মোঃ মশিউর রহমান
গ্রামাঞ্চলের মেলাকে আড়ং বলা হয়। শব্দটি আধুনিক জন সমাজে প্রচলিত নয়। তবে নবদ্বীপের শাক্তরাস (হিন্দুদের) উৎসবে এটি পরিচিত নাম। কার্তিকী পূর্ণিমার দিন রাসকালী পূজার পর তার পরের দিন প্রতিপদে শোভাযাত্রার মাধ্যমে দেবী মূর্তি নিয়ে যাওয়া হয়। এই শোভাযাত্রা উপলক্ষ্যে মেলা বসে। একে আড়ং বলা হয়।
তথ্য সুত্রঃ ইউকিপেডিয়া
আড়ং বাংলাদেশের একটি হস্ত ও কারুশিল্প ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। ব্র্যাকের পরিচালক ফজলে হাসান আবেদ ১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর আড়ং প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের ৮টি শহরে আড়ং-এর মোট ২১টি শাখা রয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানের ধরন হচ্ছে এটি একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান।পোষাক, গহনা, গৃহস্থালী ও আনুষঙ্গিক উপকরণ, নকশা, নারী উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এগুলো হচ্ছে তাদের শিল্প।
তাদের পন্যসমুহ হচ্ছেঃ পোশাক,গহনা,কাপড়, হস্তশিল্প,চামড়া,শিল্পো,জুতা,গৃহস্থালী সামগ্রী।
আড়ং এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আরো সাথে ছিলেন মার্থা চেন।চলুন এবার জানা যাক মার্থা চেন এর পরিচয়।
মার্থা চেন জন্ম গ্রহন করেন ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৪ সনে,তিনি একজন আমেরিকান একাডেমিক পণ্ডিত এবং সমাজকর্মী, যা বর্তমানে হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের পাবলিক পলিসিতে প্রভাষক এবং বিশ্ব গবেষণা-নীতির সিনিয়র উপদেষ্টা অ্যাকশন নেটওয়ার্ক উইজিওও (ইনফরমাল এমপ্লয়মেন্ট উইমেনলাইজিং অ্যান্ড অর্গানাইজিং উইমেন) এবং জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয় ওয়ার্ল্ড ইনস্টিটিউট ফর ডেভলপমেন্ট ইকোনমিক্স রিসার্চ (ইউএনইউ-ওয়াইডার) এর উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য। মার্থা একজন উন্নয়ন অনুশীলনকারী এবং পণ্ডিত যিনি ভারত, দক্ষিণ এশিয়া এবং সারা বিশ্বের শ্রমজীবী দরিদ্রদের সাথে কাজ করেছেন। তার বিশেষায়নের ক্ষেত্রগুলি হ'ল কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচন, অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি এবং লিঙ্গ। তিনি বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারী সংস্থাগুলির মধ্যে একটি ব্র্যাকের সাথে বাংলাদেশে এবং ১৫ বছর ধরে ভারত ও বাংলাদেশের জন্য অক্সফাম আমেরিকার মাঠের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করেছিলেন।
এবার আসুন ঘুরে আসি ২০১৮ ও ২০১৯ থেকে,
২০১৯ সালের জুন মাসের ৩ তারিখে নির্ধারিত দামের দ্বিগুণ দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে আড়ংয়ের উত্তরা শাখাকে চার লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এবং শাখাটি একদিনের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।এর আগেও ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বনানীর ব্লক-জির দুই নম্বর রোডের হোল্ডিং নং-১১ এর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার কমন স্পেস (আবশ্যিক উন্মুক্ত স্থান) শো-রুমের কাজে ব্যবহার করায় পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠান ‘আড়ং’কে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।জরিমানা করার ২৪ ঘণ্টার মাঝেই সেই ম্যাজিস্ট্রেটকে বদলি করা হয়।
ব্র্যাক যেখানে উন্নয়নের দোহাই দিয়ে সারাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেখানে তাদেরই প্রতিষ্ঠিত আড়ং নির্ধারিত দামের দিগুণ মুল্যে পন্য বিক্রি করে জনগণের অর্থ দখল করছে।এভাবেই আড়ং
২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০১২ অর্থবছর) আয় করে থাকে প্রতি বছর।
যে কারণগুলের জন্যে আড়ংকে বয়কট করবেনঃ
সাম্প্রতিক ভাইরাল হওয়া ইমরান হুসাইন ইমন নামক এক মুসলিম যুবকের মুখে দাড়ি থাকার কারণে আড়ং এর চাকরীর ইন্টারভিউ এর সময় তাকে রিজেক্ট করে দেওয়া হয়।যোগ্যতা থাকা সত্বেও মুখে প্রিয়নবী সাঃ এর সুন্নাত থাকার কারণে তাকে চাকরী দেওয়া হয়নি। যেখানে চাকরি করতে গেলে নবীজীর সুন্নাত রাখা তাদের রুলস এর বাহিরে, সেই আড়ংকে বয়কট করা আমাদের শরিয়তের রুলস অনুযায়ী আবশ্যক।
ভিডিও লিংকঃ Click This Link
এছাড়াও ২০২০ সালের আগস্ট মাসে আরেকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো,সেটি হলো একজন মুসলিম বোনকে হিজাব পরিধান করে থাকার কারণে আড়ং এর একটি শোরুমে তাকে ডুকতে দেওয়া হয়নি।যেই আড়ং এ হিজাব নিয়ে প্রবেশ করা যাবেনা সেই আড়ংকে একজন মুসলিম হিসেবে আপনাকে বয়কট করতেই হবে।
ভিডিও লিংকঃ Click This Link
আমার শেষ কথা হচ্ছে এটাই যে,
যেই আড়ং একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান, যেই আড়ং এর প্রতিষ্ঠাতার তালিকায় রয়েছে খ্রিস্টান ধর্মের মার্থা চেন,যেই আড়ং নির্ধারিত দামের দিগুণ দিয়ে পন্য বিক্রি করে,যেই আড়ংয়ে চাকরী করতে গেলে দাড়ি রাখা যাবেনা,যেই আড়ংয়ে ডুকতে গেলে হিজাব খুলে ডুকতে হবে,সেই আড়ংয়ের উদ্দেশ্য একটাই,এদেশের দীনদার মুসলমানদের পথভ্রষ্ট করা। এমন আড়ংকে আমি লাথি মারি।
#বয়কট-আড়ং
#Boycott_Aarong
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:২০