somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয় ! এতোগুলো জীবন নিয়ে খেলবেন না। এতগুলো কণ্ঠের আকুতি শুনেও বধির হয়ে থাকবেন না।

১৪ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কালরাতে ইন্ডিপেনডেন্ট চ্যানেলে রাত বারোটার আজকের বাংলাদেশ অনুষ্ঠানটি দেখছিলাম। কথা হচ্ছিল মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রসঙ্গে। অথিতি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়, বিএমএ সভাপতি, ডাঃ আব্দুন নূর তুষার এবং আরেকজন সাংবাদিক। ওনাদের কথাবার্তায় যা বুঝলাম তা হল বোঝার মত এখানে কিছু নেই আসলে কারন ওনারা নিজেরাই এখনো ঠিকমতো বুঝেছেন বলে মনে হল না।
যখন জানতে চাওয়া হল যে জিপিএ ৫ পাওয়া দশ হাজারের উপর স্টুডেন্টের মাঝ থেকে কিভাবে তিন হাজার আলাদা করা হবে তাঁরা কেউই যুতসই কোন জবাব দিতে পারেন নি। লাগাতার এলোমেলো কথা বলে গেছেন। প্রথমে বললেন চতুর্থ বিষয় বাদ দিয়ে যারা ভাল করবে তাদের নেয়া হবে। তারপরও যদি অনেক প্রার্থী থেকে যায় তবে যারা পদার্থ, রসায়নের চেয়ে জীববিজ্ঞানে ভাল করবে তারা অগ্রাধিকার পাবে, ইংরেজিতেও ভাল করতে হবে ... প্যাঁক প্যাঁক প্যাঁক ... দু একবার কোটা প্রসঙ্গেও বলা হল।
যেভাবে তারা ফাইনালি ক্যান্ডিডেট বাছাই করবে বলে বলছেন তেমন লেজে গোবরে অবস্থার উপর কোন ভাবেই আস্থা রাখা যাচ্ছে না। মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার মত স্বচ্ছ ব্যাপার এটি মোটেও নয়।

এই সিদ্ধান্তটি কেন নেয়া হল সে প্রসঙ্গে তাঁদের আলোচনায় যে প্রসঙ্গ গুলো উঠে আসল সেগুলো হলঃ

১। কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করা।

** শুধু কি মেডিক্যালে ভর্তির জন্য কোচিং সেন্টার চালু আছে? বুয়েট, ভার্সিটির জন্য নেই?
** কোচিং সেন্টারের লাইসেন্স বাতিল করতে পারেন না অথচ এতোগুলো জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়ে এতো বছর ধরে চলে আসা নির্ভরশীল একটা সিস্টেম হুট করে তুলে দিলেন?

২। ভর্তি পরীক্ষা ফাঁস হওয়া বন্ধ করার লক্ষ্যে।

** মাথা ব্যথা উঠল আর অমনি সেটা কেটে বাদ দিতে হবে? যারা এসব করে এসেছে অতীতে তাদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে পারেননি এই ব্যার্থতা কাদের? আপনাদের। আর সেই দায়ভার কিনা কিছু সম্ভাবনাময় শিক্ষার্থীর উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন? আপনাদের ব্যার্থতার প্রায়শ্চিত্ত তারা কেন করবে? এখন থেকে যে ভার্সিটি, বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হবে না সেই নিশ্চয়তা কে দিবে?

৩। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার গুরুত্ব আরও বৃদ্ধির জন্য।

** যতোই চেষ্টা করা হোক না কেন ময়ূরের পুচ্ছ কাকের পেছনে লাগালেই সেটা ময়ূর হয়ে যায় না। তেমনি গাধা দিয়েও হাল চাষ করা যায় না। আমাদের দেশে বোর্ড পরীক্ষায় অসংখ্য অসঙ্গতি রয়ে গেছে যেগুলো নিয়ে বলতে গেলে শেষ হবে না। এখনো পর্যন্ত আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা সেই মানে পৌঁছায়নি যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এই পরীক্ষা দুটির উপর আস্থা রেখেই নিশ্চিন্তে দেশের সেরা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।



