ভাই আমিরকা যেতে চায় ও যাদের মাধ্যমে যাবে তারা দশ লক্ষ টাকার কন্টাক্ট করেছে।
প্রকৃত অর্থে যারা বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রথমেই আপনার কাছে সাত, আট অথবা দশ লক্ষ টাকার কথা বলবে বা কন্টাক্ট করবে, তাদের সম্পর্কে আরও ভাল করে খোঁজ নিন এবং জানুন যে তারা কতটা বিশ্বাসযোগ্য। প্রক্রিতপক্ষে উচ্চ শিক্ষা বা অভিবাশনের জন্য যে বিষয়টি সবচে জরুরি তা হলও আপনার যোগ্যতা। বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যে কয়েকটা বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন তা হলও
১. আপনার/ আপনার পরিবারের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা।
২. আপনার শিক্ষা জীবনের অর্জনসমূহ।
৩.আপনি যে ইউনিভার্সিটি/কলেজ এ ভর্তি হতে চান তাদের ভর্তির যোগ্যতাসমূহ।
৪.আপনি যে দেশে যেতে আগ্রহী সে দেশের ভিসে সংক্রান্ত নীতিমালা সমূহ।
উচ্চ শিক্ষার জন্য আপনি যে দেশে যেতে চান প্রথমে সেই দেশের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি ও কলেজ গুলর ওয়েবসাইট দেখুন।যেমন Click This Link অথবা Click This Link এরকম অনেক ইউনিভার্সিটি ও কলেজ তাদের ভর্তি ফি ও একবতছরের মোট পরাশনার খরচ তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করে দেয়, সেখানথেকে আপনি নিজেই পরিস্কার ধারনা পেতে পারেন যে, আপনার স্বপ্নের দেশে যেতে আপনার কত খরচ হতে পারে। এর পর উক্ত খরচের সাথে প্লেন ভাড়া ও মাসিক খরচ অনুমান করাটা সহজ।
IELTS একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেকোনো ভাল ইউনিভার্সিটি ও কলেজেই ভর্তির জন্য IELTS এর প্রয়োজন। IELTS ছাড়া তাহলে কি ভিসা পাওা যায়না? উত্তর হল IELTS এর সাথে ভিসার কোন সম্পর্ক নেই। ভাল IELTS স্কোর মানে ভাল ও নামকরা ইউনিভার্সিটি ও কলেজে ভর্তির সুযোগ আর সাধারনত নামকরা ইউনিভার্সিটি ও কলেজে ভর্তি হলে ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনাটা অনেক বেশি হয়ে যায়। IELTS ছাড়াও অনেক ইউনিভার্সিটি ও কলেজেই ভর্তি হওয়া যায় সেক্ষেত্রে ওইসব ইউনিভার্সিটি ও কলেজগুলো Language Course অফার করে থাকে।যা একই সঙ্গে অত্তন্ত কঠিন, সময়সাপেক্ষ ও বায়বহুল।কারন ওইসব Language Course শেষ করতে মোটামুটি এক সেমিস্টার সময় লেগে যায় আর যে দেশেই Language Course করা হোকনা কেন তার খরচ বাংলাদেশ এর সাথে তুলনা করলে প্রায় তিন থেকে চারগুন বেশি পড়ে যায়।
সুতরাং বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য যারা আগ্রহী তাদের উচিত প্রথমে ভাল ভাবে খোঁজ নেওয়া যে আপনি যদি কোন স্টুডেন্ট ভিসায় সহায়তাকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রবাশে যেতে চান তারা এইসকল বিশয়াদি কততুকু জানে এবং আপনাকে কতটুক বলছে। শুধু টাকা থাকলেই বিদেশ যাওয়া জায়না।বিস্তারিত জানতে ফোন করতে পারেন ০১৭৮৯০০০০১৮ অথবা দেখতে পারেন http://www.csis.com.bd আমরা আপনার সহায়তায় আছি।