শহরে নেমেই একটা চান্দের গাড়ী ঠিক করে সোজা থানচি রওনা দিলাম। থানচি পৌছে আর দেরী করি নাই, সোজা হাটা দিলাম বোডিং হ্যেডম্যান পারার দিকে। মাথার উপর তখন চান্দি ফাটানো রোদ। কিছুক্ষনের মধ্যেই হাঁফাতে লাগলাম। আমাদের করুন অবস্থা দেখে আল্লাহর বুঝি একটু দয়া হইল। শুরু হইল তুমুল বৃষ্টি, মূহুর্তেই সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেল। কিন্তু বৃষ্টিত মধ্যে হাটা বেশ কষ্টকর হয়ে গেল। পাহাড়ী রাস্তা কাদায় মাখামাখি। আছাড় খেতে খেতে এগুতে লাগলাম। পথে এমন সুন্দর সুন্দর ঝিরি পরল যার পাশে একটু বসলে আর উঠতেই ইচ্ছা করে না।
সন্ধ্যার একটু আগেই আমরা পাহাড় চূড়া থেকে বোডিং পারা দেখি। অপূর্ব সুন্দর এক পারা। পারার পাশ দিয়ে সুন্দর এক ঝিড়ি বয়ে যাচ্ছে। ঝিরিতে ছোট বড় বোল্ডার। আমার দেখা অসাধারন এক পারা.....।
ঝিরি
সকাল বেলা ঝিড়ি দেখতে পেলাম এক ইন্ডিয়ান ক্রেইট। ফটো ক্রেডিট- মাইনুল ভাই
বিষাক্ত ইন্ডিয়ান ক্রেইট
দূরের পাহাড়
ঝিড়ি ২
কারবারীর ঘরে থাকার খাওয়ার ব্যবস্থা করে আমরা গেলাম ঝিড়িতে গোসল করতে। ইতোমধ্যে পাহাড়ে অন্ধকার হয়ে গেছে। টর্চ জ্বলে সবাই গোসল করে নিলাম ঝিড়ির হিম ঠান্ডা পানিতে। পায়ের কাদা ধুতে যেই না আমি স্যান্ডাল টা পা থেকে খুললাম, উঠার আগেই পানির স্রোতে আমার এক মাত্র স্যান্ডাল টা ভেসে গেল।
পেঁপে দিয়ে ভেজিটেবল খিচুড়ি খেয়ে সবাই কম্বলের নীচে চলে গেলাম। পরেরদিন ভোর থেকে শুরু হবে হাঁটা....বাকলাই এর উদ্দেশ্যে
[চলবে]