*** এই নতুন পদ্ধতিতে যে সকল সমস্যা বা অসঙ্গতি রয়েছে বলে মনে করি-

১। প্রথমত এর স্বচ্ছতার অভাব। সবারই জানা আছে আমাদের হল চোর স্বভাব। সামান্য সুযোগ পেলেই আমরা চুরি করি। তাই স্বচ্ছতা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ মেডিক্যালের মত একটা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ব্যাপারে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক মিলিয়ে এবারে জিপিএ পাঁচের সংখ্যা সর্বমোট প্রায় ৭০ হাজার, এর মাঝে প্রায় ১০ হাজার ডাবল গোল্ডেন! এই অসংখ্য জিপিএ পাঁচের ভিতর থেকে মাত্র হাজার তিনেক আসনের জন্য কিভাবে শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে?
মনে করলাম অপশনাল(চতুর্থ) বিষয়টা বাদ দিয়ে যে ভাল করবে তাকে প্রাধান্য দেয়া হবে। তাহলে কারো যদি বায়োলজি তথা জীববিজ্ঞানই থাকে চতুর্থ বিষয় এবং সেটাতে সে খুব ভাল নাম্বারধারী হয় তাকে তো অবহেলা করা হল। আবার আরেকজন গণিতে খুব ভাল বায়োলজিতে খুব দুর্বল সে ভর্তি হয়ে গেল ডাক্তারি পড়তে। এটাতো কাম্য না।

ঠিক আছে চতুর্থ বিষয় বাদ দিয়ে না হয় সংখ্যাটা কমিয়ে আনা গেল ত্রিশ হাজারের মত। এবারে এখান থেকে কিভাবে বাকি প্রায় সাইত্রিশ হাজার শিক্ষার্থীকে বাদ দেয়া হবে? উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির মত বয়স নিয়ে টানা হেঁচড়া শুরু করা হবে নাতো আবার? কি অদ্ভুত নিয়ম দেখেন একজনের বয়স ১৯ বছর আরেক জনের ১৮ , দুজনের একই রেজাল্ট কিন্তু চান্স দেয়া হবে বড় জনকে! অর্থাৎ যে ছেলে বা মেয়েটা বয়সে ছোট হয়েও তার চেয়ে সিনিয়র একজনের সাথে প্রতিযোগিতা করে সমমানের রেজাল্ট করল তাকে এখানে ঠকানো হল।
বয়সের পর আসুন কোটা পদ্ধতিতে। কেউ কি বলতে পারবেন এই পদ্ধতি কিভাবে কাজ করে? কোন জেলা থেকে কাকে সিলেক্ট করা হচ্ছে এটা কে ঠিক করছে? এর কি কোন স্বচ্ছতা আছে? নেই। আর তার মানেই এখানে সুযোগ থেকে যায় টেবিলের নীচের কর্মকাণ্ডের।
সরকার কেবল বলেছে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে না কিন্তু ঠিক কোন কোন নীতিমালার উপর ভিত্তি করে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মাঝ থেকে তিন হাজারের মত আসনের জন্যে ক্যান্ডিডেট বাছাই করা হবে সেটা তারা প্রকাশ করছে না। তাহলে কিভাবে নিশ্চিত হব যে এখানে লক্ষ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে না সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে?

২। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই যে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল একটি সঠিক সিদ্ধান্ত তবুও কথা থেকে যাচ্ছে। সিদ্ধান্তটা ভর্তি পরীক্ষার মাস খানেক আগে কেন নেয়া হল হুট করে? প্রথমেই কেন নেয়া হল না? এতদিনে যে সব শিক্ষার্থী ত্রিশ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা খরচ করে কোচিং করে ফেলেছে তাদের কি হবে? অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা প্রাইভেট টিউশানি করে এই টাকা যোগাড় করেছে, তাদের এই সময় আর পরিশ্রমের মূল্য কে দেবে?
অনেক শিক্ষার্থী গত বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ নামী অনেক প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েও ভর্তি হয়নি কেবল মাত্র ডাক্তার হবার স্বপ্ন লালন করে আসছে বলে। জীবন থেকে একটি মূল্যবান বছর তারা ত্যাগ করে অমানুষিক পরিশ্রম করে আসছিল এবারের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় ভাল কিছু করার আশায়, তাদের কি হবে? তারা তো এখন চাইলে আর গত বছরে সুযোগ পাওয়া কোন ভার্সিটিতেও ভর্তি হতে পারবে না। নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে টিকতে হবে। এই জীবনগুলোর দায়িত্ব কে নিবে?

