যদি জল থেকে সত্যি উঠে আসে একটি কুমির এই জ্যোৎস্না-রাতে
আমি গিয়ে শোবো তার পাশে ঐ চিকচিক বালুচরে ;
দুজনে ঘুমাবো---বলবো : এসো তারা গুনি এক সাথে।
স্বপ্নের ভেতর ঠোঁট বাঁকিয়ে, কেলিয়ে দাঁত, হাসবো খুব মজা করে---
ভোরবেলা বালু খুঁড়ে তুলে নেবো কচ্ছপের ডিম, তার আগে দাঁত নেবো মেজে
গাছের বাকল আর দুতিনটি বাইন মাছের লেজে।
সবরি কলাগুলো তবে পেকেছে কি ?---এই প্রশ্ন নিয়ে
যত বানরের সাথে আবার বন্ধুত্ব করবো বহুদিন পর।
উড়াবো মৌমাছিদের শুধু এক তুড়ি দিয়ে
ঢুকে যাবো মধুবন্দিশালা চকচকে ঐ চাকের ভিতর।
তারপর, লাল বনমোরগের সন্ধানে সমস্ত দিন ব্যয় করে
যদি ফিরে আসি ব্যর্থতার নিভৃত বন্দরে---
যদি অহম-মুঠিতে চেপে ধরে সায়াহ্নের দীর্ঘটুটি
কালো এক নেকড়ের ক্ষিপ্র গতির পেছনে ছোটা
ছেড়ে চলে আসি আমি---অরণ্যের পথভ্রষ্ট কারাভান---
ভর সন্ধ্যাবেলা---যদি ফের চমকে উঠি
দেখে দেখে তারাবর্ণ হেঁয়ালির মাঝখানে শিমফুল ফুটে ওঠা---
তার মন ভোলাতেই যদি শুরু করি গান
হায়েনা হেসো না তবে, উল্লুক ভল্লুক হয়ে
দিয়ো না ধমক---বৃক্ষ দিয়ো পাতা, তৃণ দিয়ো লোম,
উষ্ণতা দিয়ো হে মাটি---আমার শয্যাটি যেন হয় কাঁপা---
জলের ঢেউয়ের মতো ভীষণ নরম।