৩। যারা কোচিং করাতে জানে তারা বসে থাকবে না। তারা এখন HSC এর জন্য কোচিং খুলে বসবে। স্কুল কলেজে যে সব শিক্ষকদের হাতে প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার নাম্বার থাকবে তাদের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের লম্বা লাইন লেগে যাবে প্রাইভেট পড়ার জন্য। অনেক শিক্ষক এই নিয়ে ব্যাবসা শুরু করবেন। এসবের কি হবে?

৪। ভর্তি পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাবার কারনে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার নাম্বারই এখন সব। কিন্তু দেশের সব জায়গায় একই প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয় না। কোন বোর্ডে অপেক্ষাকৃত সহজ কোনটাতে কঠিন। উত্তরপত্র যাচাইয়ের বেলায় থাকে তারতম্য। শিক্ষকের মন মর্জির উপর অনেক সময় একটা ছাত্রের ভাগ্য নির্ভর করে। বেখেয়ালে একটা ছাত্রকে পাঁচ নাম্বার কম দেয়া হলে আগের নিয়মে হয়তো সেটা ভয়াবহ ক্ষতির কারন হতনা কারন ভর্তি পরীক্ষাগুলিতে সেসব পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ পেত কিন্তু এখন? এখন এই সামান্য গাফিলতিই হয়তো একটা মূল্যবান জীবনের উত্থান পতন নির্ধারন করে দেবে।

৫। প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার দুই-চার নাম্বারও এখন আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। আমি জোর গলায় বলতে পারি আমাদের দেশে অতি স্বল্প সংখ্যক স্কুল কলেজ ব্যতীত বাকি সবগুলোতেই ব্যাবহারিক ক্লাস ঠিকমতো নেয়া হয় না। এমনকি ক্লাসরুমে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিও নেই। কিন্তু বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই দেখা যায় পরীক্ষার সময় এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ২৫ এর মাঝে ২৫ নাম্বার পেয়ে যায়। অথচ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টানা দু'বছর গাধার খাটুনি খেটে ব্যবহারিক ক্লাস করে, খাতা তৈরি করে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় পূর্ণ নাম্বারটা পায় না।
এখানে একটু নিজের কথা বলতে চাই- আমি এমন একটি কলেজে পড়েছিলাম যেখানে জীববিজ্ঞান ব্যবহারিক ক্লাসের শেষে সেখানে বসেই ছবিটি আঁকা শেষ করে সই-সিল নিয়ে যেতে হত। এভাবে পুরো দুবছর শেষে প্রতিটি ক্লাসে শেষ করা একেকটি ছবি ও লেখা একসাথে করে আমাদের খাতা প্রস্তুত হত ফাইনাল পরীক্ষার জন্য। পদার্থ আর রসায়নের কথা মনে করলে চোখে প্রায় পানি চলে আসার মত অবস্থা হয়। অথচ বেশীরভাগ প্রতিষ্ঠানেই বছর শেষে পরীক্ষার আগে আগে একটা খাতা অন্য যে কাউকে দিয়ে আঁকিয়ে ও লিখিয়ে জমা দিলেই কেল্লা ফতে। পরীক্ষার দিন কেউ সেটা খুলেও দেখেনা । নতুন নিয়মে যে ছেলেটা সারা বছর পরিশ্রম করল তারই প্রতারিত হবার সম্ভাবনা বেশি। সেটা না হলেও তার শ্রমকে অবশ্যই অবমূল্যায়ন করা হল।

৬। বোর্ড পরীক্ষায় ভাল করতে হলে ভাল মেধাবী হতে হবেই এমন কোন কথা অন্তত আমাদের দেশে নেই। মনে করুন একটা গণিত বইয়ের ৬ নং অনুচ্ছেদে তিনটি অনুশীলনী আছে যেমন ৬.১, ৬.২, ৬.৩ বোর্ড পরীক্ষায় নিয়ম হল ৬.১ থেকে একটি প্রশ্ন থাকবে এবং ৬.২, ৬.৩ থেকে থাকবে একটি। এদের ভিতর যে কোন একটির উত্তর দিতে হবে। কোন ছাত্র যদি ৬.১ খুব ভাল করে আত্মস্থ করে তবে তার অন্য দুটি না করলেও চলবে। রেজাল্ট কিন্তু তার ভালই হবে অথচ ভিতরে অনেক খামতি রয়ে গেল। একইভাবে বেছে বেছে সাজেশনমত পড়েও অনেকে সর্বোচ্চ রেজাল্ট জিপিএ ৫ পেয়ে যাচ্ছে। অথচ একটা মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীকে পাঠ্যবইয়ের প্রতিটা লাইন খুঁটিয়ে পড়তে হত। এই ভাবে পরীক্ষার ভিতর দিয়ে যাদেরকে বাছাই করা হয়ে থাকে তাদের 'বেসিক' অনেক বেশি পরিপক্ক থাকে। যা কিনা তাদের পরবর্তী উচ্চশিক্ষাকে অনেকাংশে সহজ করে দেয়। সরকার এই নিয়ম করে প্রকৃত অর্থে যারা যোগ্য তাদেরকেই হারিয়ে ফেলার সম্ভাবনা তৈরি করে দিল।

এভাবে যদি বলতে থাকি তবে অনেক বলা যাবে, কথা ফুরোবে না। আমি বলতে চাই যারা এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য খাত চালাচ্ছেন তাদের পেশাগত জীবনে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার হয়তো ঘাটতি নেই কিন্তু স্বাস্থ্য প্রশাসন চালানোর মত যোগ্যতার সুনিশ্চিত ঘাটতি আছে। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রীমহোদয় ব্যাক্তিগত জীবনে খুব খ্যাতিমান একজন ডাক্তার(অর্থোপেডিশিয়ান) হলেও ভাল মানের একজন মন্ত্রী তথা রাজনীতিবিদ হতে পারেননি। তিনি কেবল তাঁর নেত্রীর প্রিয়পাত্র হবার চেষ্টায় লিপ্ত আছেন সর্বদা। আর আমাদের চিকিৎসক নেতাদের যোগ্যতা নিয়ে কিছু বলার রুচি নেই। লবিং আর তেলবাজি করে উঁচু পদে আরোহণ করে তা হয়তো ধরে রাখা যায় কিন্তু তাতে দেশের বা মানুষের ভাগ্যের কোন সুপরিবর্তন করা যায়না।

একটা কথা আমি খুব বিশ্বাস করি- রাজনীতি রাজনীতিবিদের হাতেই থাকা উচিৎ অন্য কোন পেশার মানুষের হাতে না। তাতে পদে পদে ক্ষতি। আমাদের দেশে রাজনীতি চলে গেছে মূলত ব্যবসায়ী, আইনজীবী এবং অন্য কিছু পেশাজীবী লোকের হাতে। রাজনৈতিক কলা কৌশল এদের চেয়ে আমলারা অনেক বেশি বোঝে। তাই এইসব অথর্ব রাজনীতিবিদ মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রীদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে গুলি করতে সচিব উপসচিবেরা অনেক বেশি ওস্তাদ। আড়ালে থেকে কলকাঠি সব এরাই নাড়ে বলে আমার বিশ্বাস। মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের এই সিদ্ধান্ত পিছন থেকে এদেরই কাজ কিনা খতিয়ে দেখার আছে। কারন যত বেশি ফাঁক ফোকর থাকবে নিয়মের ভিতর তত বেশি টাকার বান্ডেল সেই ফাঁক দিয়ে তাদের পকেটে ঢুকবে। কয়েকটা দিন আগেই পত্রিকায় পড়লাম বর্তমান সময়ের প্রায় আট দশজন সচিব নাকি গত ছয় মাসের মধ্যে আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড আর মালয়শিয়াতে বাড়ি কিনেছে এবং ইতোমধ্যে তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে সেখানে পাঠিয়েও দিয়েছে! এই সরকারের আর বছর খানেক সময় বাকি এরই মাঝে আরেকটি বড় বাজেটের রোজগার করার লক্ষ্যেই কি তবে তড়িঘড়ি করে এই নতুন নিয়ম? তারপর উন্নত কোন দেশে সুখের নিবাস গড়ার ধান্দা? নতুন নিয়মটা যদি খুব দরকারও হয়ে থাকে এইবারটা অন্তত বাদ দিয়ে সামনের বছর থেকে করা যেতো না?

সব কেমন যেন খাপছাড়া লাগছে। কে জানে? হয়তো আমার দুর্বল মগজের দোষ!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:১৬
১৩৮টি মন্তব্য ১২৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×